অনুভূতি :- হঠাৎ করে বিরিয়ানি খেতে যাওয়ার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব এক মাস আগে ওয়াইফ এবং মেয়েকে নিয়ে বিরিয়ানি খেতে যাওয়ার মুহূর্ত। মাঝে মাঝে চেষ্টা করে প্রিয় মানুষদেরকে নিয়ে একটু বাইরে খাওয়া দাওয়া করতে। কারণ বাইরে খাওয়া দাওয়া করলে মন এবং শারীরিক দুটি ভালো হয়। কারণ গুরাগুরি পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া করা হয়। তবে দাগনভূঞা বাজার আমাদের বাড়ি থেকে অনেক দূরে। কিছুদিন আগে আমি হঠাৎ করে দাগনভূঞা বাজারে গেলাম। তখন আমি আমার ওয়াইফ কে মোবাইলে কল করলাম। আর আমার ওয়াইফ ওই সময় তাদের বাবার বাড়িতে ছিল। এবং জিজ্ঞেস করলাম বাজার আসতে পারবে কিনা। তখন আমার ওয়াইফ জিজ্ঞেস করল কি কারনে।

তারপর আমি আমার ওয়াইফ কে বললাম আসলে বিরিয়ানি খাওয়াবো। তখন আমার ওয়াইফ সাথে সাথে রাজি হয়ে গেল। আর তাদের বাড়ি থেকে দাগুনভূঁইয়া বাজার খুব কাছে । এরপর দেখি আমার ওয়াইফ অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে বাজারে জিরো পয়েন্টের সামনে আসলো। তারপর একত্রিত হয়ে আমরা বিরিয়ানি খেতে গেলাম। তবে এই রেস্টুরেন্টের খেতে বেশ মজা লাগে। যাওয়ার সাথে সাথে আমরা বিরিয়ানি অর্ডার করলাম দুই প্লেট। আর ওই সময় তেমন কাস্টমারও ছিল না। বিদায় তাড়াতাড়ি বিরিয়ানি গুলো আমাদেরকে দিয়ে দিলেন। তবে মজার বিষয় হচ্ছে এই রেস্টুরেন্টের বিরিয়ানি গুলো বেশিরভাগ পার্সেল বিক্রি করা হয়।

তবে আমার ওয়াইফ বিরিয়ানি খেতে খুব পছন্দ করে। তাই মাঝে মাঝে চেষ্টা করি বিরিয়ানি খেতে। এরপর আমি কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম। এবং মজা করে বসে বসে বিরিয়ানি খেতে লাগলাম। আর আমার মেয়ে কিন্তু বিরিয়ানি তেমন খেতে চাই না। আমার মেয়ে ওইখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুধু শসা খাচ্ছে। আর আমরা কিছুক্ষণের মধ্যে বিরিয়ানি গুলো কমপ্লিট খেয়ে ফেললাম। আর যখন খেয়ে ভালো লাগলো তখন চিন্তা করলাম বাড়ির জন্য কিছু পার্সেল বিরিয়ানি নিয়ে নিই। তারপর একটি বিরিয়ানি পার্সেল অর্ডার করলাম। এবং অর্ডার করার পর ওই পার্সেলটি ও তাড়াতাড়ি দিয়ে দিলেন।

যদিও ওই সময় বাইরে হালকা বৃষ্টি ছিল এই কারণে একটু আমরা ঐখানে বসলাম। আর এই রেস্টুরেন্টে চা কফি এগুলো বিক্রি করা হয় না। এবং ঠান্ডা জাতীয় জিনিস গুলো বিক্রি করা হয়। আর বৃষ্টির কারণ আমরা কিছুক্ষণ সেখানে অপেক্ষা করলাম। ওই সময় আমার মেয়ে লাচ্ছি খাবে বলল। তখন মেয়ের জন্য লাচ্ছি জুস নিয়ে নিলাম। সত্যি বলতে এসব জায়গাতে খাওয়া-দাওয়া করতে যেমন ভাল লাগে। তবে সুন্দর সময় অতিবাহিত করা যায়। আর ঐদিন ওয়াইফ এবং মেয়েকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি ভালো সময় কাটিয়েছি। চেষ্টা করি মাঝেমধ্যে বাইরে খাওয়া দাওয়া করে মন ফ্রেশ রাখতে।

তারপর চিন্তা করলাম শ্বশুর বাড়ি যাবো নাকি নিজেদের বাড়িতে আসবো। কারণ আমাদের বাড়িতে আসতে হলে ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার দূর রাস্তা পাড়ি দিতে হবে। তারপর চিন্তা করলাম বড় বোনকে দেখতে যাব। এরপর পার্সেলটি নিয়ে বড় বোনকে দেখতে গেলাম। তবে আমার মেয়ে ফুফুর বাড়িতে গিয়ে বলে দিল বিরিয়ানি খেয়ে আসলাম। আর আমার মেয়ে মোটামুটি এখন কথা বলতে পারে এই কারণে সত্য কথাগুলো বলে দেয়। ছোট বাচ্চাদের মুখের কথা গুলো শুনতে কিন্তু খুব ভালো লাগে। তাই চেষ্টা করলাম ঐদিন পরিবারকে নিয়ে বিরিয়ানি খেতে গিয়ে ভালো সময় কাটানোর জন্য। আশা করি আমার পোস্টটি দেখে আপনাদের ভালো লাগবে।