অতীতের দিন স্মরণে চেনা স্থান গুলোতে কিছুক্ষণ।
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। গ্রাম আমি ভালোবাসি। গ্রামে আমার জন্ম, গ্রামে বেড়ে ওঠা। লেখাপড়ার জন্য এবং আব্বুর চাকরির জন্য শহরে বসবাস। তবে গ্রামের ভালোলাগা আমি কখনো বলতে পারিনি। শহরে বসবাস করলেও বর্তমান শহরের নিকটস্থ গ্রামে বসবাস করি। আবার সেখান থেকে ছুটে চলে যায় জন্মভূমির এলাকায়। যেখানে আমার শৈশব ও বেড়ে ওঠা। হ্যাঁ ঠিক তেমনি কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব এই পোস্টে।
গাংনী মেহেরপুরে গ্রামের বাড়ি ধরতে আসলেই চলে যায় নানুবাড়ি এরপর খালাম্মাদের বাসায়। এটা আমাদের প্রাণকেন্দ্র বললেই চলে। ছোটবেলাটা সিন্দুরকটা নামক গ্রাম আর আশেপাশে খালাম্মাদের বাসা ফুফুদের বাসা আমার ছিল ভালোলাগার অন্যতম জায়গা। খাঁচার পাখি ছেড়ে দিলে যেমন মুক্ত আকাশে উড়তে চায়। তেমনই শহর থেকে যখনই গ্রামে চলে যেতাম তখনই যেন মনে হতো খাঁচা থেকে মুক্তি পেয়েছি। ঠিক সেভাবে বিভিন্ন পরীক্ষা শেষ হলেই ছুটে চলে যেতাম। তখন শুধু আমি একা থাকতাম না আমার সাথে থাকতে আমার নিজের ভাই খালাতো ভাই বোন ইত্যাদি। এখন কেন জানি নিজেকে সে দিক থেকে খুবই একা মনে হয়। খালাতো ভাইদের যদিও পাই অল্প সময়ের জন্য। সেভাবে আগের মত কারো সাথে আর চলাচল হয়ে ওঠেনা। তাই মুক্ত এই পরিবেশটা আমার নিজেকেই একা একা অনুভব করতে হয়। তবে এখন একটু প্রকাশ করার মাধ্যম পেয়েছি। এই কমিউনিটিতে যুক্ত হয়ে কিছুটা হলে শেয়ার করে নিজেকে শান্ত করতে পারি। একটা সময় এই বিদ্যালয়ের মাঠে খেলাধুলা করতাম। তখন তো আর এমন বিল্ডিং ছিল না। কোনরকম টিনের চাল। তার আগে ছিল ঝাপের বেড়া। যাই হোক বিদ্যালয় গড়ে উঠেছে সুন্দর প্রতিষ্ঠান হয়েছে এটা দেখে ভালো লাগে। কিন্তু উন্নতি হয়নি সিন্দুর কোটার হাট-বাজার টা।
একটা সময় নানিদের বাড়িতে যেতাম দুই রাস্তা হয়ে। আর সে দুই রাস্তার মাঝখানে রয়েছে এই বটগাছটা। বাম হাতে কামারখালী নামক গ্রাম এর পাশ দিয়ে যাওয়া হতো। আবার যখন ওই রাস্তাটা খারাপ থাকতো তখন কুমারী ডাঙ্গা নামক গ্রামের রাস্তা হয়ে যেতে হতো। এখন সব রাস্তা পাকা হয়ে গেছে। আগের মত আর কষ্ট নেই তবে অতীতের স্মৃতিগুলো কিন্তু মধুর ছিল। এই পথ দিয়ে চলতে কত কষ্ট হতো। এখন মোটরসাইকেলে এক মিনিটে এপার থেকে ওপারে চলে যাওয়া যায়। এখানে আগের মত এখনো কৃষি জমি ফসলের মাঠ শোনার ফসল কৃষক বন্ধুরা সবই রয়েছে। হয়তো সেই পুরনো দিনের পুরনো মানুষগুলো কমে গেছে। দেখতে দেখতে আমাদের বয়স হয়ে গেল ত্রিশের নিকটে। যতদিন যায় স্মৃতিগুলো মধুর হয়ে ওঠে। যেন স্মৃতি আমি ছুটে আসি ঢাকা থেকে মেহেরপুরের এই প্রান্তে।
বিভিন্ন ফসলের সময় গ্রামের সৌন্দর্য বেশি উপলব্ধি করতে পারা যায়। আমি এ ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম পাটের সময়। দেখেছিলাম অনেক কৃষক তাদের নিজেদের কাজে ব্যতিব্যস্ত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ফসল দেখতে পের ভালো লেগেছে। এভাবে নানুদের বাসা থেকে আঙ্কেল দের বাসায় যেতে যেতে দেখেছিলাম ঈদগাহ ময়দান পাটের সময় পাট ধইঞ্চা গাছ। বৃষ্টির পানিতে জায়গায় জায়গায় পানি বন্ধ জলাশয়। সবকিছুই যেন রাঙিয়ে তুলছিল। যেতে পথে বার বার মোটরসাইকেলটা থামিয়েছিলাম আর ফটো ধারণ করছিলাম। এ যেন আমার প্রাণের বন্ধন লেগে আছে এখানে।
ফটোগ্রাফি | গ্রাম বাংলা |
---|---|
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei mobile |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
বর্তমান অবস্থান | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
Twitter-promotion
আমার আজকের টাস্ক