ওয়াইফ কে নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর প্রান্তিকে একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করার মুহূর্ত
হাই বন্ধুরা! কেমন আছেন সবাই? আশা করি, আপনারা সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ, আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগের সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি আজকের একটি নতুন পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন দেরি না করে পোস্টটি শুরু করি।
সবসময় ঘরের ভেতরে বন্দী হয়ে থাকতে কারোর ভালো লাগে না। তাই মাঝে মাঝে একটু বাহিরে বের হতে বেশ ভালই লাগে। খোলা আকাশের নিচে ঘুরে বেড়াতে আমার খুবই ভালো লাগে। জাহাঙ্গীরনগর ঘুরতে গেলে আমার কাছে একটা মনোরম পরিবেশ লাগে। সেখানে কত শত গাছপালার। কত শত পুকুর। আবার নানান ধরনের পাখির দেখা মেলে। যেগুলো ঘরে থাকলে দেখা হয়ে ওঠেনা। তাই মাঝে মাঝে একটু মন ভালো করার জন্য হলেও বাইরে বের হওয়া। আমি অফিসের উদ্দেশ্যে হলেও বাইরে বের হয়ে কিন্তু আমার ওয়াইফ এর বাইরে বের হওয়ার তেমন সুযোগ হয় না। তাই ছুটির দিনে চেষ্টা করে তাকে নিয়ে একটু ঘুরতে যাবার। জাহাঙ্গীরনগরের রাস্তা গুলোতে হেঁটে বেড়াতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তবে এখন জাহাঙ্গীরনগরের তেমন একটা রিক্সাও চলে না। একটা মেয়ে এক্সিডেন্ট করছিল যার কারণে ব্যাটারি চালিত রিক্সা বন্ধ করে দিয়েছেন। শুধু পা দিয়ে যে রিক্সা চালানো হয় ওগুলা চলে। তাই এখন জাহাঙ্গীরনগরে ঘুরতে গেলে রিক্সা নেওয়া হয় না হেঁটে হেঁটে ঘুরে আসি। তার কারণ আমাদের বাসার একদমই পাশে আমি নগর। আমাদের বাসা জাহাঙ্গীরনগর এরিয়াতেই পড়ে।
তো আমরা একটু হাটাহাটি করার পর। আস্তে আস্তে প্রান্তিকের দিকে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে একটা রেস্টুরেন্টের মধ্যে বসলাম। রেস্টুরেন্টগুলোর সিট খালি ছিল অনেক সময় দেখা যায় অনেক ভিড় থাকে সিট পাওয়া যায় না। তাই আমরা গিয়ে বসে পড়লাম। তারপর আমার ওয়াইফ মেনু দেখে বলল সে ফ্রাইড রাইস খাবে। তো একটা ফ্রাইড রাইস অর্ডার করলাম। সেখানে ফ্রাইড রাইস, চাইনিজ ভেজিটেবল, চিকেন ফ্রাই ছিল। তারপর আবার আমি একটা চিকেন নাচোস অর্ডার দিলাম এবং দুটি কোল্ড ড্রিংকস। ওয়েটার আগে ফ্রাইড রাইস দিয়ে গেল পরবর্তীতে এসে চিকেন না এবং কোল্ড ড্রিংকস দিয়ে গেল।
তারপর আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে নিজেদের কয়েকটা ছবি তুলে আবারো বাসার দিকে হাঁটতে হাঁটতে চলে আসলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে হাটা যদিও কষ্টকর তারপরও বাসার কাছে বলে সমস্যা হয় নাই। আর এখন রিকশা চলাচলের ও সমস্যা যার কারনে আবারো হেঁটে হেঁটে বাসার দিকে চলে আসলাম।
বিশেষ বিশেষ তথ্য
বিষয় | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ক্যামেরা | realme mobile |
লোকেশন | জাহাঙ্গীরনগর |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
আমার ব্লগটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
আমি হেলাল উদ্দিন, আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা ঢাকা সাভার, বিশ-মাইল। আমি বিবাহিত,একজন বেসরকারি চাকুরীজীবী। আমার স্টিমিট আইডির নাম হচ্ছে @helal-uddin।
আপনার লেখা পড়ে যেন একটুখানি জাহাঙ্গীরনগরের মনোরম পরিবেশ ঘুরে এলাম।প্রান্তিকে স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটানোর মুহূর্তগুলো যেমন সহজ, তেমনি হৃদয়ছোঁয়া। আপনার ছবিগুলোও যেন গল্প বলছে। ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে এমন মুহূর্তগুলো সত্যিই অনন্য। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে এই আনন্দের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য ভাইয়া।