রমনা পার্কে সময় কাটানোর মুহূর্ত
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি রমনা পার্কে অবস্থান করে সময় কাটানোর অনুভূতি। আমার এই অনুভূতি আপনাদের মাঝে রমনা পার্ক দেখার কিছু সুযোগ এনে দিবে। আসুন তাহলে পোস্টটা ভিজিট করি।
রমনা পার্ক, ঢাকা শহরের মনোরম একটি পরিবেশ। অনেকের বিনোদন কেন্দ্র আবার অনেকের সময় পার করার সুন্দর একটি স্থান। এখানে সর্বশ্রেণের মানুষের উপস্থিতি যুগ যুগ ধরে। প্রতিনিয়ত শত শত মানুষ এখানে উপস্থিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে স্কুল কলেজ ছুটি হওয়ার পর সময় পার করতে অনেকে এখানে উপস্থিত হয়। বিশেষ কোনো দিন উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষেরা এখানে উপস্থিত হয় কিছুটা সময় অতিবাহিত করতে। বিভিন্ন বিনোদন জগতের মানুষেরা ভিডিও ধারণ করে শুটিং করে টিকটক ইত্যাদি করে থাকে। এক কথায় বলতে গেলে সর্ব শ্রেণীর মানুষের জন্য উন্মুক্ত একটি মনোরম পরিবেশ রমনা পার্ক। এটা ঢাকা শাহবাগের কিছুটা পূর্বে অবস্থিত। একজন ব্যক্তি ঢাকা শহরে উপস্থিত হয়ে শান্তিতে সময় পার করতে পারেন এই পার্কের মধ্যে। যেখানে বসে থাকার, ফ্রেশ হওয়ার, লেকের পানিতে ভেসে বেড়ানোর সুব্যবস্থা, আশেপাশে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। যখনই সুযোগ পাই মনোরম এই পরিবেশের সৌন্দর্য উপভোগ করার চেষ্টা করে থাকে। কিছুদিন আগে পড়ন্ত বিকেলের দিকে উপস্থিত হলাম গেস্টের দেখতে গিয়ে। আমাদের গেস্ট হসপিটালে ছিল। তাই সেখান থেকে কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছিলাম এবং ফটো ধারণ করেছিলাম।
বিকেল মুহূর্তটা সম্পূর্ণ লেক হাঁটাহাঁটি করেছিলাম। লেকের চারিপাশটা ঘুরেছিলাম। এতে আমার বিকেলে হাঁটাহাঁটি টা হয়ে গেছিল। অনেকদিন পর সৌন্দর্য উপভোগ করলাম মনের মত করে। তবে ভালো লাগছিল ফাল্গুন মাসের পাতা ঝরা দিন দেখে। পার্কের মধ্যে থাকা সুবিশাল গাছগুলোর পাতা ঝরে একদম ফাঁকা অবস্থা। তবে বিকেলে মানুষের উপস্থিতিটা অনেক বেশি ছিল। এখানে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ার মতো জোড়ায় জোড়ায় মানুষের উপস্থিতি। অনেকেই হাত ধরে চলছে। আবার অনেকেই জায়গায় জায়গায় বসে গল্প করছে। যে যার মত সুন্দর সময় পার করে এই জায়গাতে। আপনারা যারা আজও এই সুন্দর রমনা পার্ক ভ্রমণ করেননি। তাদের কাছে আমার একটা পরামর্শ থাকবে সুযোগ করে এসে ঘুরে যাবেন। ঢাকা শহরে বেশ কয়েকটা স্থান রয়েছে মধ্যরূপ পরিবেশের। যার মধ্যে রমনা পার্ক টা অন্যতম। এখানে প্রবেশ করতে আপনার এক পয়সা খরচ লাগবে না। সকলের জন্য ফ্রি।
পায়ে চলার পথ গুলো যেমন পাশাপাশি সুন্দর ইটে বাধা রাস্তা রয়েছে। লেকে সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ঠিক সেমন সেতু আকৃতির দীর্ঘ ব্রিজ রয়েছে। ফটোগ্রাফি দেখলেই বুঝতে পারছেন ভালোলাগার সুন্দর স্থান তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও পার্কের সম্পূর্ণ এরিয়াটা এভাবেই সুন্দরভাবে গড়ে তোলা হয়েছে সকল মানুষের জন্য। দিনের পরিবেশটা যেমন সুন্দর আরও ভালোলাগার হয়ে ওঠে রাতের পরিবেশ। সারা পার্ক জুড়ে আলোর ব্যবস্থা করা রয়েছে। রাত হলেই সব জায়গায় আলো জ্বলে ওঠে। রাতেও শত শত মানুষ এ পার্কের মধ্যে বসে থাকেন গল্প করেন সময় পার করেন। বিভিন্ন চাকরিজীবী মানুষেরা রাতে সুযোগ করে এসে ঘোরাঘুরি করেন।
তবে বাইরে থেকে আসার সকল মানুষের জন্য পরামর্শ থাকবে। আপনারা যখন বসার আসনে বসে থাকবেন তখন লক্ষ্য করে দেখবেন ভেতরে কিছু মানুষ জোর করে আপনার কাছে কোন কিছু বিক্রয় করতে চাচ্ছে। সাবধান থাকবেন জোর করে কেউ যদি আপনার কাছে কোন জিনিস বিক্রয় করতে চায় তাদের থেকে কোন জিনিস নিবেন না। যখনই হাতে ধরে ফেলবেন তখনই তারা সেই জিনিসের দাম এত বেশি ভুলে বসবে আপনি ফেলতে পারবেন না আবার নিতে পারবেন না। কিছু স্থানীয় খারাপ মানুষেরা এভাবে ঝামেলা সৃষ্টি করে থাকে। বিশেষ করে যারা প্রেমিক-প্রেমিকা পর্যায়ের মানুষ উপস্থিত হয় তাদেরকে লক্ষ্য করে এই ঝামেলাগুলো একটু বেশি করে থাকে। আবার বাইরে থেকে আসা মানুষেরা তাদের সাথে ঝামেলা সৃষ্টি করতে চায় না তাই বাধ্য হয়ে দশ টাকার জিনিস ১০০ টাকায় নিতে রাজি হয়। এখানে এসে ভালো মানুষের পাশাপাশি দুষ্টু প্রকৃতি মানুষের চলাচলটা থেকে থাকে। সাবধান থাকবেন রাত্রে কালিন মুহূর্তে যেন কোন কিছু কেউ ছিনতাই করে নিয়ে চলে না যায়। এমন ঘটনা খুব কম ঘটে তবুও সাবধানতা প্রয়োজন রয়েছে। অকারণে রাত্রি কালের মুহূর্তে পার্কের মধ্যে না থাকাটা বেটার। যদি থাকতে হয় তাহলে যেখানে মানুষের উপস্থিতি একটু বেশি সেখানে থাকার চেষ্টা করবেন। আরো বিস্তারিত বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ভালো লাগা শেয়ার করব আগামী পোস্টে।
ফটোগ্রাফি | রমনা পার্ক |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix hot 50 pro mobile |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
বর্তমান অবস্থান | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
আমার আজকের টাস্ক
Twitter-promotion
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রমনা পার্ক ভ্রমণ করেছেন এবং সেই পার্ক ভ্রমণের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ভালো লাগলো চমৎকার ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে। সত্যি মনোরম পরিবেশ। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে সুন্দর এই স্থান ভ্রমন করতে পেরে।
রমনা পার্কের নাম শুনেছি কিন্তু দেখা হয়নি। আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেলে বেশ ভালো লাগছে। আপনারা হসপিটালে একজন গেস্টের দেখতে গিয়ে বিকেল বেলা পার্কে একটু ঘুরে নিয়েছেন। মাঝে মাঝে হুটহাট করে এভাবে ঘুরতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। বিকেলবেলা হাটাহাটির মধ্যে দিয়ে দারুন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমিও এটা শুনেছিলাম এই পার্কে এরকম ১০ টাকার জিনিস গুলো তারা অনেক বেশি দামে বিক্রি করে। আর এমনভাবে হাতে ধরিয়ে দেয় যে না নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। তবে ঢাকা শহরের মধ্যে এরকম একটা পার্ক সত্যিই অন্যরকম একটা অনুভূতি দেয়। রমনা পার্ক কে তো ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। ভালো লাগলো আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
রমনা পার্কের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যি খুব দারুণ। আমি কয়েকদিন আগে ঘুরতে গিয়েছি। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাই। রমনা পার্কে সময় কাটানোর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমরা যদি আমাদের মন ভালো করতে চাই তাহলে আমরা কোথাও ঘুরতে যাই৷ আর আজকে আপনি সেরকম একটি জায়গায় ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে৷ আর এই রমনা পার্ক সম্পর্কে আমরা অনেকেই শুনেছি । এর সৌন্দর্য সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি৷ আর আজকে আপনার এই ফটোগ্রাফিগুলোর মধ্য দিয়ে একেবারে অসাধারণ কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম৷ অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আজকের এই পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷