একটি ওয়াজ মাহফিলে কাটানো মুহূর্ত
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি একটি ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ করে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করার অনুভূতি। আশা করব আমার সুন্দর এ ব্লগটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে এবং বেশ অনেক কিছু জানার সৌভাগ্য হবে। তাহলে চলুন বন্ধুরা আমরা সুন্দর হয়ে ব্লকটা উপস্থাপন করি এবং এই সম্পর্কে ধারণা অর্জন করি।
আমাদের দেশটা মুসলিম কান্ট্রি। সারা বছরের বিভিন্ন সময়ে আমাদের দেশে ইসলামিক বক্তারা বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল করে থাকেন। এখানে আলোচ্য বিষয় ইসলাম ধর্মকেন্দ্রিক। সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইয়েরা সুন্দর এই ইসলামিক আলোচনা সভায় উপস্থিত হয়ে থাকেন। অনেকে এসে থাকেন প্রধান বক্তার মুখটা একটু দেখার জন্য। আবার অনেকে প্রধান বক্তার মুখ থেকে আলোচনা শুনে ইসলাম ধর্মের প্রতি মনোনিবেশ করার আরো সুযোগ তৈরি করে নেওয়ার জন্য উপস্থিত হন। আবার অনেকে আসেন ওয়াজ মাহফিল এর আয়োজন দেখা বক্তার কথা শোনা এবং আশেপাশের মেলা ভ্রমণ করার বিভিন্ন ভালো লাগা খুঁজে পেতে। ঠিক সেভাবে আমরা একদিন উপস্থিত হয়েছিলাম আমাদের গাংনী অনুষ্ঠিত ওয়াজ মাহফিলে। সেখানে আমাদের ঢাকা শহর থেকে আল আমিন হুজুর গিয়েছিলেন প্রধান বক্তা হিসেবে। আমার বেশ ভালো লেগেছিল ভালো ভালো বক্তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য পেশ করে থাকেন জেনে। ওই দিনটা হুজুর সেখানে যাবেন এবং বক্তব্য রাখবেন এই আশায় শত শত মানুষ চেয়েছিলেন। আমি যখনই জানতে পারলাম তখন এই গেস্ট দের সাথে সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যাই হোক আমার উদ্দেশ্য ছিল সবকিছুই ভ্রমণ করে বেড়ানো আর ফটোগ্রাফি করা।
সেখানে উপস্থিত হয়ে আমরা লক্ষ্য করে দেখতে পারলাম অনেক মানুষের আগমন। যে গেট দিয়ে ওয়াজ মাহফিলের অনুষ্ঠানে জায়গায় উপস্থিত হতে হবে সেখানে তেমন কোন দোকানপাট খুলতে দেওয়া হয়নি। একটু দূরে একজন বিক্রেতাকে দেখলাম ইসলামিক জিনিস বিক্রয় করছেন। এরপর দেখতে থাকলাম সুন্দর সুন্দর আয়োজন। একটা সময় প্রধান বক্তার মুখটা দেখতে পারলাম। উনি খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করছিলেন বিভিন্ন বিষয়। উনার সুন্দর সুরেলা মিষ্টি কন্ঠটা আমাকে মুগ্ধ করেছিল। তাই বক্তার মুখটা দেখার জন্য আমরা ছুটে আসলাম এবং কিছুটা সময় তার আলোচনা শুনলাম। এরপর আবারও মিষ্টির দোকানের দিকে এগিয়ে গেলাম। দেখছিলাম সেখানে কত সুন্দর ভাবে বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রয় চলছে এছাড়াও খেলনা সামগ্রীতে রয়েছে। সবকিছু দেখে বেড়াতে আমার খুবই ভালো লেগেছিল। একদম গরম গরম জিলাপি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি বিক্রয় হচ্ছিল দেখলাম। তবে এই সমস্ত দোকানগুলো ওয়াজ মাহফিলের সেমিনার থেকে বেশ অনেকটা দূরে ছিল। যেন মানুষের গেদারিং তা ওয়াজ মাহফিলের নিকটে না হয় তাই দূরে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আমার কম বেশি মিষ্টি খাওয়ার পাশাপাশি ঝাল জাতীয় খাবার গুলো কিনে খেয়েছিলাম। ঝাল জাতীয় খাবারের মধ্যে ছিল চপ সিঙ্গারা বিভিন্ন মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি করা রেসিপি এছাড়া মাছ দিয়ে তৈরি করা রেসিপি। অনেক ভালো লাগছিল যখন এই সমস্ত খাবারগুলো দেখছিলাম এবং কিনে খেয়েছিলাম। যদিও রাস্তার পাশে যে সমস্ত খাবারগুলো অনেকটা অস্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে। তবুও পরিবেশের মধ্যে অবস্থান করলে খেতে ভালো লাগে। এরপর আমরা এগিয়ে গিয়েছিলাম পাশে থাকা বিভিন্ন খেলনা বই সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান গুলোর দিকে। আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল আমার সাথে আমাদের গেস্ট বেশ কয়েকজন ছিল এই জন্য। আসলে সেভাবে তো ওয়াজ মাহফিলের অনুষ্ঠানে আমার অংশগ্রহণ করা হয়ে ওঠে না। যদি গেস্ট অথবা ফ্রেন্ড পাশে থাকে তাহলে অবশ্যই সম্ভব হয়। কারণ বসে ওয়াজ মাহফিলের কথা শোনা হোক বা না হোক বিভিন্ন কিছু ঘুরে ঘুরে দেখতে পাওয়া যায় এটাই তাকে অন্যরকম ভালোলাগা ও আনন্দ। ঠিক তেমনি এই বক্তার আগমনকে কেন্দ্র করে আমাদের উপস্থিতি হওয়া আর অনেক কিছু উপভোগ করা সুযোগ ছিল ঐদিন।
ফটোগ্রাফি | ওয়াজ মাহফিল |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei mobile |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
বর্তমান অবস্থান | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
একটি ওয়াজ মাহফিলে কাটানো মুহূর্ত শেয়ার করেছেন।মাশাআল্লাহ, আপনার শেয়ার করা মুহূর্তগুলো খুবই প্রশান্তিদায়ক। ওয়াজের মাধ্যমে ইমানী শক্তি বৃদ্ধি পায়।এমন পবিত্র সমাবেশে অংশগ্রহণ করে নিশ্চয়ই আত্মার পরিশুদ্ধি হয়েছে। আপনার পোস্ট আমাদেরকেও সৎ কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করল। জাজাকাল্লাহ খাইরান।আল্লাহ তাআলা আপনার এই প্রচেষ্টাকে কবুল করুন এবং উম্মাহর জন্য উপকারী জান্নাতের সোপান বানিয়ে দিন।
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার আজকের টাস্ক
Twitter-promotion
আমাদের এদিকে শীতকাল ছাড়া ওয়াজ মাহফিল খুব একটা দেখা যায় না। আপনি ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। গরম গরম জিলাপি ভাজা আমার বেশ পছন্দ। বিভিন্ন রকম খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। বেশ বড় আয়োজন করা হয়েছে মনে হচ্ছে। সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমাদের এখানে শীতের সময় ও এর পরেও হয়ে থাকে।
https://x.com/dream_boy56923/status/1911755503128248613?t=CzCc7L_Bj84QPCex2DWriA&s=19
https://x.com/dream_boy56923/status/1911755565086445668?t=04OvjKWpABaWp_QSbnS2fg&s=19
https://x.com/dream_boy56923/status/1911756465569927372?t=5WN7l72OFHVcfZjDdJt6Qw&s=19
https://x.com/dream_boy56923/status/1911756526815220083?t=pm03e8kzgHd5M3nB_nHTbg&s=19
https://x.com/dream_boy56923/status/1911757016328212951?t=iuF0Mc3TzG0cSlzIEOqsDQ&s=19
https://x.com/dream_boy56923/status/1911757051308724669?t=D_Bai5QF_f22eIjHlwzcZg&s=19