আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ ফ্রাইডে স্পেশাল ]
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি তবে সাথে কিছুটা পেরেশানও আছে। সত্যি বলতে এই সময়টায় শুধু সুস্থ থাকলেই হবে না বরং তার সাথে সাথে নিরাপদও থাকতে হবে। দেখুন আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই কারণ মোটামুটি সবাই এর ভুক্তভোগী এখন আমরা। যার কারণে কিছু না বললেও আমরা অনেক কিছুই বুঝে যাই। বিষয়টি নিয়ে আমাদের সবার মাঝেই এক ধরণের অস্থিরতা কাজ করছে, কেউ হয়তো নিজের অবস্থান হতে সেটা প্রকাশ করতে পারছি আবার কেউ হয়তো পারছি না।
আমরা যারা প্রকাশ করতে পারছি না, তারা নানাভাবে সেটা হজম করার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে যারা শহরের মাঝে থাকছেন তারা এটা ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন। আমি ছিলাম পুরান ঢাকার বংশালে প্রায় দশ বছর, উৎসব কিংবা ঈদের ছুটিগুলো বাহিরে গিয়ে উপভোগ করতে পারতাম না, একটা অন্য রকম ভয় কাজ করতো। কোথায় বেড়াতে গেলে দ্রুত আবার বাড়িতে ফিরে আসতে হতো। আসলে ফাঁকা বাসা থাকার মানেই হলো কাউকে কাউকে সুযোগ করে দেয়া, আর এই সুযোগটাই আমি কখনো দিতে চাইতাম না। অবশ্য এটা নিয়ে আমার আত্মীয় স্বজনদের মেলা ক্ষোভ ছিলো।
আমি মোটেও ভালো না সেটা অনেক বার বলেছি আপনাদের কারণ আমি যেটা ভালো মনে করি সেটাই করি, এবার আত্মীয় স্বজনরা যা খুশি বলুক তাতে আমার কিছু আসে যায় না, আমি শুনেও সেগুলো না শুনার ভান ধরে থাকি। এবার মূল কথাটা বলছি, ঈদের দুই দিন আগে ছোট শালী ঢাকা হতে আমার বাড়িতে এসেছিলেন। যেদিন আসলেন ঠিক তার পরের দিন দুপুরে তার বাড়িওয়ালা ফোন দিয়ে জানালেন তার বাড়িতে চুরি হয়েছে। এবার বুঝেন অবস্থা কতটা নাজুক, মাত্র একটা রাত বাড়ির বাহিরে ছিলো এর মাঝেই রুমের সব চুরি হয়ে গেছে।
সে ইনকাম ট্যাক্সের কাজ করে আইটিপি হিসেবে যার কারণে তার বাসায় ক্যাশ টাকা ছিলো। ক্যাশ টাকা তো নিয়েছে সাথে বেশ কিছু স্বর্ণের অলংকারও নিয়ে গেছে। এই রকম একটা ভয় সর্বদা আমার কাঝেও কাজ করতো ঢাকায় থাকার সময়। না এটা যে শুধু ঈদ কিংবা উৎসবের সময়ে হচ্ছে তা কিন্তু না, ঢাকা শহরের মাঝে প্রায় এমন হচ্ছে। এটা আগেও ছিলো এখনো আছে। আর এই কারণে ঢাকা শহরের বাড়িওয়ালাদের আমি খুব একটা বিশ্বাস করতে পারি না, কেন জানি তাদের চরিত্রগুলোও আমার কাছে একটা বিস্ময় মনে হয়। তাদের কথাবার্তা একদমই অন্যরকম, বাড়াটিয়াদের ক্ষতিতে তাদের খুব একটা বিব্রত হতে দেখা যায় না।
আসলে আমরা নষ্ট হয়ে গেছে, যার কারণে আমাদের পরিবেশ ও সমাজটাও নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা কাজ করতে চাই না, দ্রুত সময়ে অন্যের টাকায় সুখ করতে চাই। আর যেহেতু আইনের শাসনে এমন লোকদের বিচার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না, সেহেতু এই অবস্থার পরিবর্তনও সম্ভব নয়। সেদিন প্রথম আলো পত্রিকায় পড়লাম বিগত কয়েক সপ্তাহে অনেক অপরাধীই জামিন নিয়ে বের হয়ে এসেছেন। এটা নিশ্চয় বাহিরে এসে দরবেশ হয়ে যাবেন না, বরং নতুনভাবে সেই পুরনো কাজে আবার ফিরে যাবেন। এটাই আমাদের মাঝে নতুন করে শংকার সৃষ্টি করছে।
Image Taken from Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ব্যাপারটা শুনে আসলে খুবই খারাপ লাগছে। বাসা থেকে বের হওয়াটাও এখন দায়। প্রায়ই দেখি ঈদের সময় বা অন্যান্য ছুটিতে যখন কেউ বাসা থেকে চলে যায় তারপরেই বাসা চুরি হয়ে থাকে। বিশেষ করে শহরঅঞ্চল গুলোতেই এরকম হয়ে থাকে। যাই হোক আপনি সব সময় নিজের বাসায় সেভাবে সময় দেন শুনে খুবই ভালো লাগছে। এরকম সচেতন থাকলে হয়তোবা অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়গুলো থেকে এড়িয়ে চলা যায়।