আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ ফ্রাইডে স্পেশাল ]
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। হৃদয়ের ভাবনাগুলোকে একটু উষ্ণতায় ভেজে নিচ্ছি হি হি হি। কারণ আজকাল আমাদের ভাবনাগুলো আর আমাদের মাঝে থাকে না, মাঝে মাঝে সেগুলো যেমন শীতল হয়ে জমে যায়, ঠিক তেমনি নানা সংশয়ে আবার নির্জীব হয়ে যায়। এই কারণেই এখন যেহেতু উষ্ণতার মাত্রা একটু বেশী আছে তাই চিন্তা করলাম আরকি একটু উষ্ণতার পরশে সেগুলোকে ভেজে নিই হি হি হি। সত্যি যদি সুযোগ থাকতো তাহলে হয়তো আমি কিছুটা ভেজে রাখতাম।
ভাজা জিনিষ নাকি সবার আবার ভীষণ পছন্দ হাই সুযোগ বুঝে সেগুলো বিক্রিও করে দিতে পারতাম হি হি হি। বলা তো যায় না কখন কোন বিষয়ে সুযোগ চলে আসে হি হি হি। যাইহোক, কথা প্রসঙ্গে অন্য দিকে না গিয়ে আসল আলোচনায় মনোযোগ দেই সেটাই ভালো হবে। দেখুন একটা বাস্তব সত্য বিষয় হলো, আমরা কিন্তু কাজ করতে গিয়ে শারীরিক ক্লান হয়ে ভেঙ্গে পড়ি না, আমরা কিন্তু পরিশ্রম করতে করতে হতাশায় আক্রান্ত হই না। বরং এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, কাজ করলে শরীর ও মন দুটোই দারুণভাবে চঞ্চল থাকে এবং ব্যস্ততার কারণে মনও ভালো থাকে।
তাহলে আমরা ভেঙ্গে পড়ি কখন? কখন আমরা হতাশার অন্ধকারে লুকিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। এই বিষয়ে অনেক কথা আছে তবে সবগুলোই ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে লেখা। অবশ্য কোনটাই অস্বীকার করছি না আমি বরং আমি সেগুলোর মাঝ হতে একটা বিষয়ে আজকে কথা বলবো কারণ এই বিষয়ে আমি নিজেও দারুণ দুর্বল। তাই চিন্তা করলাম ছুটির দিনে দুর্বলতার বিষয়ে একটু চর্চা করি তাতে যদি কিছুটা হালকা হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। আমরা আসলে অতিরিক্ত চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতার কারণে দুর্বল হয়ে পড়ি, হতাশার অন্ধকারে হারিয়ে যাই। কাজের কারণে খুব কম সময়ই আমাদের মাঝে ক্লান্তিভাব আসে।
বরং অধিকাংশ সময়ে আমাদের অনাকাংখিত চর্চার কারণে আমাদের মাঝে সমস্যা তৈরী হয়। আর মানসিক সমস্যাগুলোর সত্যিই কোন সমাধান থাকে না। সমাধান আসবেই বা কিভাবে? কারণ যেগুলোর কোন অস্তিত্ব নেই সেগুলোর সমাধান আসবে কি করে? কাল্পনিক নানা বিষয়ে আমাদের নানা ধরণের মনগড়া চিন্তা-ভাবনা আমাদের মাঝে অস্থিরতা তৈরী করে, তারপর সেগুলো হতে হতাশার অন্ধকার বাড়তে শুরু করে। তারপর একটা সময় আমরা ভীষণ ক্লান্ত হয়ে যাই এবং নিজেদের কাছেই নিজেরা আত্মসমর্পণ করি। কারণ তখন আমাদের কাছে অন্য কোন উপায় থাকে না।
সুতরাং যে বিষয়টিকে আমি আজকে হাইলাইট করতে চেয়েছি সেটা হলো আমাদের অতিরিক্ত মানসিক চাপ আর সেই চাপটা তৈরী হয় অতিরিক্ত চিন্তা-ভাবনা হতে। যা হবার তা হবেই সুতরাং অতিরিক্ত চিন্ত করে আমরা সেখান হতে মুক্ত থাকতে পারবো না বরং স্বাভাবিক জীবনের গতি ধরে রাখতে পারলেই আমরা সকল সমস্যার সমাধান করে সঠিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবো। এই বাস্তবতাটি আমরা যত দ্রুত বুঝতে পারবো ততো দ্রুত এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবো, আমিও চেষ্টা করছি-আপনারাও চেষ্টা করেন।
Image Taken from Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.