বিরিয়ানি খেতে যাওয়ার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব কিছুদিন আগে বৃষ্টির সময় হঠাৎ করে বিরিয়ানি খেতে যাওয়ার মুহূর্ত। কিছুদিন ধরে মাঝেমধ্যে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। আর বৃষ্টির সময় বিরিয়ানি খেতে কিন্তু বেশ মজা লাগে। তবে আমি বিরিয়ানি খেতে অনেক পছন্দ করি। এই কারণে আমি আমার হাজব্যান্ড কে বললাম বিরিয়ানি খেতে যাব। যদিও প্রথম আমার হাজব্যান্ড মানা করল তার সময় নেই এই কারণে। পরবর্তীতে যখন দেখে আমার মন খারাপ হয়ে গেল তখন সেও রাজি হয়েছে। তখন আমার হাজব্যান্ড বলতে লাগলো আসরের পর বাইর হবে বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য। তবে আমার হাজবেন্ডের বাড়ি থেকে দাগনভূঞা বাজার ১২ থেকে 13 কিলোমিটার দূরে।

এই কারণে যেতে হলে গাড়ি বাড়াও বেশি লাগে। যদিও আমাদের বাড়ি থেকে দাগনভূঞা বাজার মোটামুটি খুব কাছেই আছে। আর আমি বর্তমানে আমার হাজবেন্ডের বাড়িতে আছি। এরপর আমরা আসরের পর মেয়েকে নিয়ে বাহির হলাম। আর দুই তিন জায়গা গাড়ি চেঞ্জ করতে হয় দাগনভূঞা বাজারে যাওয়ার জন্য। তবে আমরা মাগরিবের আগে দাগনভূঞা বিরিয়ানির রেস্টুরেন্টে পৌঁছে গেলাম। আর এর আগেও আমরা এই রেস্টুরেন্টে অনেকবার এসেছি। তবে এখানে বেশিরভাগ বিরিয়ানি গুলো পার্সেল দেয়। যদিও বসে খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। আর যাওয়ার পর আমি সাথে সাথে বিরিয়ানি দুই প্লেট অর্ডার করলাম। কারণ আমার মেয়ে এখনো ছোট এই কারণে তার জন্য অর্ডার করি নাই।

আমি আর আমার হাজব্যান্ড এর জন্য বিরিয়ানি অর্ডার করলাম দুই প্লেট। আর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে প্লেটগুলো সামনে নিয়ে আসলো। আর ওই সময় আমি কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম বিরিয়ানি ও আমাদের। সত্যি বলতে প্রিয় মানুষের সাথে কোথাও গিয়ে কিছু খেলে ভালো লাগে। তবে আমরা কথা বলতে বলতে খানা শুরু করে দিলাম। তবে আমার মেয়ে শসা খাওয়ার জন্য বেশি আগ্রহ দেখাইলো। যদিও মাঝেমধ্যে বিরিয়ানি দিয়েছি হালকা খেয়েছে। তবে এই দোকানের বিরিয়ানি গুলো খাওয়ার মজাই আলাদা। যদিও আমরা বসে বসে খেতে খেতে কথা বললাম। এবং সাথে ঠান্ডাও অর্ডার করলাম খাওয়ার জন্য।

আর এইখানে বিরিয়ানি খেয়ে অনেক ভালো লাগলো। তখন আমরা চিন্তা করলাম বাড়ির জন্য বিরিয়ানি নিয়ে নেব। তখন আমার হাজব্যান্ড বলতে লাগল তার বড় বোনের বাসায় যাবে। কারণ তার বড় বোন অসুস্থ তাকে দেখতে যাবে। এরপর আমরা একটা বিরিয়ানি পার্সেল অর্ডার করলাম। কারণ বড় একটি পার্সেল নিলে মোটামুটি হালকা খাওয়া যায় দুই একজনে। আর কিছুক্ষণের মধ্যে পার্সেলটি আমাদের হাতে চলে আসলো। তখন আমরা আরো কতক্ষণ ও খানে বসলাম। কারণ আমি চেষ্টা করেছি একটু সময় দিয়ে হলেও আমার মেয়েকে হালকা বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য। তবে মেয়ে আস্তে আস্তে বিরিয়ানি খেতে লাগলো।

এই কারণে মেয়ের জন্য একটু অপেক্ষা করলাম। পরে দোকানে লোক কে জিজ্ঞেস করলাম কত টাকা আসলো। তখন লোকটি বলতে লাগল আমাদের ৪৪০ টাকা হয়েছে। কারণ ৪০০ টাকা বিরিয়ানি আর ৪০ টাকা ঠান্ডা। এরপর আমরা লোকটির হাতে টাকা দিয়ে টাকা পেমেন্ট করলাম। এবং আমার হাসবেন্ড লোকটিকে কিছু টিপস দিয়েছে। তবে এইখানে বসার এবং পার্সেল গুলো খুব সুন্দর করে দেয়। কাস্টমার গেলে তারা সব সময় ভালো ব্যবহার করে। এই কারণে দূর থেকে হলেও এইখানে আমরা যাই। এই হচ্ছে বিরিয়ানি খেতে যাওয়ার মুহূর্ত। আশা করি আমার পোস্ট দেখে আপনার অনেক ভালো লাগবে।

🥰 ধন্যবাদ সবাইকে 🥰