ঝাল মুড়ি খাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব কিছুদিন আগে সন্ধ্যার পর বাজারে ঝাল মুড়ি খাওয়ার মুহূর্ত। ঝাল মুড়ি খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। আর মেয়েরা তো একটু বেশিই পছন্দ করে। কারণ ঝাল মুড়ি দেখলে কিন্তু মন চায় সাথে সাথে খেতে। তবে পড়ালেখা অবস্থায় স্কুলে কিন্তু অনেক ঝাল মুড়ি খেতাম। ওই সময় স্কুলের সামনে কিন্তু ঝাল মুড়ি বিক্রেতা লোক বসতেন। তবে অনেকে আবার ঝাল মুড়ি খেতে পছন্দ করলেও মরিচ কম খায়। তবে আমার কাছে ঝাল মুড়ি খেতে মরিচ একটু বেশি হলে ভালো লাগে খেতে। কিছুদিন আগে আমি বিকেল বেলা বাজারে গেলাম আমার হাজবেন্ডের সাথে।
কারণ নিজের কিছু ব্যক্তিগত কাজ ছিল। সেই সুবাদে আমি আমার হাজব্যান্ড ও মেয়ে একসাথে বাজার গেলাম। যখন সন্ধ্যার সময় বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেব। তখন চৌধুরী হাট জিরো পয়েন্ট এর পাশে একজন লোক ঝাল মুড়ি বিক্রি করেন। যদিও লোকটি নির্দিষ্ট সময় এক জায়গায় বসে না। তখন লোকটিকে দেখে আমি বললাম ঝাল মুড়ি খাবো। যদিও ওই সময় সন্ধ্যা হয়ে গেছে আমার হাজব্যান্ড বলতে লাগল জলদি বাড়িতে যাব। তবে আমি দুই একবার বলার সাথে সাথে আমার হাজব্যান্ড ঝাল মুড়ি বিক্রিতা লোকের সামনে নিয়ে গেলেন। তারপর তার সাথে কথা বলে জিজ্ঞেস করতে লাগলো কত কত টাকার বিক্রি করা হয়।
তবে লোকটির মুখের ব্যবহার খুব ভালো। সেই লোকটি খুব সুন্দর করে আমাদের সাথে কথা বলেন। তখন আমার হাজব্যান্ড বলতে লাগল ঝাল মুড়ি লাগবে খাওয়ার জন্য। আর ওই সময় লোককে জিজ্ঞেস করল এইখানে খাবেন নাকি বাড়িতে নিয়ে যাবেন। আমার হাজব্যান্ড বলতে লাগল বাড়িতে নিলে সুবিধা হয়। তখন লোকটি বলতে লাগলো বাড়িতে নিলে হয়তো বা এগুলো একটু ভালো লাগবে না খেতে। আর এইখানে খেলে তো ভালো লাগবে এবং মুড়ি গুলো ভালো থাকবে। আর ওই সময় এমন জোরে বৃষ্টি আসলো আসার কারণে আমরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম রাস্তার পাশে একটি দোকানের সামনে। এবং কিছুক্ষণ বৃষ্টি হওয়ার পর যখন বৃষ্টি কমলো তখন ঝালমুড়ি ওয়ালার কাছে আবার গেলাম।
এরপর আমি আমার হাজব্যান্ড দুজনে আলাদা আলাদা ঝালমুড়ি নিলাম খাওয়ার জন্য। যদিও আমার হাজব্যান্ড কিন্তু ঝাল একটু বেশি খায় তার জন্য আলাদা বানালো। এরপর আমি আর আমার হাজব্যান্ড ওইখানে ঝাল মুড়ি খেলাম লোকটির দোকানের সামনে। এবং খাওয়ার পর অনেক ভালো লাগলো এই কারণে বাড়ির জন্য নিয়ে নিলাম। কারণ বাড়িতে আমার শ্বশুর এবং শাশুড়ি আছে তাদের জন্য। তবে ঝাল মুড়ি খেতে তেমন বেশি টাকা লাগে না। কারণ ১০ টাকা এবং ২০ টাকার মধ্যে ঝালমুড়ি গুলো বিক্রি করা হয়। আর দেখলাম ঝাল মুড়ি বানাতে অনেকগুলো আইটেম লোকটি ব্যবহার করলেন।
এবং বিভিন্ন পদের মসলা ও ব্যবহার করলেন। তারপর আমার হাজব্যান্ড বলতে লাগল টাকা কথা হলো। এবং ঝাল মুড়ি বিক্রেতা চাচাটি বলার সাথে সাথে আমার হাসবেন্ড টাকা দিয়ে দিলেন। তারপর পার্সেল ঝাল মুড়ি গুলো এবং বাজারগুলো নিয়ে আমরা বাড়িতে চলে আসলাম। বাড়িতে আসতে আমাদের 15 মিনিট টাইম লাগলো। আর ১৫ মিনিটের মধ্যে দেখলাম ঝালমুড়ি গুলো একটু নষ্ট হয়ে গেল। নষ্ট বলতে মুড়িগুলো একটু খারাপ হলো। তবে বাড়িতে নিয়ে আসার পর আমার শ্বশুর-শাশুড়ি অনেক খুশি হয়েছে। তারা কিন্তু খেতে অনেক পছন্দ করে ঝালমুড়ি। সত্যি চৌধুরীহাট বাজারে ঝাল মুড়ি খেয়ে এবং বাড়িতেও খেয়ে ভালো লাগলো। তাই ভাবলাম পোস্টটি আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করব। আশা করি আমার পোস্টটি দেখে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1967809170960425185?t=CiwVf2kWrh4yb5zC105Mpw&s=19
https://x.com/bdwomen2/status/1968161675993059490?t=_bfU0-GBTRIi8yC9RxTN6A&s=19