দীর্ঘদিন পরে ব্যাচেলর জীবনের স্বাদ গ্রহণ করলাম
আগে যখন মেসে থাকতাম তখন মোটামুটি মাঝে মাঝে মেসে খালা না আসলে, নিজেদেরকেই রান্না করে খাওয়া লাগতো। সেটা তো ফেলে আসা জীবনের কথা, তাও সেই কার্যক্রম গুলোর বয়স তো অনেকটা বছর হয়ে গেল।
এমনও হয়েছে যে, খালা দুই-তিন দিনের জন্য মেসে আসবে না, ছুটিতে গিয়েছে সে। হয়তো সেই সময় মেসের নিকটবর্তী তখন যাদের বাড়ি ছিল তারা বাড়িতে চলে গিয়েছিল এবং যারা আমার মতো দূরের ছিল তারা আসলে অন্যত্র কোথাও যেতে পারিনি। আমরা মেসেই থেকে গিয়েছিলাম এবং নিজেরাই যা পেরেছি, তাই রান্না করে খেয়েছি ।
যদিও রান্না বড়ই কষ্টসাধ্য ব্যাপার, এটা সেই সময়েও বুঝেছি বা এখনও বুঝি। দীর্ঘদিন নিজেকে রান্না করতে হয়নি। কারণ মোটামুটি ব্যাচেলর জীবনের ইতি টেনেছি অনেক বছর হচ্ছে। এখন তো ঘর হয়েছে, সংসার হয়েছে, সঙ্গে ছোট্ট একটা বাবুও হয়েছে। একটা বার চিন্তা করে দেখুন তো, হুট করে যদি ফেলে আসা জীবন স্বল্প সময়ের জন্য আবারও পেয়ে যান, তাহলে কেমন লাগবে।
এমনটাই মূলত হয়েছে আমার সঙ্গে। গিন্নি গিয়েছে তার আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের দাওয়াতে, যদিও আমার যাওয়ার কথা ছিল। যেহেতু বৃহস্পতিবার রাতে হ্যাংআউট থাকে আর বিয়ে বাড়িতে গিয়ে মূলত হ্যাংআউট করার মত অবস্থা নেই, তাই বাধ্য হয়ে আমি যাইনি, বাসাতেই থেকে গিয়েছিলাম। তবে বাসায় থাকা অবস্থায় দীর্ঘদিন পরে ব্যাচেলর জীবনের যে স্বাদ পেয়েছি তা মুহুর্তেই অতীতের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
গিন্নি মোটামুটি অনেক কিছুই রান্না করে ফ্রিজে রেখে গিয়েছে। আমাকে শুধু নিয়ে গরম করে সেগুলো খেতে হবে আর ভাতটা রান্না করতে হবে। তবে তারপরেও তো এগুলোর সঙ্গেও আমি তেমনটা অভ্যস্ত নই। কারণ দীর্ঘ সময় কাজগুলো করি নি, এটাই সত্য কথা। তবে আজ যখন নতুন করে এই কাজগুলো করছি তখন বেশ ভালই লাগলো, ফেলা আসা জীবনের কথা গুলো বারবার মনে পড়ছিল। হঠাৎ করে পাওয়া ব্যাচেলর জীবনের স্বাদ বেশ ভালোই উপভোগ করছি।
কেমন অনুভূতি এটা আসলে বলা বেশ কষ্টসাধ্য। কারণ আমার গত রাতে গরম পাতিল চুলা থেকে নামাতে গিয়ে হাতের আঙুলে বেশ ভালই ব্যথা পেয়েছিলাম। আসলে গরম পাতিল যে সরাসরি ধরা যায় না তা মনে হয় ভুলে গিয়েছিলাম।
সত্য কথা বলতে গেলে কি , বিশেষ করে রাত্রিবেলাতে এমনিতেই অনেক ঠান্ডা ছিল আর তার মধ্যে দীর্ঘ সময় শো করেছিলাম, যার কারণে অনেক কিছুই গোলমাল পাকিয়ে ফেলেছিলাম।
তারপরেও রাতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি। যেহেতু দুই রকম তরকারি ফ্রিজে রাখা ছিল, তাই দুটো তরকারি যদি দুইবার গরম করতে চাই, তাহলে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। আর আমি সময় বাঁচানোর জন্যই চেষ্টা করেছিলাম দুটো তরকারি একত্রে গরম করার জন্য।
এজন্য একটা পাত্রে দুটো তরকারি একবারে ঢেলে দিয়েছিলাম দিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দিয়েছিলাম। এটাকে কি বলবো জানি না, তবে এটা অনেকটা খিচুড়ির মতো হয়ে গিয়েছিল । তবে এটা করতে খুব একটা সময় লাগেনি, সময় ভালই বেঁচে গিয়েছিল।
যাইহোক অবশেষে রাতের খাবার কোনরকম ভাবে চালিয়ে নিয়েছি কিন্তু দিনের বেলার জন্য ভাবতেই বেশ চিন্তিত হয়ে গিয়েছি। তবে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে মোটামুটি গিন্নিকে ফোন দিয়েছি এবং বলেছি সম্ভব হলে দ্রুত চলে আসো, আমার আর এইভাবে ভালো লাগছে না ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
ভাইয়া, আমি আগেই ধরে নিয়েছিলাম হয়তো আপু কোথাও বেড়াতে গেছে, আর আপনি এদিকে একা একা রান্না করলেন! রান্না করাটাও কঠিন ব্যাপার! যদিও অনেক পুরুষই এই কাজটাকে সিম্পলভাবে নেয়! কিন্তু যে রান্নার কাজটা করে একমাত্র সেই জানে রান্না করাটা কতোটা কঠিন ব্যাপার! রাতে একটা ডিম ভাজি করে খেয়ে ফেললেও পারতেন 😐। যদিও ফ্রিজে তরকারি রেখে গিয়েছিল আপু! গরম করতে গিয়ে আঙুলে ব্যথাও পেয়ে গেলেন!
ভাইয়া তো দেখছি তরকারি গরম করতে করতে হাতে ব্যাথা পেয়েছেন। রান্না করাটা খুব সহজ ব্যাপার যারা রেগুলার করে তারাই জানে। তবে যারা সব সময় করে না তারা যদি একদিনের জন্য রান্না করতে যায় তখন রান্না করাটা খুব কষ্ট। তেমনি আমরাও যদি আপনার এমন কোন কাজ করতে যাই যেটা আমরা কখনো করিনি বা অনেক আগে করেছি কিন্তু দীর্ঘ বিরতির পর করবো সেটা আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। সত্যি বলতে যার কাজ যেটা তার কাছে সেটাই সহজ লাগবে। তবে আপু বিয়েতে যাওয়ার কারণে আপনি কষ্ট করেই এই তিন দিন চলতে হবে। ব্যাচেলার লাইফ আবার উপভোগ করুন।
মাঝে মাঝে এভাবে একা একা যদি সব কিছু করা ভালো তাহলে ভাবির গুরুত্ব আরো বেড়ে যাবে ভাইয়া। সবজি এবং মাংস একসাথে গরম করার আইডিয়াটা কিন্তু দারুন। একেবারে সহজেই দুটো তরকারি গরম হয়ে যায়। যাই হোক আপনি যেহেতু এই কাজগুলোর সাথে অভ্যস্ত নয় তাই হয়তো একটু কষ্ট হয়েছে। আশা করছি আমাদের প্রিয় ভাবি তাড়াতাড়ি চলে আসবে।
ভাইয়া আপনার ব্যাচেলর জীবনের স্বাদ গ্রহণ করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। তবে এটা সত্যি ব্যাচেলর জীবন থাকা অন্য রকম আর কয়েক দিনের জন্য ব্যাচেলর হওয়া অন্য রকম। তবে ভাইয়া আপনি যে মাংস আর সবজি এক সাথে খিচুড়ি বানিয়ে ফেলেছেন। গরম কড়াই এভাবে ঠান্ডা সময় হাত দিয়ে ধরেছেন তাই তেমন কিছু হয়নি। যাইহোক ভাইয়া ভাবি আসলে সব ঠিক হয়ে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কাছে তো বেশ ভালো লাগবে, আগে না জেনে যে ভুলগুলো করতাম সেগুলো এখন শুধরে নিতে পারব 😜
বাহ্ ভাইয়ার তো দেখি ট্রেনিং হচ্ছে। ভাবী কে বুদ্ধি দিতে হবে মাঝে মাঝে এভাবে আপনাকে ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে দিতে । তাহলে ভাবীরও একটু রেস্ট হবে। আর সবজি দিয়ে মাংস গরম করার আইডিয়া কিন্তু মন্দ নয়। একঢিলে দুই পাখি এই আর কি।