চারালপাড়া হাটে গিয়ে বড়া খাওয়ার অনুভূতি।
শুভ দুপুর 🌇
আজ ৩ রা মার্চ,
রোজ সোমবার ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
আসসালামু আলাইকুম,
আমি @nazmul01 ময়মনসিংহ , বাংলাদেশ থেকে।
হ্যালো "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবার। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম চারাল পাড়া হাটে গিয়ে বড়া খাওয়ার অনুভূতি মূলক পোস্ট নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করি।
সবাইকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা, রমজান মাস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি রোজা চলে গেল। সত্যি বলতে ভালো দিনগুলো এভাবেই চলে যায়। কিন্তু রমজান মাসে উপলক্ষে আমি খুব কাজের প্রেসারে থাকি। কেননা মাসের শুরু থেকে সবাই বেতনের জন্য এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন করেন এবং শেষের দিকে ঈদুল ফিতরের কেনাকাটা শুরু হয়। যেহেতু আমার কাজ এটিএম মেশিন নিয়ে তাই সব মিলিয়ে এ মাস খুব চাপের মধ্যে দিয়ে যাবে। রোজার সময় কিভাবে চলে যায় টের পাইনা আমি। যাইহোক আমি শীতের শুরুতে গিয়েছিলাম চারারপাড়া হাটে বড়া খাওয়ার জন্য। চারলপাড়া হাট কাঁচা বাজারের জন্য বিখ্যাত। আমি প্রায় ছোট থেকে এ বাজার সম্পর্কে জেনেছি। বাবা আমাকে হাটে প্রতি সপ্তাহে নিয়ে যেত। সেখানে একটি বড়ার দোকান আছে, সেখানে সুলভ মূল্যে সুস্বাদু এবং জনপ্রিয় বড়া পাওয়া যায়। সে দোকানটি এখনো আছে বর্তমানে তার ছেলে করেন। তাই প্রতি সপ্তাহে শহর এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সবাই বড়া খাওয়ার জন্য ভিড় জমায়। বড়া খাওয়ার জন্য শীতের শুরুতে আমিও গিয়েছিলাম। আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
ছবির অবস্থান :- চারালপাড়া, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
শহর থেকে কিছুটা ভিতরে চাড়াল পাড়া বাজার অবস্থিত। আমি আমার চাচাতো ভাই মিলে জুম্মার নামাজের পড়ে দুপুরে খেয়ে চলে গিয়েছিলাম চারালপাড়া হাটে। কেননা একটু সকাল সকাল না গেলে বড়া খাওয়ার সৌভাগ্য হয় না। দুপুর থেকে বড়া বানানো শুরু হয়,শেষ হয় সন্ধ্যা পর্যন্ত গিয়ে। প্রতিটি বড়ার মূল্য এক টাকা, এক টাকার বড়া দাম হিসাবে খুবই কম। তবে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। চোখের সামনে তৈরি করা হয় তেলে ভাজা মচমচে বড়া গুলো। বড়ার পাশাপাশি তৈরি করা হয় গুলগুলিয়া ও পেঁয়াজু। তাছাড়া সে দোকানে পাওয়া যায় বুরিন্দা ও ছোলা বুট। বিকেলের হালকা নাস্তা হিসেবে অল্প টাকা দিয়ে পেট ভরে খাওয়া যায়। চাচার দোকানে বসেই আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি তুলে নিয়েছিলাম।
ছবির অবস্থান :- চারালপাড়া,ময়মনসিংহ , বাংলাদেশ।
দোকানে ৩-৪ জন লোক ছিল। কেননা অনেক মানুষকে সামলাতে একটু হিমশিম খেতে হয়। অনেকেই হাট বাজার থেকে বিভিন্ন শাকসবজি কেনার পর বড়া খাওয়ার জন্য উপস্থিত হয়। বাজার করার পর ভরা না খেলে হাটে আসার মূল্য থাকে না। তাই সবাই চেষ্টা করে অল্প হলেও ভরা খাওয়ার জন্য। ছোট ছোট বড়া ও বিভিন্ন আইটেমের রেসিপি সামনে সাজিয়ে রাখা হয়। অনেকেই দোকানের সামনে বসে খাচ্ছে, আবার অনেকে বাসার জন্য পার্সেল নিয়ে যাচ্ছে। আমি যখন ফটোগ্রাফি করছিলাম তখন দোকানদার চাচা আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। চেষ্টা করেছি চাচাকে আমার ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি করার জন্য। এ সকল হাট বাজারগুলো গ্রামের ঐতিহ্য। তাই মাঝেমধ্যে আমি সময় পেলে হাটে গিয়ে ঐতিহ্য লালন করার চেষ্টা করি।
ছবির অবস্থান :- চারালপাড়া, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এরপর আমিও আমার চাচাতো ভাই মিলে দশটা বড়া অর্ডার করেছিলাম। ভরাগুলো এতই সুস্বাদু ছিল জায়গায় বসে আপনি ৩০ থেকে ৪০ টি নিমিষে খেয়ে ফেলতে পারবেন। আমিও আমার চাচাতো ভাই মিলে চল্লিশটি ভরা খেয়েছিলাম। আপনারা শুনলে হয়তো অবাক হবেন, কিন্তু আবাক হওয়ার কিছু নেই। আমাদের পাশে বসে অনেকেই ৬০ থেকে ৭০ টি ভরা খেয়েছিল। অনেকেই আবার প্রতিযোগিতা করেন ভরা খাওয়ার জন্য, কে কত বেশি খেতে পারেন। উপরে কিছু বড়া ও অন্যান্য রেসিপিট ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। যেহেতু ফোনটি আমার আগের ছিল, তাই তেমন ভালো ফটোগ্রাফি হয়নি। যাইহোক চেষ্টা করেছি আমি আপনাদের মাঝে সেই ঐতিহ্যবাহী ভরা খাওয়ার অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আশাকরি আমার পোস্ট পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই জানাবেন? আপনাদের সবার মতামত আশা করছি। আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।💞
বিভাগ | লাইফ স্টাইল। |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি ৯। |
বিষয় | চারালপাড়া হাটে গিয়ে বড়া খাওয়ার অনুভূতি। |
লোকেশন | চারালপাড়া বাজার, ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ। |
রাইটার | @nazmul01। |
আমি মোঃ নাজমুল হাসান, আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলায় থাকি। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি বাঙালি। বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে আমি গর্ব বোধ করি। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত। আমি বর্তমানে বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া কবিতা,আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না করা আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের সাথে ঘুরতে যাওয়া এবং বাহিরে খাবার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটি একটি পরিবারের মতো। আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য | এখানে ক্লিক করেন |
---|
X-Promotion
এই ধরনের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার আমার খুবই পছন্দের। বিকেল মুহূর্তে এই ধরনের খাবারগুলো খাওয়ার মজাই আলাদা । বাজারে গিয়ে অনেক খাওয়া হয়ে থাকে। আপনি দেখছি আপনার গ্রামের একটি দোকান থেকে সেই ধরনের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়া-দাওয়া শেষে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ভালো লাগলো।
এই ধরনের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার সবার কাছেই প্রিয়। আমি যখনই যাই তখনই খাওয়ার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ আপনাকে প্রশংসা মূলক কমেন্ট করার জন্য।
ছোটবেলায় আপনার আব্বার সাথে বাজারে গিয়ে ওই দোকান থেকে বড়া কিনে খেতেন জেনে ভালো লাগলো। কিছু কিছু দোকান আছে বাজারে যারা খুব সুস্বাদু খাবার তৈরি করে। আগে দোকানে নিজের ব্যবসা করতো এবং এখন ব্যবসায়ীর ছেলে করে। তবে সুস্বাদু বড়া খেতে কিন্তু ভীষণ মজা লাগে। আপনি শীতের প্রথম দিকে বড়া খেতে চলে গিয়েছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগছে। খুব সুন্দর অনুভূতি এবং মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ।
আপু এই দোকানটি অনেক আগের এবং পুরনো। অনেক সুস্বাদু এবং মুখরাচর খাবার তৈরি করে। তাই প্রতি সপ্তাহে হাটে গিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য।
আপনারা দুইজনে মিলে চল্লিশটা বড়া খেয়েছেন তাহলে। এগুলো আসলে একসাথে অনেক খাওয়া যায়। আপনারা খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন। অনেক রকমের বড়া পাওয়া যায় নিশ্চয়ই সেখানে। ইফতারের সময় এই ধরনের বড়া গুলো খেতে ভালোই লাগে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু অনেক ধরনের বড়া পাওয়া যায়। বড়া গুলা খুবই সুস্বাদু ছিল তাই নিমিষেই চল্লিশটি খেয়ে নিয়েছিলাম।
চাড়ালপাড়া হাটে গিয়ে বড়া খাওয়ার অনুভূতি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই। এই ধরনের বড়াগুলি খেতে আমার বড় ভালো লাগে। আর আপনি তো সেই দোকানের ছবি তুলে এনে সমস্ত ডিটেইল আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। শুধুমাত্র খাওয়ানোটাই বাকি থেকে গেল। এবার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদেরকে এই বড়া খাইয়ে দিন। হা হা হা৷
অবশ্যই ভাই, চলে আসেন আমাদের বাড়িতে। আপনাকে নিয়ে ঘুরতে যাব এবং মন ভরে বড়া রেসিপি খাব। উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বাজারের ছোট দোকানগুলো থেকে এই ধরনের খাবারগুলো কিনে খেতে অনেক ভালো লাগে। বড়া খাওয়ার অনুভূতি দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন। সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ আপনাকেও সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।