বাঙালিয়ানা ||@shy-fox 10 % beneficiary
সময়ের সঙ্গে মানুষের চিন্তাধারা, মানুষের আচার-আচরণ ও মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের ধারাবাহিকতা অনেক পরিবর্তন হয়েছে। যার প্রথম কারণ হচ্ছে, আমি মনে করি সেটা যুগের সঙ্গে নিজেকে তাল মেলানোর এই প্রতিযোগিতা। আমি বলছি না যে, তোমাকে তোমার রুট ভুলে যেতে হবে। আমি বলেছি শুধু যে, তোমার জায়গা থেকে তুমি কতটুকু পরিপক্ক আছো তোমার স্বজাত হিসেবে। সেটা একটু ঠিকঠাক রেখে, বাকিটাকে উপভোগ করো তাতে কোন আপত্তি নেই।
বিষয়গুলোকে আমরা এতটাই জটিল করে ফেলি যে, যেমন দেখেন কিছু মানুষ নিজে জন্মগতভাবে বাঙালি অথচ বাঙালি পরিচয় দিতে বিভিন্ন জায়গায় ইতঃস্তত বোধ করে। কারণ তারা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চলতে ব্যাপারটাকে এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, নিজের স্বজাত কোনটি সে ভুলে গিয়েছে।
তবে এর মাঝেও কিছু মানুষ থাকে, তারা কখনোই তাদের অতীত জীবনটাকে ভুলে যায় না বরং অতীতের স্মৃতি গুলোকে যখন হুটহাট করে বর্তমানে পেয়ে যায়, তখন তারা সেই গুলোকে উপভোগ করে এবং তারা যে আসলেই দিনশেষে বাঙালি,তারা তাদের সেটা আচার-আচরণে বহিরপ্রকাশ করে ফেলে।

গতকাল রাতে আমার স্বামী আমাকে বলেছে, তার এক বাল্যবন্ধু আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসবে। সে মূলত ইউরোপের একটা দেশে থাকে, সম্ভবত দেশটির নাম এস্তোনিয়া। যাইহোক মিথুন বাবুর সঙ্গে এবারই আমার প্রথম পরিচয় হবে। কারণ মিথুন বাবু এবারে আমাদের বাড়িতে প্রথম আসছে। মূলত মিথুন বাবু দেশে আসছে বিয়ে করার জন্য।
যদিও সে ঐ দেশের মোটামুটি গ্রীন কার্ড হোল্ডার। তবে চাইলেই সে ওখানকার কোন এক বিদেশীনিকে বিয়ে করে সেখানে আরো ভালোভাবে পাকাপোক্ত করে জীবনযাপন করতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এর চিত্র উল্টো। কারণ মিথুন বাবু চায়, তার বাঙালিয়ানা জীবনটাকে পুনরায় উপভোগ করতে। এই জন্যই সে দেশে এসেছে বিয়ে করতে আর মূলত আমাদের বাড়িতে এসেছে আমার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে এবং আমার স্বামীর যেহেতু বাল্যবন্ধু। তাই তাদের মধ্যে একটু গভীর আলাপচারিতা চলমান ছিল।

বাড়িতে আজকে দুপুরবেলা সব রান্নাবান্না করা হয়েছে মূলত মিথুন বাবুর জন্য। যাইহোক চেষ্টা করা হয়েছে সব খাবারে বাঙালিয়ানা ভাব রাখার জন্য। মিথুন বাবু ভীষণ খুশি। কারণ দীর্ঘদিন পরে বাঙালি খাবার পেয়ে, সেও মূলত তৃপ্তি সহকারে খেয়েছে এবং যাওয়ার সময় আমার প্রশংসা করল। যাইহোক দিনটা মোটামুটি এমনই ছিল।
সত্যি বলতে কি, দূর প্রবাসে থেকেও দীর্ঘদিন পরে যখন দেশে এসে বাঙালিয়ানার সত্তাটাকে আবার নিজের মতো করে জানান দেয়, এটাই আমাদের কাছে অনেক ভালো লাগে। কারণ এই মানুষগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা জাগে এই জন্যই, কারণ তারা দূর প্রবাসে গিয়ে তাদের নিজস্ব সত্তাকে ভুলে যায়নি। মিথুন বাবুর বিয়ে তাড়াতাড়ি হোক এই কামনাই করি।
যারা বিদেশে থেকে নিজের দেশের সাংস্কৃতিকে ভুলে যায় আসলে জীবনটাকে তারা সেভাবে উপভোগ করতে পারে না। অনেক ভালো লাগলো যে আপনার স্বামীর বন্ধু মিথুন বাবু দেশেই বিয়ে করছেন। আর সাথে অনেক সুন্দর রান্না ও করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু আর মিথুন বাবুর জন্য শুভকামনা রইলো
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
কথাগুলো খুবই বাস্তব ধর্মী আসলে আমরা বাঙ্গালী হয়েও নিজেকে বাঙালি বলতে লজ্জাবোধ করে। এটা খুবই খারাপ লাগে। আপু অনেক ভালো লাগলো কথা গুলো পড়ে।অনেক ভালো লাগলো আপনি মিথুন বাবুর জন্য সকল খাবার রেডি করতে পেরেছেন খুবই যত্ন সহকারে। খুবই ভালো ছিল খাবারগুলো।আমরাও দোয়া কামনা করি তাড়াতাড়ি যেন বিয়ে হয়ে যায়। অনেক ভালো লাগলো
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
আসলে আপু আমি যখন আপনার পোস্টটি প্রথম দিক থেকে পড়া শুরু করেছি এবং আমি কিছু অংশ পড়ার পরে আমার মাথায় একটা জিনিসই খালি ঘুরপাক খাচ্ছিল যে আপনি এই লেখাগুলোর মাঝে কেন এই খাবারের ছবি গুলো দিলেন। পড়তে পড়তে যখন দেখলাম আপনি আপনার স্বামীর বাল্যকালের বন্ধু মিথুন বাবু জন্য এই রান্নাগুলো করেছে তখনই বুঝতে পারলাম বিষয়টা। আর বাঙালিয়ানা, আমরা বাঙালিরা এটার জন্য গর্ববোধ করি নিজেকে। আপনি এই বিষয়টার উপর খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন খুব ভালো লেগেছে আমার। আপনার সাথে আমিও এই কামনা করি যে মিথুন বাবু যেন খুব তাড়াতাড়ি তার অর্ধাঙ্গী কে পেয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
আপনি মাইকেল মধুসুদন দত্তের কপোতাক্ষ নদ
কবিতাটি যদি পড়েন থাকেন, তাহলে বুঝতে পারবেন। কবি নিজেই বিদেশ গিয়েও নিজের দেশের কথা ভুলতে পারে নি, যেমনটি আপনার স্বামীর বন্ধু মিথুন বাবু চাচ্ছে দেশি মেয়ে বিয়ে করতে।যাইহোক অনেক সুন্দর লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
আপু আপনার কথা গুলো পড়ে ভালো লাগলো। যে মিথুন বাবু বিদেশে থেকেও বাঙালিয়ানা ভুলেন নাই। আপনি খুব সুন্দর রান্না করেছেন। আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বৌদি। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
মিথুন বাবুর বিয়ে করার জন্য দেশে আসার ঘটনাটি সত্যিই তার বাঙালি আবেগের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। আসলেই আমাদের রুট আগে ঠিক রাখতে হবে এবং সেটা ঠিক রেখে আমরা অন্য অনেক কিছুই হয়তো করতে পারি। রান্না গুলো চমৎকার ছিল আপু। আশা করি ভাই, অতিথী সবাই খুব উপভোগ করেছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
খুব সুন্দর একজন লোককে নিয়ে লিখেছেন। বাঙালি আমরা,বাঙালিয়ানা কালচার নিজের মধ্যে ধারণ করতে হবে।খাবারের ছবিগুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।