লাভায় প্রকৃতির সান্নিধ্যে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে কালিম্পং এর কাছাকাছি লাভা জায়গাটিতে কিছু মুহূর্ত এবং ছবি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে।
গতবছর আমরা ঝালং এ ঘুরতে গিয়েছিলাম । বেশ কম দিনের জন্যই আমাদের ঘোরার ট্রিপটা ছিল ।প্রায় তিন দিনের কাছাকাছি।আমরা ঝালং-এ গিয়েছিলাম বর্ষাকালের দিকে। বর্ষাকালে প্রকৃতি এত সুন্দর থাকে যে চোখ ফেরানো যায় না। আর তার মধ্যে যদি পাহাড়ি রাস্তা হয় সেটা নিজের চোখে না দেখলে আমি বলে বোঝাতে পারবো না। পাহাড়ি রাস্তায় গাছপালা বর্ষাকালে এত সতেজ আর এত সুন্দর দেখতে লাগে যে বারবার মনে হয় ওখানেই ছুটে যাই আর ওখানেই থেকে যাই।
ঝালং থেকে লাভার দূরত্ব ছিল প্রায় ৭৫ কিলোমিটার। যত উপরের দিকে উঠছিলাম আর তত যেন মনে হচ্ছিল মেঘের কাছাকাছি চলে আসছিলাম। কারণ অনেকটা উপরে এই লাভা। হালকা হালকা ঠান্ডা লাগছিল আর চারিদিকে শুধু মেঘ আর মেঘ। বেশ ওই মুহূর্তটাকে উপভোগ করেছিলাম ।যখন লাভা এসে পৌঁছালাম লাভার প্রকৃতি দেখে চোখ ফেরাতে পারছিলাম না।
এখানে একটি বৌদ্ধ মন্দির আছে।প্রথমে কয়েকজন সন্ন্যাসী নিয়ে এই বৌদ্ধ মন্দির নির্মিত হয়েছিল।যত দিন গেছে ততই এখানে সন্ন্যাসীদের সংখ্যা বেড়েছে।এখানে বৌদ্ধ ভিক্ষু দের সাহিত্যের কঠোর অধ্যয়ন এবং ধ্যানে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। এখানের যে মঠটি রয়েছে ভীষণ ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। এমনকি বিশুদ্ধ প্রশান্তি এবং কাছাকাছি পাখির কিচিরমিচির পরিবেশের সাথে, এই জায়গার সৌন্দর্য অতুলনীয়।
এখানে প্রায় সময় কুয়াশায় ঢাকা থাকে। এখানে অবস্থিত যে লাভা স্কুলটি রয়েছে সেই স্কুলের পরিবেশটাও এত সুন্দর যেন মনে হচ্ছে চারিদিকটা কেউ সাজিয়ে রেখে দিয়েছে ।যেখানেই তাকাচ্ছি যেন গাছপালা প্রকৃতি ঘিরে রেখেছে সকলকে। তাছাড়াও এখানে এমন কিছু ফুল রয়েছে যা দেখার মত ।আমি সেই ফুলগুলোর নাম জানি না একমাত্র এই পাহাড়ি জায়গায় এসেই আমি এই ফুল গুলোকে প্রথম দেখেছিলাম এবং আমার খুব ভালো লেগেছিল।
সব মিলিয়ে লাভা জায়গাটি ভীষণ সুন্দর ।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

দিদি প্রকৃতির সানিধ্যে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।আর আপনি তো দেখছি মেঘের অনেক কাছাকাছি চলে গিয়েছেন। সত্যি পাহাড়ি রাস্তা ফটোগ্রাফিতে এতো সুন্দর লাগছে বাস্তবে না আরো কতো সুন্দর। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দিদি সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ই দিদি জায়গাটি খুব চমৎকার। এমন প্রকৃতির প্রেমে যে কোন মানুষই পরবে।আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে এমন প্রকৃতি,পাহাড় আর নীরবতা। দারুন সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।আর উপভোগ করেছেন সবুজের সান্নিধ্যে থেকে প্রকৃতির সতেজতা।আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি আপনাকে।
দিদি আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার আজকের পোস্টে বিভিন্ন তথ্যের মধ্যে বৌদ্ধদের এই তথ্য জানতে পেরে আমার বেশি ভালো লেগেছে। কারণ আমি ইতিহাস ও তথ্য পেতে বেশি পছন্দ করি।
আমি যদি ভুল না বলি সেখানে গিয়ে আপনার একটা রিসোর্টে ছিলেন এবং এতটাই নিরিবিলি সময় কাটিয়েছিলেন যেন যান্ত্রিক শব্দ পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছিল না। আমি পড়েছিলাম আপনার সেই বিগত ব্লগটি দিদি ভাই। তাছাড়াও আপনার ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে, আসলেই প্রকৃতির একদম খুব কাছাকাছি ছিলেন আপনারা। ছবিগুলো উপভোগ করলাম বেশ দিদিভাই।
ওয়াও! ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো চোখ ফেরানো যাচ্ছে না দিদি। প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে সত্যিই দারুণ লাগে। আসলে এমন জায়গায় গেলে মনটা একেবারে শীতল হয়ে যায়। বৌদ্ধ মন্দিরটিও জাস্ট অসাধারণ। সব মিলিয়ে পোস্টটি দারুণ হয়েছে দিদি। যাইহোক এতো মনোমুগ্ধকর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।