সার্কাস শেষ পর্ব ❤️

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago

হ্যালো

কেমন আছেন সবাই। আশা করছি খুবই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি আপনাদের আশির্বাদে ও সৃষ্টি কর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো সার্কাসের শেষ পর্ব । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

PhotoCollage_1744180413172.jpg

সার্কাস শুরু হয়ে গেলো প্রথম তিন তিনজন বন মানুষ মঞ্চে এসে দুষ্টমী করতে লাগলো।দেখে খারাপ লাগছিলো তাদের জীবনে ধারণ দেখে কিন্তুু আমার মেয়ে খুবই মজা পেয়েছে। আসলে ছোট বেলা এরকম কিছু দেখলে আমরাও মজা পেতাম কিন্তুু এখন কষ্ট হয়।সার্কাসের প্রতিটি মানুষের জন্য খারাপ লাগছিলো এটা ভাবে যে পরিবার পরিজন ও নিজেদের জীবন ধারনের জন্য করতো টা কষ্ট করছে তারা জীবনের ঝুকি নিয়ে খেলা দেখাচ্ছে। কতো উপরে উঠে ঝুলে ঝুলে দুজনে খেলা খালো রিক্স নিয়ে একটু ভুল হলেই পড়ে গিয়ে সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করতে হবে।

IMG_20250409_102052.jpg

IMG_20250409_102251.jpg
এবার একটি চিকন তারের উপর দিয়ে একটি ছেলে হেটে যাওয়ার দৃশ্য দেখালেন।বিশেষ ট্রেনিং ছারা এরকম চিকন তারের উপর দিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।মনে হয়েছিল পারবে না পুরা তারটি হাঁটতে কিন্তুু সত্যি হেঁটে চলে গেছে তবে হাত ছড়িয়ে নিজের ব্যালেন্স ঠিক রেখেছিলো।রশিটি যে হারে দুলছিলো আমার মনে হয়েছিলো যে এই বুঝি পড়ে যাবে কিন্তুু না শেষ অবদি রশির উপর দিয়ে হাঁটা সফল হয়েছে।

IMG_20250409_102410.jpg

এবার একটি চৌকি পেতে তাতে একটি লোক ড্রাম খেলা দেখালো।তবে শুধু ড্রাম নয় ড্রামের ভিতরে একটি বাচ্চা মেয়ে ছিলো।মেয়েটিকে নিয়ে পায়ের উপরে পুরা ড্রামটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খেলা দেখালো এবং শেষে ড্রমের মুখ খুলে মেয়েটি বেরিয়ে আসলো।হঠাৎ ড্রাম থেকে মেয়েটি বেরিয়ে আসাকে আশ্চর্যজনক খেলা মনে হয়েছিল ক্ষনিকের জন্য তবে আমার নয় আমার মেয়ের।

IMG_20250409_102854.jpg
এবার লক্ষ্য করলাম বিশাল বড়ো সাইজের একটি কলস নিয়ে এসে তা জলে পরিপূর্ণ করা হলো এবং মিউজিক বাজানো হলো।একটি লোক নাচতে নাচতে এসে সেই জল ভর্তি কলসটি খুব কষ্টে মাথায় তুল্লেন এবং না ধরে মাথায় জল ভর্তি কলস রেখে শুয়ে বসে দাঁড়িয়ে ডান্স শুরু করে দিলেন। এবার এই খেলেটা দেখে অবাকে লাগছিলো কারণ ভর্তি কসলটি মাটিতে একেবারে জন্য ও পড়লো না এবং জলও বাইরে পরলো না।

IMG_20250409_115120.jpg

IMG_20250409_115102.jpg
এরপর পরবর্তী খেলা হিসেবে আসলো রিং খেলা।কিছু রিং রাখলো মঞ্চে এবং একটি নয় দশ বছরের বাচ্চা মেয়ে মাঠে এসে মিউজিকের তালে তালে নেচে নেচে কোমড় দুলিয়ে দুলিয়ে সব গুলো রিং নিজের শরীরে সাথে নিয়ে নিলো এবং কোমড় দুলিয়ে দুলিয়ে দেখালো এবং কোমড় দুলিয়ে দুলিয়ে আবার রিং গুলো শরীর থেকে বের করে দিলো।ছোট্ট বাচ্চা টির এই খেলাটা বেশ ভালোই লেগেছে।

PhotoCollage_1744178141290.jpg
এবার বল খেলা নিয়ে এসেছে। অনেক গুলো বল দিয়ে খেলা শুরু করলো।দুটো বলে দাড়িয়ে দু আঙ্গুলে দুটো বল মাথায় বল এভাবে সুন্দর করে বল খেলা দেখাতে লাগলো।দুটো বলে দাড়িয়ে বেশ কিছু সময় খেলা দেখালো কিন্তুু বল থেকে এক মিনিটের জন্য ও পরলো না।বেশ ভালোই লাগছিলো এই বল খেলা দেখতে।

PhotoCollage_1744178403811.jpg
এভাবে আরো নানান রকমের খেলা দেখালো। খেলা দেখতে দেখতে একদমই সার্কাসের শেষ প্রন্তে চলে এসেছি। এখন হাতি খেলা দেখাতে আসবে সে কথা শুনে আমি ভয়ে জড়োসরো হয়ে গেলাম এবং বরকে বল্লাম চলো উঠি।কারণ সার্কাসের কমিটি থেকে আমাকেও বরকে একদমই সার্কাস হয় যেখানে সেখানে বসিয়েছে আর যে খানে আমরা বসিছি ওই পথ দিয়ে খেলা দেখাতে আসা যাওয়া করে সার্কাসের টিম।হাতি ওই পথেই আসবে আমি তারাতাড়ি উঠে চলে আসলাম এবং দেখলাম টিভি চ্যানেল থেকেও নিউজ করতে এসেছে।সেখানে দাঁড়িয়ে হাতির খেলা দেখতে লাগলাম। হাতি খেলা বলতে হাতি হামাগুড়ি দিলো সেটি।আমরা যখন ছোট বেলায় সার্কাস দেখেছি তখন হাঁতি একটি বলের উপরে উঠতে এই ছিলো খেলা আর আজ দেখলাম হামাগুড়ি। হামাগুড়ি হোক বা বল খেলা হোক দুটোই অনেক কষ্টের খেলা মনে করি আমি কারণ হাতির বিশাল দেহ নিয়ে মাটিতে হামাগুড়ি দেয়া চাট্টিখানি কথা নয়।বলে চার পা তুলে খেলা দেখাও হাতির জন্য ভীষণ ঝুকিপূর্ণ খেলা।মানুষ চাইলে সব পারে মনে হলো কারণ হাতি একটি বন্য জন্তুু আর সেই হাতিকে কিভাবে পোষ মানিয়েছেন এবং খেলা শিখিয়েছে এটা অবিশ্বাস মনে হলেও সত্যি।

IMG_20250409_120338.jpg

IMG_20250409_120330.jpg
খেলা শেষ চলে আসবো বাইরে।বাইরে বেশ মেলা বসেছে সার্কাস উপলক্ষে। গেটে ভির দাড়িয়ে আছি ভির কমলে বের হবো হঠাৎ মেয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলো সামনে হাতি পড়ছে মেয়ে দিলো ভো দৌড় আমি ও মেয়ের পিছু পিছু দৌড় হাতিও পিছু পিছু আসছে।সত্যি ভয় পেয়ে গেছি তখন কারণ ফেসবুকে দেখেছি ঢাকায় চিড়িয়াখানায় একটি হাতি মাহুতের ছেলেকে কি নির্মম ভাবে আছড়ে আছড়ে মেরে ফেলেছে। সেজন্য হাতিকে ভয় পাই।এটা অস্বাভাবিক কিছু নয় বন্য প্রাণী বিগড়ে গেলে মাহুতের কথা শোনে না।

মেলায় খাওয়াদাওয়া করলাম ঝালমুড়ি এরপর লটারি কাটলাম।বেশ কয়েকটা মোটরসাইকেলটি দাড় করে রেখেছে। মনে মনে ভাবলাম যদি একটা পেয়ে যাই মন্দ কি🙃বিশটাকা মাত্র টিকিট। চারটি লটারি কাটলাম আমরা। রাতে ড্র হবে। চলে আসলাম বাড়িতে।ফেসবুকে হঠাৎ লাইভ দেখলাম লিটার ওখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে কারণ লটারি নিয়ে ঝামেলা হয়েছে আর নতুন মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পরিস্থিতি বেগতি দেখে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসেছে।লাইভে বলতে শুনলাম শিল দিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীদের ঢিল ছোরার নির্দেশ দিছে।সেনাবাহিনী পিটুনি শুরু করলে সব পালিয়ে গেছে এবং লটারি পন্ড হয়ে গেছে মনে মনে ভাবছিলাম লটারি জিতে ছিলাম হয়তো।সকালে উঠে শুনলাম এলাকার কয়েকজন ছেলে গিয়েছিল রাতে আর তখনি ঝামেলা এবং সেনাবাহিনীর ধাওয়া খেয়ে ধান লাগানোর জন্য তৈরি করা কাদা মাটিতে পড়ে গিয়ে মাটি বাবা হয়ে বাড়িতে এসেছে 🙂।

আমরা বাঙ্গালী বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছি দিন দিন লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ কথায় কথায়। জানি না তারা কেমন মানুষ। আসলে লুটকরে বসে খেতে পারলে মন্দ কি।আর যারা অগ্নিসংযোগ করে তারা হিংসুটে নিজের নাই জন্য অন্যের ভালো সহ্য করতে পারে না।

সবার সুবুদ্ধি উদয় হোক

এই কামনায়।

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আবারও দেখা হবে অন্যকোন নতুন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।

টাটা

পোস্টবিবরণ
পোস্ট তৈরি@shapladatta
শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
ডিভাইসOppoA95
লোকেশনবাংলাদেশ

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230826_182241.jpg

আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



IMG_20250331_003045.jpg

IMG_20250331_003019.png

Sort:  
 4 days ago 

তোমার সার্কাসের গল্প গুলো পড়ে ছোটবেলার সেই পুরনো দিনের স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেলো।অনেকগুলো বছর আমাদের এলাকায় সার্কাস হয়নি আবারো নতুন করে সার্কাস হওয়াতে এলাকার লোকজন বেশ মজা পেয়েছিলো তা তোমার গল্প পড়েই বুঝতে পারলাম।তবে শেষের দিনের ঘটনাটি বেশ দুঃখজনক ছিলো এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো এক নিমেষেই সকল আনন্দ গুলো নষ্ট করে দেয়।সব মিলিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই তোমাকে।