বৃষ্টিভেজা দিনে খিচুড়ি খাওয়ার আনন্দ।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আপনারা সবাই জানেন যে গত দুইদিন যাবত ভারত এবং বাংলাদেশের উপর দিয়ে একটি গভীর নিম্নচাপ অতিক্রম করছে। যার প্রভাবে বাংলাদেশসহ ভারতের কিছু অঞ্চলে মাঝারি থেকে উচ্চ পর্যায়ের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতেও গত ২৪ ঘন্টায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। এখনো থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার। শুক্রবারে মন থেকে যদিও বৃষ্টিপাত চায় না, তারপরেও সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে যখন দেখি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তখন মনের মধ্যে আনন্দ জাগে। ঘুম যেন আরো গভীরভাবে চেপে ধরে। এমনিতেও শুক্রবারে ঘুম ভাঙতে চায় না, সকাল ১০ টা বা ১১ টার আগে ঘুম ভাঙ্গে না। সেখানে যদি বাহিরে টিপটিপ বৃষ্টি পড়ে তাহলে তো ঘুম ভাঙ্গার প্রশ্নই আসে না। বাহিরে বৃষ্টিপাত দেখলে কাথা মুড়িয়ে ঘুমাতে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু পেটের ভিতরের পোকাদের আন্দোলনে ঘুম থেকে উঠতে বাধ্য হয়।
এই টিপ টিপ বৃষ্টি পরা দিনে যদি এক প্লেট খিচুড়ি আর সাথে ঝাল ঝাল মাংসের ঝোল থাকে। তাহলে ব্যাপারটা কেমন হয়। আজকে ঠিক এমনি একটি মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। খিচুড়ি বাঙালির জীবনে শুধু একটা খাবার না, এটা একটা অনুভব, একটা আবেগ। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে। নরম, ঝরঝরে চাল আর ডালের সংমিশ্রণে তৈরি সেই খিচুড়ি যখন মুখে যায়, তখন মনটা এক ধরনের শান্তিতে ভরে ওঠে। আর তার সাথে যদি থাকে ঝাল ঝাল মুরগির ঝোল, সেই ঝোলের রঙ, গন্ধ আর স্বাদ একসাথে হৃদয়ে একটা উষ্ণতা সৃষ্টি করে।
আজকের এই মেঘলা, বৃষ্টিভেজা দিনটা যেন আমার জন্য এক অন্যরকম অনুভূতি নিয়ে হাজির হয়েছে। চারপাশের আকাশ ধূসর, ছিমছাম বাতাসে ভেসে আসে মাটির গন্ধ, আর জানালার ধারে বসে হঠাৎই মনে হলো, আজ যদি এক প্লেট খিচুড়ি থাকতো ভাবনার পর আর দেরি নয়। রান্নাঘর থেকে ভেসে আসা ধোঁয়া আর মসলার ঘ্রাণই জানান দিল, আমার মনের কথা যেন আগে থেকেই কেউ জেনে গিয়েছিল।😋
সকালের নাস্তায় টেবিলে যখন দেখি ধোঁয়া ওঠা গরম গরম খিচুড়ি, সাথে ঝাল ঝাল মুরগির মাংসের ঝোল আর কয়েক টুকরো আলু, তখন সত্যিই মনটা ভরে উঠল। এক পাশে রাখা ঠান্ডা শসা, লেবু, কাঁচা মরিচ পুরো কম্বিনেশনটাই পাগল করে তুলেছে। প্রথম এক চামচ মুখে দেওয়ার পরই মনে হল, এটাই বোধহয় সেই মুহূর্ত, যেটা মানুষ স্মরণীয় করে রাখে। সাথে সাথে মোবাইলটা হাতে নিয়ে ক্লিক ক্লিক কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
বৃষ্টির শব্দ, জানালার কাচে জলের ধারা, আর প্লেটের এক কোণে জমে থাকা খিচুড়ির হলুদ ছোঁয়া, এই সমন্বয়টাই তো একটা গল্প। প্রতিটা কামড়ে যেন ফেলে আসা শৈশবের স্মৃতি ফিরে আসে। বৃষ্টি ভিজে স্কুল থেকে বাসায় ফেরা, ছুটির দুপুরে বন্ধুদের সাথে বৃষ্টি ভিজে ফুটবল খেলা, আর মায়ের হাতের রান্না করা খিচুড়ি খাওয়া। সেই স্মৃতি গুলো খুবই মিস করি। সেই ফেলে আসার শৈশবের সময় গুলো আর কোন দিন ফিরে আসবে না। কিন্তু মন থেকে কখনো মুছেও যাবে না।
বৃষ্টি পড়ছে এখনো। জানালার পাশে বসে গরম চায়ের কাপ হাতে নিয়ে ব্লগটি লিখতেছি। জীবনে অনেক বড় বড় স্বপ্ন থাকতে পারে, কিন্তু এমন ছোট ছোট মুহূর্ত গুলোই আমাদের মন ছুঁয়ে যায়। এক প্লেট খিচুড়ি, একটুখানি ঝাল ঝাল মাংসের ঝোল এটাই মনে এনে দেয় তৃপ্তি। এটাই হয়তো বৃষ্টিভেজা দিনের আসল সৌন্দর্য।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ৩০.০৫-২০২৫ |
সময় | সন্ধা-১০.৩০ মিনিট |
স্থান | নিজ বাসা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
https://x.com/RamimHa74448648/status/1928315263784735061?t=BRfD5lNzZ4WeFHcPuG3kHQ&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1928314647452459358?t=UV4nZa82Y6lex1GZAYOJBw&s=19
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া,বৃষ্টির দিনে খিচুরি একটা আবেগ। বাঙ্গালির রসনা বিলাস নতুন কিছু নয়! সেই আদিকাল থেকে চলে আসছে। বৃষ্টির দিন মানেই খিচুরির আয়োজন, এ যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে। আমার বাসায় গতকাল ছিল খিচুরির আয়োজন। ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটি। বৃষ্টিভেজা দিনে খিচুরি খাওয়ার আনন্দ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
জী আপু বৃষ্টির দিনে খিচুড়িটা দারুন স্বাদ লাগলো।
বৃষ্টির সময় খিচুড়ি খাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। আজকে সকালে উঠে আম্মুকে বলেছিলাম খিচুড়ি আর মুরগির মাংস রান্না করার জন্য। আম্মু ঠিক খিচুড়ি এবং মুরগির মাংস রান্না করেছে। খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। কালকেও ভর্তা এবং খিচুড়ি খেয়েছি। পাশের রুমের এক আন্টি দিয়েছিল। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
তারমানে মোটামুটি সবাই খিচুড়ির লাভার।😋
বৃষ্টিভেজা দিনে খিচুড়ি খাওয়ার আনন্দ শেয়ার করেছেন।বৃষ্টির দিনে গরম গরম খিচুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা।আপনার পোস্ট পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল! বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফিরে মায়ের হাতের গরম খিচুড়ি খাওয়ার স্বাদ এখনও মুখে লেগে আছে।বৃষ্টির দিনে খিচুড়ির সঙ্গে যদি বই পড়া বা পুরনো গান শোনা যায়, তাহলে আনন্দ দ্বিগুণ হয়!
জী ভাই বৃষ্টির দিনের খিচুড়ি অন্যরকম অনুভূতি।
ঠিক তাই বৃষ্টির দিনে এক প্লেট খিচুরি সাথে ঝাল ঝাল মাংস যেনো একটা আবেগ একটা অনুভব। বৃষ্টি হলেই খিচুরি খেতে মন চায়। আমি খেলাম । বৃষ্টির দিনে খিজুরি খাওয়ার মজাই অন্য রকম।
জী আপু বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা।
কয়েকদিন থেকে সব জায়গাতেই বৃষ্টি হচ্ছে। আর বৃষ্টি ভেজা দিনে খিচুড়ি খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। যদিও এবার এখনও খিচুড়ি খাওয়া হয়নি। তবে মনে হচ্ছে খেতে ভালোই লাগবে।
যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে একদিন খিচুড়ি খেয়ে দেখবেন।
ঠিক বলেছেন এই বৃষ্টি ভেজা দিনে খিচুড়ি খেতে কানা ভালো লাগে। আর আপনার খিচুড়ি দেখে তো আমার জিভে জল চলে আসলো। এবারে আমাদের এখনো খাওয়া হয়নি। ভাবতেছি আমার ওয়াইফ কে বলব তাড়াতাড়ি খিচুড়ি রান্না করার জন্য। আপনার মজার খাবার দেখে লোভ লেগে গেল।
জী ভাইয়া ভাবিকে বলেন একদিন খিচুড়ি রান্না করতে।
ওয়াও এই বৃষ্টির সময় খিচুড়ি খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।আপনার আনন্দময় খিচুড়ি খাওয়ার অনুভূতি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া।বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে সবাইকে অনেক ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।