বাচ্চাদের নিয়ে কে এফ সি তে খাওয়া দাওয়া
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বাইরে গেলেই বাচ্চাদের খাওয়ার বায়না। এমন কোনদিন হয়নি যে বাইরে কোন কাজে গিয়েছি আর বাচ্চারা বাইরের খাবার খায়নি। বিশেষ করে আমার ছোট ছেলে বাইরে গেলেই শুরু হয়ে যায় ক্ষুধা লেগেছে ক্ষুধা লেগেছে। কিন্তু খাবার খেতে গেলে তখন আর তেমন কিছুই খায় না। কেন যে এমন করে বুঝতে পারি না। বেশ কিছুদিন আগে কেএফসিতে গিয়েছিলাম। আমরা বেশিরভাগ সময় বিএফসিতে খাই। আমার কেন যেন মনে হয় কেএফসির চিকেন থেকে বিএফসির চিকেন গুলো বেশি মজা। এজন্য কখনো চিকেন খেতে গেলে বিএফসিতেই যাই। সেদিন বিএফসি খোলা ছিল না জন্য কেএফসিতে ঢুকেছিলাম। এবার কেন যেন কেএফসির চিকেনগুলো বেশ মজা লাগলো। হয়তো অনেকদিন পরে খেয়েছি সেজন্য। তাছাড়া এদের ভেতরের পরিবেশটা খুব গোছানো সুন্দর মনে হয়েছে আমার কাছে। বাচ্চারা চিকেন ফ্রাই খেতে বেশি পছন্দ করে। এজন্য বাইরে গেলে বেশিরভাগ সময় চিকেন আইটেম খাওয়া হয়। চিকেন আইটেম খাওয়ার জন্য কেএফসি বিএফসির থেকে ভালো আর কিছুই নেই মনে হয়।
শুরুতেই ঢুকে একটা টেবিলে বসে আমরা কাউন্টারে চলে গিয়েছিলাম খাবার অর্ডার করার জন্য। ওদের বেশ কয়েকটি সেট মেনু ছিল। ওখান থেকে একটি সেট মেনু বেছে আমরা অর্ডার করলাম। তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো খাবারের জন্য। এই ফাঁকে আমি রেস্টুরেন্টের কয়েকটি ছবি তুললাম। রেস্টুরেন্টটি খুব সুন্দর করে ডেকোরেশন করা ছিল।
উপরে লাইটিং গুলো খুব ভালো লেগেছিল আমার কাছে। হালকা-আলো দিচ্ছিলো। তাছাড়া নিশ্চয়ই ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন যে ভিতরটা কত সুন্দর নিরিবিলি গোছানো ছিল। আমরা একটু বেশি রাতে গিয়েছিলাম জন্য খুব একটা ভিড় ছিল না। একদিন সন্ধ্যার সময় গিয়ে এই ভিড়ের কারণে ফিরে এসেছিলাম। এজন্য এবার রাত করে গিয়েছিলাম।
রাস্তার সাইডের যে পাশটা ছিল ওই পাশটা ওরা পুরো কাঁচের রেখেছিল। এজন্য বাইরে সব দেখা যাচ্ছিল। তাছাড়া এখানেও কিছু বসার ব্যবস্থা ছিল। আমার বাচ্চারা তো শুরুতে গিয়ে ওখানে বসেছিল। চেয়ারগুলো অনেক উঁচু ছিল জন্যই পরে আমরা অন্য চেয়ারে বসে ছিলাম।
বসে গল্প করতে করতে আমাদের খাবার চলে এসেছে। আমরা যে মেনুটি অর্ডার দিয়েছিলাম তার মধ্যে চারটি লেগ পিস, দুটি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন স্টিক, চিকেন পপকর্ন, দূটি বান ও দুটি কোল্ড ড্রিংকস ছিল। সবকিছু সহ দাম নিয়েছিল ৯০০ টাকা। সব চিকেন আইটেম হওয়ার কারণে বাচ্চারাও বেশ মজা করে খেয়েছিল। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy

বাচ্চাদেরকে নিয়ে কেএসপিতে খুব ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। আসলে চিকেন আইটেমগুলো বাচ্চারা খুবই পছন্দ করে। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব মজা করে সবাই খেয়েছেন এবং খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন। কেএসপি রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা সত্যি খুব সুন্দর। আপনার সুন্দর মুহূর্তটুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু কেএসপি না কেএফসি তে খাওয়া দাওয়া করেছি। আসলেই বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কেএফসিতে বাচ্চাদের নিয়ে বেশ আনন্দে কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন। রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা অনেক সুন্দর ছিল এবং আমার কাছে নিরিবিলি মনে হয়েছে। আপু ঠিক বলেছেন চিকেন আইটেম বাচ্চাদের অনেক ফেভারেট। আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আমরা অনেক রাতে গিয়েছিলাম জন্যই বেশি নিরিবিলি ছিল পরিবেশটা। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কেএফসিতে গিয়ে দেখছি বাচ্চাদেরকে নিয়ে খুব ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছিলেন আপু। রেস্টুরেন্টটা কিন্তু খুবই সাজানো গোছানো, আমারও অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে এটি দেখতে। ভিতরের পরিবেশটা একেবারে নিরিবিলি এবং খুবই সুন্দর। খাবারের আইটেম গুলোও খুবই সুন্দর ছিল। বাচ্চারা মনে হচ্ছে বেশ মজা করে খেয়েছিল। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের সকলের মাঝে। সম্পূর্ণটা বেশ ভালোই উপভোগ করলাম।
রেস্টুরেন্টটা ছোট হলেও বেশ সাজানো গোছানো ছিল। খুব ভালো লেগেছিল গিয়ে। আর রাত করে যাওয়ার জন্যই নিরিবিলি পরিবেশটা পেয়েছিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
দারুন একটা আনন্দঘন মুহূর্ত আজ আপনি আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছেন। যেখানে বাচ্চাদের নিয়ে খাওয়া-দাওয়ার সুন্দর একটা অনুভূতি। সব মিলিয়ে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন বিশেষ মুহূর্তের ফটোগ্রাফি। খুবই ভালো লেগেছে আমার এই সুন্দর একটা পোস্ট পড়তে গিয়ে।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
এত সুন্দর সাজানো গোছানো রেস্টুরেন্ট ভেবেছিলাম খাবারের দাম অনেক হবে কিন্তু এতগুলো খাবারের পর নয়শ টাকা বিল। আর আমাদের এখানে দুটো প্লেটার-১ খেতে গেলেই তো ৫০০ টাকা বিল চলে আসে। যাই হোক বাচ্চাদের নিয়ে ভালো সময় কাটিয়েছেন।আর সেই মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুধু চিকেন আইটেম গুলো খেলে দাম একটু কম পড়ে। কিন্তু অন্যান্য আইটেম সাথে নিলে অনেক বেশি দাম আসে। আমরা শুধু চিকেন আইটেম খেয়েছিলাম এর জন্য ৯০০ টাকা বিল এসেছিল। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
সুন্দর রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার পোস্টগুলো পড়তে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি আপনার বাচ্চাদের সাথে নিয়ে খুবই সুস্বাদু খাবার খেয়েছেন।বাচ্চাদের নিয়ে কে এফ সি তে খাওয়া দাওয়া চমৎকার মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাচ্চাদের নিয়ে মাঝে মধ্যেই বাইরে যেতে হয়। আমার আনন্দের মুহূর্তটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ছোট বাচ্চারা বাহিরে কোথাও গেলে, বাহিরের খাবার খেতে অনেক পছন্দ করে। আপনার ছোট ছেলে বাহিরে গেলে বাহিরের খাবার খাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করে, কিন্তু খাবার যখন দেয় তখন এত বেশি খায় না। যাইহোক আপনি বিএফসি তে গিয়েছিলেন কিন্তু ওইটা বন্ধ থাকার কারণে কেএফসিতে এসেছিলেন। কেএফসির পরিবেশটা কিন্তু সত্যি খুবই দারুণ। এরকম পরিবেশে নিরিবিলি খাবার খেতেও খুব ভালো লাগে। খাবারের আইটেম দেখেই বোঝা যাচ্ছে কেএফসির খাবার গুলো অনেক ভালো ছিল এবং খুবই মজা করে খেয়েছিলেন।
আমার বাচ্চারা বাইরে যাওয়া মানেই কোনো না কোনো খাবার তাদের খেতেই হবে। বিশেষ করে চিকেন ফ্রাই টাইপের আইটেমগুলো। এজন্য এগুলো বেশি খাওয়া হয়। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।