বন্ধুরা আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে একটি ফটোগ্রাফি মূলক পোস্ট শেয়ার করব। আমার আজকে শেয়ার করা ফটোগ্রাফিটি হলো একটি জংলি ফুল সহ ফুল গাছের ফটোগ্রাফি। এই ফুল গাছকে কালকাসুন্দা ফুল গাছ বলা হয়। এই গাছকে আরও বলা হয় কালকাসুন্দি, কালকেসেন্দা। এই গাছ অনেক ঔষধি গুনাগুনে ভরপুর। এই গাছ পাঁচ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এই গাছের এক একটি মঞ্জুরীতে ৫-১০ টি ফুল থাকে। একটি ফুলে পাঁচটি পাপড়ি থাকে। এই গাছের ফুল গুলো অনেকটাই ছোট হয়ে থাকে তাই আমাদের দৃষ্টি অনেকটাই এড়িয়ে চলে। তবে ফুলগুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়। এই ফুল গাছগুলো শহরের পরিত্যক্ত জায়গা গ্রামের রাস্তাঘাটে থেকে শুরু করে বিভিন্ন ঝোপঝাড়ে এই গাছগুলো হয়ে থাকে। এই গাছে সাধারণত ফাল্গুন মাসের শুরুর দিকে ফুল ফুটতে শুরু করে। এই গাছে ফল হয়ে থাকে এবং ফল লম্বাটে হয়ে থাকে। এক একটি ফলে ৩০ থেকে ৪০ টি বীজ থাকে। এই গাছের বীজ গুলো দেখতে অনেকটা মুগ ডালের মতো হয়ে থাকে। তবে মুগ ডালের থেকে আকারে কিছুটা বড় হয়।আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাশান্ত্রে এ উদ্ভিদটি মানবদেহের জন্য অনেক উপকারী। সর্দি কাশি ও হাঁপানি সহ আরও অনেক রোগের চিকিৎসায় গাছটির পাতা ও ফুলের উপকারিতা রয়েছে। যাইহোক, কিছুদিন আগে আমি রাস্তার ধারে এই গাছটি দেখতে পাই। আর তখন আমি এই ফটোগ্রাফি করি।যা আজকের এই ব্লগে তোমাদের সাথে শেয়ার করলাম।






🎨পোস্ট বিবরণ🎨
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @ronggin |
লোকেশন | বারাসাত, ওয়েস্ট বেঙ্গল। |
বন্ধুরা, আজকে শেয়ার করা এই পোস্ট টি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ সবাইকে

আমার পরিচয়
আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷


বাহ ভাইয়া আপনি দেখছি কালকাসুন্দা ফুলের সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। আর এই গাছগুলো আমাদের গ্রাম অঞ্চলে অনেক দেখা যায়। তবে এটা জানতাম না এই গাছের পাতা এবং বীজ অনেক উপকার মানুষের ওষুধের জন্য। ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
সব সময় আপনার কাছ থেকে খুবই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখে আসছি৷ আজকেও আপনার কাছ থেকে যেভাবে এত সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম৷ তা দেখে খুব ভালই লাগলো৷
যেভাবে আপনি সুন্দর ফুলের সৌন্দর্যকে আপনার এই পোষ্টের মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন তা বেশ সুন্দর দেখা যাচ্ছে৷ একই সাথে এখানে এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার মধ্য দিয়ে আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতা খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে৷