নিজেদের গাছ থেকে কাঁঠাল পাড়া এবং কাঁঠাল পাকাতে কিছু পন্থা ||
আজকে সকালের দিকে কাঁঠাল পাড়তে গিয়েছিলাম।আমাদের বাড়ির পিছনের পাশে নিজেদের বেশ কিছু কাঁঠাল গাছ রয়েছে।যেগুলোতে কিছু কাঁঠাল এসেছে।আগে বাড়ির ভিতরে অনেকগুলো কাঁঠাল গাছ ছিল সেগুলো ঘরের জন্য কেটে ফেলতে হয়েছে।তবে যে গাছ রয়েছে এগুলোর কাঁঠাল দিয়েই আমাদের সিজন চলে যায়।আসলে বর্তমান কাঁঠাল তো মানুষ খেতে চায়না বললেই চলে।যদি আমাদের পরিবারের কথা বলি,আমরা কেউ কাঁঠাল খেতে চাইনা।সিজনাল ফ্রুট খেতে হয় এজন্য বছরে হয়তো এক দুইটা কেনা হয়।তারপরও আমরা ভাইবোনরা কেউ পছন্দ করি না এই ফল।
আমাদের দেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল।তবে এই ফলটি
বেশি মানুষের পছন্দের তালিকায় হয়তোবা নেই যতদূর আমি জানি।তারপরেও জাতীয় ফল বিশেষ একটা মর্যাদা রয়েছে আমাদের দেশে।প্রতিটি দেশেই জাতীয় ফল রয়েছে।যাইহোক চলুন এবার কাঁঠাল পাড়ার গল্প শেয়ার করি।আব্বু আর ভাই গিয়েছিল কাঁঠাল পাড়তে তো আমিও গেলাম শুধু কয়েকটি ফটোগ্রাফি করব আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। গাছে যেগুলো কাঁঠাল ছিল সবগুলোই কাঁচা কাঁঠাল।আর কাঁচা কাঁঠাল তো আর খাওয়া সম্ভব না।তার জন্য কিছু পন্থা অবলম্বন করলো আব্বু দেখলাম।
কাঁচা কাঁঠাল পাকাতে একটি আস্টেলির ডাল কেটে কাঁঠালের মুখের ফিকে ছিদ্র করে সেখানে বেশ পরিমাণ লবণ দিয়ে দিলেন।এটা করলে তিন চারদিনেই নাকি কাঁঠাল পেকে যায়।এই পন্থাকে গোজ দেওয়া বলে আমাদের এদিকে।আমার বেশ ভালোই লাগলো পন্থাটি।আগে কাঁচা খেজুরে দেখতাম লবণ পানি দিয়ে রেখে পাকাতো লোকজন।এবার আশ্চর্যজনক ব্যাপার হচ্ছে আমাদের পুরো বাড়িতে শুধুমাত্র একটি গাছেই ভরপুর কাঁঠাল এসেছে।যেটার ছবি শেয়ার করেছি বন্ধুরা।তাছাড়া সব গাছেই দুই চারটি করে কাঁঠাল এসেছে।আমার বাড়ির লোকেরা বলছিলেন এবারে ফল গাছগুলোতে খুব একটা ফল আসেনি আম,কাঁঠাল উভয়েই একই দেখা যাচ্ছে।গতবার নাকি প্রচুর ফল এসেছিল।একবার বেশি একবার কম এরকম ভাবেই নাকি ফল আসে গাছে।আমাদের এই গ্রীষ্মকালে বাড়িতে আসা হয়না খুব একটা তাই গাছের আম,কাঁঠাল খুব একটা খাওয়া হয়না বললেই চলে।শুধুমাত্র যেই সময় ঈদের সময় হয় তখন সিজন চললেই বাড়ির ফল খাওয়ার সৌভাগ্য হয়ে থাকে।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
লোকেশন | ঝিনাইদহ |
Post by-@rahnumanurdisha
Date-15th June,2024
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

কাঠাল আমাদের জাতীয় ফল হওয়ার পেছনে অনেক কাহিনী রয়েছে হয়তো এর বিচি এবং লোয়া দুটই অনেক পুষ্টিকর ফলে সবাই ই কম।বেশি কাঠাল পছন্দ করেন।কাঠাল পাকানোর এই পন্থা আগে আমরাও ব্যবহার করতাম তবে এখন গাছেই পেকে যায় কাঠাল। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জি গাছ পাকা কাঁঠাল পাইনি আমরা ,এজন্য এটা করা।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাদের নিজেদের গাছ থেকে কাঁঠাল পেরে কাঁঠাল পাকানোর জন্য কিছু পন্থা ব্যবহার করেছেন। আসলে আমাদের অনেক কাঁঠাল বাগান আছে কিন্তু গ্রামের মানুষ সব চুরি করে খেয়ে ফেলে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
গ্রামে এগুলোই ঘটে,হাহা।
আগের মানুষ এই নিয়ম খুব পালন করতো কাঁঠাল পাকানোর ক্ষেত্রে। তবে এখন আর এভাবে কাঁঠালে কেউ গোজ মারে না। ছোটবেলায় নানাকে দেখতাম কাঁঠাল পেড়ে লবন দিয়ে এভাবে গোজ মারতো। যাইহোক খুব ভালো লাগলো কিন্তু আপনার এই পোস্ট।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনি গাছ থেকে কাঁঠাল পেরেছেন কাঁঠাল পাকাতে কিছু পন্থা অবলম্বন করেছেন সেগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমাদের বাড়িতেও অনেক কাঁঠাল গাছ রয়েছে। কিন্তু আমাদের কাঁঠালগুলো প্রায়ই দেখা যায় গাছ থেকেই পেকে গিয়েছে তাই আর আলাদা করে নিজেদের কষ্ট করে পাকাতে হয় না। পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমরা তো বেশিদিন থাকব না এজন্যই এই পন্থা আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ! আপনার কাঁঠাল পাকানোর সিস্টেমটা সত্যিই অসাধারণ ছিল। বিষয়টি আগে জানা ছিল না, লবন দিয়ে কাঁঠাল পাকানো যায়। তবে আমি কাঁঠালের একটা পাস ছিদ্র করে দিয়ে সেখানে রসুন ঢুকিয়ে কাঁঠাল পাকিয়েছি। অসাধারণ একটা টেকনিক আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রসুনের টেকনিক আমার জানা ছিলনা ভাইয়া,ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা একেবারেই ঠিক কথা, এখন আর কেউ কাঁঠাল খেতে চায় না। আমি যদিও জানিনা এই ফলটার প্রতি সবার ভক্তি দিনদিন কেন উঠে যাচ্ছে! তবে আস্টেলির ডাল দিয়ে কাঁঠাল পাকানোর সিস্টেমটা আপনার মুখে আজকেই শুনলাম প্রথম। তাছাড়া ফটোগ্রাফি গুলো দেখে যা বুঝতে পারলাম, আপনাদের গাছে তো প্রচুর পরিমাণে কাঁঠাল হয়েছে এই বছর ভাই।