IUBAT ইউনিভার্সিটি তে কিছু সময় ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ আমি আপনাদের মাঝে বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস এন্ড টেকনোলজি অর্থাৎ IUBAT ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
বাংলাদেশের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি গুলোর মধ্যে IUBAT ও একটি। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি বিষয়ের উপরে প্রেজেন্টেশন তৈরি করার জন্য আমি ও আমার দুই বন্ধু মিলে উত্তরায় অবস্থিত IUBAT ইউনিভার্সিটিতে যাই এবং ইউনিভার্সিটির পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা, ও ক্যাম্পাসের কয়েকটি ছবি তুলে নেই। আমি এর আগে কখনো IUBAT ইউনিভার্সিটিতে যাইনি। আপনারা যারা আমাকে চেনেন তারা সবাই জানেন আমি ঢাকায় নতুন বাজারে থাকি। আমি নতুন বাজার থেকে বিকেল চার টায় উত্তরা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসে উঠি এবং আমার আরো দুই বন্ধু করিলে আমাকে যোগ দেবে। নতুন বাজারে বাসে ওঠার পর কিছুক্ষণ সামনে গিয়েই যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে এক বিরাট জ্যাম এর সম্মুখীন হতে হয়। মূলত যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে রাস্তার কাজ চলছে তাই এখানে প্রায় সব সময় জ্যাম দেখা যায়। যাইহোক যেমন উপেক্ষা করে যাই কুড়িলে, সেখান থেকে আমার আরো দুই বন্ধুকে নিয়ে উত্তরা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসে উঠি। কুড়িল থেকে উত্তরা রোড বলতে গেলে ফাঁকাই ছিল, তাই এখান থেকে খুব বেশি একটা সময় লাগেনি। আমরা উত্তর আর জমজম টাওয়ারের সামনে নামি, এবং সেখান থেকে একটি রিক্সা নিয়ে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে যাই।
কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা IUBAT ইউনিভার্সিটিতে পৌঁছে যাই। আমার নীলফামারীর এক বন্ধু IUBAT ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে। আমি রাস্তায় থাকতে তাকে কল করেছিলাম, ইউনিভার্সিটি সামনে গিয়ে আমি আমার বন্ধুর সাথে দেখা করি এবং আমার বন্ধু আমাদেরকে নিয়ে তার ইউনিভার্সিটি ভিতরে প্রবেশ করে। প্রথম দেখায় আমার কাছে ইউনিভার্সিটিটি বেশ চমৎকার লাগে। ইউনিভার্সিটিতে ঢুকেই হাতের বাম পাশে একটি ছোট্ট মাঠ রয়েছে এখানে বেশ কিছু শিক্ষার্থী বসে আড্ডা দিচ্ছিল এবং এই মাঠের এক কোনায় শহীদ মিনার অবস্থিত ছিলো। আমরা মাঠটিতে কিছুক্ষণ বসে থাকি।
এরপর আমার বন্ধুটি আমাদেরকে তার ক্যাম্পাস ঘুরে দেখাতে থাকে। ইউনিভার্সিটিতে ঢুকেই সামনের দিকে বেশ কয়েকটি বসার জন্য চেয়ার টেবিল রয়েছে যেগুলো অনেক সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করা হয়েছিল। এরপর একটু সামনে যেতেই আমরা ভার্সিটির গেমিং রুম দেখতে পারি। ভার্সিটির গেমিং রুমে ক্যারাম, টেবিল টেনিস গেম খেলার ব্যবস্থা ছিলো। ভার্সিটির পেছনের দিকে ক্যাম্পাস বাড়ানোর জন্য আরো একটি বিল্ডিং এর কাজ চলমান রয়েছে। এরপর আর একটু সামনে যেতেই আমরা ভার্সিটির একটি নার্সারি দেখতে পারি আমার বন্ধুর কাছে জানতে পারি এটি এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্টের। এর একটু সামনেই ভার্সিটির মসজিদ অবস্থিত। প্রতিটি ভার্সিটিতেই একটি করে মসজিদ থাকে। মসজিদের সামনেই খেলার জন্য একটি মিনি মাঠ রয়েছে। আমরা যখন এখানে যাই তখন দুই দল ফুটবল খেলছিলো। তাছাড়াও এর পাশেই একটা কোর্ট ছিলো বাস্কেট বল খেলার জন্য।
তবে আমার বন্ধু আমাদের সবাইকে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি ঘুরিয়ে দেখাতে থাকে। আমার কাছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি বেশ ভালো লেগেছে। প্রথমবার IUBAT ইউনিভার্সিটিতে আসতে পেরে আমার অনেক ভালো লেগেছে। এই ভার্সিটি সম্পর্কে আগে অনেক শুনেছিলাম কিন্তু প্রথমবার এখানে এসে এখানকার পরিবেশ আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। ভার্সিটিতে আপাতত একটি ১৩ তলা বিল্ডিং রয়েছে যেখানে ভার্সিটির ক্লাস থেকে শুরু করে সমস্ত অফিশিয়াল কার্যক্রম হয়ে থাকে। এর পেছনে আরেকটি বিল্ডিং এর কাজ চলছে হয়তো খুব তাড়াতাড়ি এ বিল্ডিং এর কাজটি শেষ হলে ভার্সিটির ক্যাম্পাসে আরো সুন্দর হয়ে উঠবে। ভার্সিটির ক্যাম্পাস মাঠে শেষ হলে আমরা ভার্সিটির মাঠে বসে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে ফিরে আসি।
আজকের মতো এখানেই। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পরে দেখার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ইউনিভার্সিটি তে কাটানোর কিছু মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই মুহূর্তটা বেশ ভালো লাগে আমার। এর আগেও আপনি অনেকগুলো পোস্ট করেছেন ইউনিভার্সিটি থেকে। প্রত্যেকটায় আমি দেখার চেষ্টা করি। আর জেনো কলেজ লাইফের বেশ কিছু অনুভূতি খুঁজে পায়। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।