আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতিয় দিবস

in আমার বাংলা ব্লগ12 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি এখনো ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। এখন পর্যন্ত সবগুলো রোজা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি, জানি না আল্লাহ পাক কতটা কবুল করলেন। যাইহোক, আমাদের দায়িত্ব হলো সঠিকভাবে চেষ্টা করে যাওয়া আর আমিও সেটাই করে যাচ্ছি। আশা করছি বাকি কয়টি রোজাও সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারবো। সত্যি বলতে আমাদের চেষ্টাগুলোতে ভীষণভাবে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ভেজাল খাবারগুলো, যার কারণে আমরা চাইলেও নিজেদের সঠিকভাবে ফিট রাখতে পারি না। অনেকটাই অসহায় হয়ে গেছি আমরা অতি লোভী ব্যবসায়ীদের নিকট।

আজ আমাদের বাংলাদেশের ৫৫তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। আমরা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিয়ে স্মরণ করছি জাতির সেই সকল বীর সন্তানদের। যারা সেদিন ভীষণভাবে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠেছিলেন। বিপ্লবের স্পনন্দে স্পন্দিত হয়ে দ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন। দেশ ও জাতির কথা চিন্তা করে, নিজের পরিবার-পরিজন, সন্তান ও আত্মীয়তার মায়া ভুলে ছুটে গিয়েছিলেন যুদ্ধের ময়দানে। সেদিন তারা বিদ্রোহী না হয়ে উঠছে, অথবা দেশের কথা চিন্তা না করলে, হয়তো আজ আমরা স্বাধীনতার স্বাদ নিয়ে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারতাম না। আমরা আজও হয়তো ভিন্ন ভাষায় কথা বলতে বাধ্য হতাম।

national-martys-4087688_1280.jpg
pixabay

আজ প্রথম প্রহর হতেই দেশের সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও ধর্মীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সমাজের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং আপামর জনগণ স্বস্তস্ফূর্তভাবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এখানেও আমাদের জন্য এক করুণ ইতিহাস রয়েছে কারণ আমরা বিশেষ এই দিনগুলো বাদে জাতির এই সন্তানদের কোনভাবে স্মরণ করি না এবং তাদের প্রতি ভালোবাসাও প্রকাশ করি না। অথচ তাদের জন্যই, তাদের ত্যাগের কারণেই আজকে আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছি।

ইতিহাস স্বাক্ষী, এটা এক করুণ ও নির্মম ইতিহাস, পুরো পৃথিবীকে অবাক করে সেদিন ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে, অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ ও ঘুমন্ত মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, শুরু করেন গণহত্যা নিরস্ত্র মানুষের রক্তে পুরো শহরকে রাঙিয়ে দেয়। আসলে পশ্চিম পাকিস্তান কখনোই আমাদের মেনে নিতে পারেন নি, আমাদের দাবী কিংবা স্বাধিকারের প্রতি কখনোই তাদের শ্রদ্ধা ছিলো না। বরং তারা নানাভাবে আমাদের অধিকারকে হরণ করার চেষ্টা করেছেন, যার নির্মম স্বাক্ষী রাতের অন্ধকারে এবং নিরস্ত্র জনগণের উপর এমন নির্মম-নিষ্ঠুর অতর্কিত হামলা।

দেশের মুক্তিকামী বীর সন্তানরা সকল বাধা উপেক্ষা করে, বুকের তাজা রক্ত দিয়ে সেদিন প্রমান করেছিলেন, দেশের জন্য এবং স্বাধীনতার জন্য তারা সব ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। আমাদের আজকের এই স্বাধীনতা, নতুন এক মানচিত্র, মাতৃভাষায় কথা বলা, সবই তাদের সেই আত্মত্যাগের বিনিময়। দেশ মাতৃকার ভালোবাসায় তাদের এই আত্মত্যাগ আমরা কখনোই ভুলে যাবো না, ভুলে যাবো না ইতিহাসের নেই নির্মম ও নিষ্ঠুর কালো রাতের কথা। সবাইকে মহান স্বাধীনতা ও জাতিয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 12 days ago (edited)

বীর সন্তানদের প্রতি রইলো আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও সম্মান।যুগে যুগে সমাজ ,মানুষ পরিবর্তন হলেও এই স্বাধীনতার কথা কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়।আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।

 12 days ago 

স্বাধীনতা দিবসে সকল বীর যোদ্ধাদের জানি বিন্ম্র শ্রদ্ধা ও সম্মান।যদিও একটি দিনে তাদের স্মরন করা হয় ঠিকই কিন্তু তাদের ত্যাগ কখনও ভোলা যাবে না। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশ ।

 12 days ago 

আপনার লেখা একদিকে যেমন স্বাধীনতা সংগ্রামের বীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছে, তেমনি অন্যদিকে আমাদের ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা ও জাতির প্রতি দায়িত্বের কথাও স্মরণ করিয়েছে। ২৫শে মার্চের সেই কালো রাতের নিষ্ঠুরতা আজও আমাদের হৃদয়ে গভীর দাগ রেখে গেছে। আমাদের উচিত মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও আত্মত্যাগকে সবসময় সম্মান জানানো। স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা রইল।🇧🇩