২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস।(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক শিয়ালের জন্য।
১২ চৈত্র, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
২৬ ই মার্চ ,২০২২সাল
স্বাধীনতা দিবস
হ্যালো
তোমাদের জানাই হাজার স্যালুট
বাঙালি জাতি রবে যতদিন তোমাদের করে যাবে শ্রদ্ধা ও সম্মান
![]() |
---|
প্রত্যেক প্রাণীই জন্মের পর থেকে তাদের একটি নিজস্ব স্বাধীনতা থাকে। আর এই স্বাধীনতার বিষয়ে প্রতিটি প্রাণী প্রতিটি অনেক সচেতন। স্বাধীনতার বিষয়ে কেউ হস্তক্ষেপ করতে চাইলে তারা যেন অন্যরকম হয়ে যায়। কেননা পরাধীনতা কেউই মেনে নিতে চায় না পরাধীন হয়ে বাঁচার যন্ত্রণাটা আসলে তারা জানে যারা পরাধীন হয়ে বেঁচে থাকে। পরাধীন হয়ে বেঁচে থাকাটা মৃত্যুর চেয়েও কম নয়। আমার কাছে তো এমনি এমনই মনে হয়। আমার মনে হয় যারা পরাধীন হয়ে বাঁচে তারা একবার নয় বারবার মরে। আর যারা স্বাধীনভাবে বসবাস করে বীরের মতো তারা একবারই মরে।
আজ 26 শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস বাঙ্গালীদের এক গৌরবময় দিন এই দিনটি। বাঙালিরা অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা এবং এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। এই স্বাধীনতার পেছনে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস ইতিহাস বর্ণনা করলে হয়তো বা এক রাতেও শেষ করা যাবে না। বাঙালি জাতির বীরের জাতি বাঙালি জাতি অনেক সাহসী জাতি তারা কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। তারা কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতে পারে না। তারা বিশ্বের বুকে দেখিয়ে দিয়েছে বাঙালি জাতিও পারে তাদের দেশকে ভালবাসতে তাদের জীবন বাজি রেখে দেশের সম্মান রক্ষা করতে তাদের মায়ের ভাষার জন্য যুদ্ধ করতে।
দীর্ঘ 24 বছর শোষণের পর শাসন করেছিল পাকিস্তানি পাক হানাদার বাহিনীর দল। তারা ভারত থেকে আলাদা হওয়ার পর শুরু করে বাঙ্গালীদের উপর নিরীহ অত্যাচার এবং তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত থেকে শুরু করে আরো অনেক অন্যায় অবিচার। শুধু অন্যায় অবিচার এ থেমে থাকেনি তারা অনেক অত্যাচার জুলুম ও চালিয়েছে নিরীহ বাঙালি মুসলিমের উপর। ১৯৭১ সালের ভারত পাকিস্তান আলাদা হওয়ার পর থেকে শুরু করে তারা সবসময় পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশকে অবহেলা করে যেত। তৎকালীন বাংলাদেশ তথা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে সকল ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হতো। চাকরি-বাকরির ক্ষেত্রে তাদের চাকরি দেয়া হতো খুবই সীমিত পরিসরে। অর্থাৎ তারা কখনোই তাদের ন্যায্য অধিকার পেত না।
এমনকি ১৯৫২ সালে পাকিস্তানের গভর্নর ইয়াহিয়া খান এক সম্মেলনে বাঙ্গালীদের মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চায়। বাঙ্গালীদের প্রাণের ভাষা বাংলা ভাষার প্রতি অসম্মান অসন্তোষ জানিয়ে তিনি বলেন_ এবং একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। তৎকালীন সময়ে ছাত্রসমাজ চিৎকার দিয়ে বলেন না না অর্থাৎ পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু হতে পারে না। রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই এই স্লোগান নিয়ে ছাত্রসমাজ বেরিয়ে পড়েন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয় ছাত্র সমাজ এক কঠোর আন্দোলন। তারপর ছাত্রসমাজকে থামানোর জন্য কুচক্রী হানাদার বাহিনী পাকিস্তানি ১৪৪ ধারা জারি করেন ছাত্রসমাজের উপরে। তারপরও ছাত্ররা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলনে নেমে পড়েন। শেষ মেশ প্রাণ দিতে হয় ভাষার জন্য বাংলার বীর সন্তানদের।
এভাবে চলতে থাকে একের পর এক আন্দোলন ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের 6 দফা ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং পরিশেষে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিনিময় দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করার পর এ দেশকে হানাদার-মুক্ত করে এদেশের বীর সন্তানরা। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করার পর 30 লাখ শহীদ এবং 2 লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাঙালি এক স্বাধীনতা। স্বাধীনতা ঘোষণার আগের রাতেও পাকহানাদার বাহিনী বাঙ্গালীদের ছেড়ে কথা বলেনি। 25 মার্চ মধ্যরাতে বাঙ্গালীদের উপর নির্মম ভাবে হত্যাকাণ্ড চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এটাকে বলা হয় "অপারেশন সার্চলাইট"। এ রাতের পরদিন সকালবেলা বঙ্গবন্ধু জেলখানা থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং জিয়াউর রহমান তা পাঠ করেন।
ধন্যবাদ সবাইকে এত ধৈর্য নিয়ে আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য। সকলের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
Join the Discord Server for more Details
জীবন পাতার শেষ হওয়া একটা পাতার সংরক্ষণঃ
26 শে মার্চ বাঙালি জাতির জন্য অনেক স্মরণীয় একটি দিন ।কারণ এই দিনে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করে। আপনি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে বাঙালি জাতির অনেক ইতিহাস তুলে ধরেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে, স্বাধীনতা ইতিহাস সবাই এত সুন্দর লিখেছে।ছোটবেলায় পড়েছিলাম সমাজবিজ্ঞানে।অনেক কিছুই ভুলে গিয়েছি, এখন আবার নতুন করে জালাই করা হলো।ধন্যবাদ আপনাকে।শুভেচ্ছা রইলো।
ধন্যবাদ, আপনার আগামীর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আপনার লেখাগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করার পর আমাদের আজকের এই অর্জন। এই দিবস আমাদের জন্য অনেক স্মরণীয় একটি দিন। আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা লিখেছেন। আমাদের মাঝে বিষয়টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ভাইয়া।সত্যিই এই দিনটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য খুবই গর্বের ও আনন্দের একটি দিন।কারণ স্বাধীনতার থেকে ভালো সুখের দিন অন্য কিছু হতে পারে না।ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ আপু, এই দিন বাঙ্গালী জাতির জন্য অনেক গৌরবময় একটি দিন।
২৬ শে মার্চ আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস নিয়ে আপনি অনেক মূল্যবান কিছু বক্তব্য শেয়ার করেছেন। স্বাধীনতা দিবস নিয়ে আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে। এই দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের এবং চেতনার। স্বাধীনতা দিবসের চেতনায় আমরা বারবার উজ্জীবিত হয়ে সকল প্রকার প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস পাই। মহান স্বাধীনতা দিবস নিয়ে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনার আগামীর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
26 শে মার্চের গল্পটি আমার খুব ভালো লেগেছে।26 শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস। এই মহান স্বাধীনতা দিবসে কত মায়ের কোল খালি হয়েছে। 26 শে মার্চের বাংলাদেশের সকল নাগরিকের হৃদয় জুড়ে জুড়ে থাকবে বেদনা। 26 শে মার্চের পোস্টটি আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনার জন্য মঙ্গল কামনা রইল।
জি ভাইয়া আপনার কাছে সম্পূর্ণ গল্পটি পড়তে পেরে খুব ভালো লেগেছে। আসলেই স্বাধীনতার জন্য আমাদের দেশে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। তারা হাল ছেড়ে দেয় না তাদের এমন সাহসিকতার জন্য আমরা আজকে আমাদের দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছি। আমরা স্বাধীন বাংলার স্বাধীন মানুষ। আপনাকে স্বাধীনতা দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।