কাগজের নকশা - ৪।
![]() |
---|
Hello Everyone,,,
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে লক্ষ্য করলাম, বাইরে যেন আগুন ঝরে পড়ছে। রোদের তাপ এত পরিমাণ যে তেমন একটা বাইরে যাচ্ছি না।
তাই বাড়িতে বসে বসে একঘেয়েমি ভাব দুর করার জন্য ভিন্ন কিছু করতে মন চায় মাঝে মাঝে । অনেক দিন হয়ে গেছে আপনাদের মাঝে কাগজের কোনো নকশা তৈরি করে সেটা উপস্থাপন করা হয় না। তাই আজ ভাবলাম একটা ডিজাইন তৈরি করা যাক।
উপকরণসমূহ :- |
---|
![]() |
---|
নকশায় ভিন্নতা থাকার কারনে উপকরণগুলোও আলাদা হয়ে থাকে। আমার আজকের নকশা তৈরির জন্য প্রয়োজন রঙ্গিন কাগজ, কাঁচি এবং আঠা।
নকশা তৈরির ধাপসমূহ :- |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
প্রথমেই একটা কাগজ নিয়ে সেটাকে ভাজ করে সমান ৪ ভাগে ভাগ করতে হবে। তারপর কাঁচির সাহায্যে কেটে চার খন্ড করতে হবে। কাগজের টুকরা যত বড় হবে ডিজাইনও তেমনটাই আকারে বড় হবে।
তারপর কাগজের টুকরোগুলো ত্রিভুজাকৃতিতে ভাজ করে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন চার টুকরো কাগজই যেন সমান আকৃতির হয়। সব গুলো ত্রিভুজ আকৃতিতে ভাজ করা হয়ে গেলে এবার পরবর্তী ধাপের জন্য কাঁচির সাহায্য নিতে হবে।
![]() |
---|
![]() |
---|
এবার কাঁচির সাহায্যে ছবিতে দেখানো পদ্ধতিতে কাগজগুলো কেটে নিতে হবে। কাগজগুলো কাঁচি দিয়ে কাটার সময় খেয়াল রাখতে হবে, কাটা অংশগুলো একটির থেকে অন্যটা যেন অনেক বড় না হয়ে যায়, সমান আকৃতিতে কাঁটার চেষ্টা করতে হবে।
![]() |
---|
![]() |
---|
কাগজগুলো কাটা শেষ হলে এবার প্রয়োজন পড়বে কাগজে ব্যবহার করার উপযুক্ত আঠা। এবার কাগজের কাটা পাপড়িগুলো আঠার সাহায্যে একটির সাথে অন্যটি লাগিয়ে নিতে হবে।
কাগজের কোন পাপড়ির সাথে কোনটা লাগাতে হবে সেটা আমার ছবি দেখলে স্পষ্ট বুঝতে পারবেন। কাগজের এপাশ - ওপাশ, দু'পাশেই আঠা লাগিয়ে নিতে হবে।
একে একে কাগজের চারটি টুকরোতে একই পদ্ধতিতে আঠা লাগিয়ে নিতে হবে। আগে যতগুলো নকশা তৈরি করেছি সেগুলোর থেকে এটা তৈরি করতে বেশ খানিকটা সময় লাগছিলো কারন কাগজের প্রতিটা পাপড়ি একে একে ধরে ধরে আঠা লাগাতে হচ্ছিলো।
সবগুলোতে আঠা লাগানোর পর এবার চারটি অংশই আঠার সাহায্যে একত্রে জুড়ে নিতে হবে। আপনারা উপরের ২য় ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন যে কিভাবে জুড়তে হবে! চারটি অংশ একত্রিত করলেই আমাদের মূল নকশা তৈরি হয়ে যাবে।
![]() |
---|
চারটি অংশ ভালো ভাবে জুড়ে দেওয়ার পর নকশা টা দেখতে এমন হবে। নকশা তৈরি করার প্রথমে ভেবেছলাম হয়ত খুব বেশি সময় লাগবে না তবে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে অনেক সময় লেগে গেলো।
সত্যি বলতে, নকশাটা যেভাবে তৈরি করতে চেয়েছিলাম একদম শতভাগ তেমনটা হয় নি, হয়ত কাগজের পাপড়িগুলো আঠা দিয়ে লাগানোর সময় কিছু একটু ভুল হয়েছে বা নিখুঁত হয় নি। সব কিছু ঠিক থাকলেও সব সময় সব কিছু মন মতো হয় না। তবে চেষ্টা করেছি তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, কেমন লাগলো আপনাদের অবশ্যই জানাবেন।
সবকিছু কখনোই মন মত হয় না এটাই স্বাভাবিক আপনি যেই রকম ভাবে নকশাটা তৈরি করতে চেয়েছেন হয়তোবা সেরকম ভাবে হয়ে ওঠেনি কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে সেই সাথে আপনি নকশা তৈরি করার প্রতিটা পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ নকশা তৈরি করার পদ্ধতি এবং চমৎকার কাগজের ফুল আমাদের সাথে তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
কাগজ দিয়ে আসলে অনেক সুন্দর সুন্দর ফুল তৈরি করা যায় যে গুলো আমাদের ঘরে সাজিয়ে রাখতে অনেক ভালো লাগে। তবে এটা সবাই পারেনা এই প্রতিভাটা সবার মধ্যে থাকে না। তবে চেষ্টা করলে হয়তোবা মানুষ করতে পারে কারণ কথায় আছে একবার না পারিলে দেখো শত বারবার। তবে আপনার দক্ষতা আছে ভাই কারণ আপনি কাগজের যে নকশাটি তৈরি করেছেন এটা দেখতে সত্যি সুন্দর লাগছে। আমি পারবো কি না জানি না তবে এভাবে কখনো চেষ্টাও করা হয়নি। যাই হোক প্রত্যেকটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপনা করেছেন আমাদের মাঝে দেখে অনেক ভালো লাগলো।