Incredible India monthly contest of August #2| Elements that are likely to dissipate over time.
Hello Everyone,,,
আশা করি, সকলে অনেক ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। প্রথমেই এডমিন ম্যাম কে অনেক ধন্যবাদ জানাই আমাদের জন্য কনটেস্টের আয়োজন করার জন্য। আজ আমি কনটেস্টের বিষয়বস্তুর উপর নিজের মতামত তুলে ধরার চেষ্টা করবো। তার পূর্বে আমি কয়েকজন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাতে চাই,
@sayeedasultana, @mou.sumi, @pinki.chak
Which elements do you think will disappear from our lifestyle in the upcoming era? Explain! |
---|
সত্যি বলতে, এই প্রশ্নের উওর দিতে গিয়ে আমার সর্বপ্রথম ছোটোবেলার মধুর স্মৃতিগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো।
সেই সাথে এটা ভেবে খারাপ লাগলো যে, সেই দিনগুলো আর কখনও ফিরে আসবে না,
না আমাদের জীবনে ফিরে আসবে আর না বর্তমান সময়ের বাচ্চাদের জীবনে!
আচ্ছা, আপনাদের কাছে একটা প্রশ্ন করি?
এখনকার সময়ে কয়টা বাচ্চা ঘুমানোর সময় ঠাকুমার কাছে গল্প শোনার বায়না করে?
উওর যেটা আসবে সেটা সত্যি হতাশাজনক, সেটা আমি নিজেও জানি!
তবে আমার ছোটোবেলা কেটেছে দাদু ঠাকুমার কাছে গল্প শুনে, না সেসময় স্মার্টফোন ছিলো আর না টেলিভিশন ছিলো!
আমি বাচ্চাদের কাছে সচারাচর ফোন দিতে চাই না । আমি শুয়ে আছি এমন সময় আমার দাদার মেয়ে আমার কাছে এসে বললো -
কাকা, তোমাকে একটু ব্যায়াম করে দেবো?
আমি বললাম, হ্যা দাও!
আমার গায়ের উপর বসে কিছুক্ষণ হাত, ঘাড় টিপে দিয়ে বললো, কাকা অনেকক্ষণ ব্যায়াম করে দিয়েছি এবার একটু মোবাইল টা দাও!
আমার বুঝতে বাকি রইলো না, এত সব খাতির শুধুমাত্র মোবাইল নেওয়ার জন্য।
তবে আমাকে বলা হতো, মন দিয়ে পড়লে ঠাকুমা নতুন একটা গল্প বলবে। বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে সেই সময়টা সত্যি মূল্যবান তবে এখনকার বাচ্চাদের কাছে তুচ্ছ!
আমাদের মধ্যে থেকে যে বিষয়টা একেবারে মুছে যাবে সেটা হলো বিশ্বাস।
একটা সময় মানুষ মানুষকে কথা দিলে সেটা রক্ষা করার জন্য নিজের জীবন দিতেও দ্বিধা করতো না। তবে হয়ত এখন সব থেকে তুচ্ছ ও মূল্যহীন হয়ে গেছে এই বিষয়টা। আমার বিশ্বাস সামনের দিনগুলোতে আমাদের মধ্যে বিশ্বাস কেবল মাত্র একটা শব্দ হয়েই রয়ে যাবে।
Has our lifestyle undergone substantial changes as a result of various transformations? Please justify your perspective. |
---|
পরিবর্তন আমাদের জীবনের অংশ। বানর থেকে পরিবর্তনের ধারায় আর মানুষের এই অবস্থান। পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে শিখতে হবে বাঁচতে হলে।
প্রযুক্তির এই যুগে দাঁড়িয়ে সব থেকে বড় পরিবর্তন এসেছে যোগাযোগ ব্যবস্থায়। হাতে লেখা চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ করতে স্থান ভেদে ১/২ মাস সময় লেগে গেলেও এখন ১ সেকেন্ডের মাধ্যমে যোগাযোগ করা সম্ভব।
তবে হ্যা, পরিবর্তনের এই যুগে দাঁড়িয়ে আমাদের জীবন অনেক সহজ হয়েছে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। পায়ে চালিত ভ্যানে যাতায়াত করার পরিবর্তে এখন ইঞ্জিন চালিত গাড়িতে ১ ঘন্টার পথ মাত্র ১০/১৫ মিনিটে চলে যাওয়া সম্ভব।
দেশ ও দেশের বাইরের খবরাখবর এখন মুহুর্তে পাওয়া যায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে। প্রযুক্তির নিত্য নতুন আবিষ্কার আমাদের করেছে উন্নত আর জীবন করেছে সহজ।
According to you, which are the useful changes, and which are not! |
---|
প্রযুক্তির অগ্রগতিতে আমাদের জীবনে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। যার কারনে আমাদের জীবন হয়ে সহজ। তবে অনেক পজিটিভ দিকগুলোর মধ্যেও কিছু বিষয় আমাদের জীবনে নেগেটিভ প্রভাব ফেলছে।
ভালো দিক -
আগেই বলেছি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে যোগাযোগ ব্যবস্থায়, যার সুফল আমরা প্রত্যেকেই ভোগ করছি।
তাছাড়া, চিকিৎসা ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগে একটা সময় সঠিক চিকিৎসার অভাবে রোগী সামান্য সামান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন হারাতো। এখন অনেক জটিল রোগেরও নিরাময় বের হয়েছে। যার কারনে অকালে প্রাণ হারিয়ে যাচ্ছে না কোনো তাজা প্রাণ।
শিক্ষা ব্যবস্থায়ও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন অনলাইনের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই ক্লাস করা সম্ভব হয় যেটা আমাদের সময় বাঁচাতে সাহায্য করে।
খারাপ দিক -
চাঁদের গায়েও যেমন কলঙ্কের দাগ আছে তেমনই এত এত পরিবর্তনের কারনে এর কিছু নেতিবাচক প্রভাব আমাদের উপর পড়বে না এটা কি হয়।
প্রযুক্তির উন্নয়নে কারনে আমাদের সকল কাজ অনেক সহজে করতে পারছি আর তাই তো আমরা অলস হয়ে যাচ্ছি দিদি।
কিছু বিজ্ঞানী গবেষণা করে জানিয়েছে যে, পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের শারীরিক আকৃতিতেও পরিবর্তন ঘটবে। এমন একটা সময় আসবে যখন, আমাদের শরীরের অংশের তুলনায় মাথা বড় হবে আর তার কারন যত দিন যাচ্ছে আমরা শরীরের অন্য অঙ্গগুলোর তুলনায় মাথার ব্যবহার বেশি করছি তাই এমন পরিবর্তন হবে আস্তে আস্তে।
প্রযুক্তির কারনে অনেক মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে। শুধু তাই নয় মানুষকে প্রতারণার মাধ্যমে অনেক ক্ষতি করা হচ্ছে।
বাচ্চারা ছোটোবেলা থেকে মোবাইল, গেমিং এসবে প্রতি অনেক আসক্ত হয়ে পড়ছে। একটা সময় যখন আমরা সুযোগ পেলে মাঠে খেলাধুলা করতাম কিন্তু এখন কার্টুন আর গেমের পিছনে সময় ব্যয় করে। এটা শুধুমাত্র শারীরিক নয় বরং মানসিকভাবে বিকৃতি করে দিচ্ছে।
যাই হোক, আশা করি, আপনাদের আমার পোস্টটি ভালো লেগেছে। আজকের মতো এখানে বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নিজের মতামত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আসলে বর্তমান সময় এখন কেউ দাদা দাদির পাশে গিয়ে গল্প শোনে না সবাই নিজে ব্যস্ত থাকে মোবাইল নিয়ে।
এখন বর্তমান সময়ে যে সব ছেলে মেয়ে আছে তাদেরকে মোবাইল হাতে ধরিয়ে দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রাখা যায় । আমরা যখন বড় হয়েছিলাম আপনি যে কথা উল্লেখ করেছেন তখন দাদা দাদির কাছে বসে একটি গল্প শুনলেই আমরা অনেক খুশি ছিলাম।
কিন্তু এখন সেই সব দেখা যায় না। এবং আপনার ভাইয়ের মেয়ের বুদ্ধির প্রশংসা করতে হয় আপনার কাছ থেকে মোবাইলটি নিবে বলে সে আপনার ব্যায়াম করিয়ে দিতে চাইছে বিষয়টা জানতে পেরে অনেক হাসি লেগেছিল যাইহোক এত সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল আপনার জন্য।