জোর যার মুল্লুক তার!

Source

Hello Everyone,,,

সময়টা কেমন জানি স্বার্থপরতায় ভরে গেছে, দোষটা সময়ের নয়, দায়টা আমাদের মতো মানুষেরই যারা নিজের স্বার্থের জন্য অন্যকে বিপদে ফেলতেও দ্বিধা বোধ করি না।

সবাই মনে একটাই চিন্তা -
নিজের লাভ হবে কিসে!

নিজের লাভের সম্ভবনা দেখলে হাজারও অন্যায় ও দুর্নীতি করতেও পিছু পা হয় না।

এটাই সমাজ, আর এটাই কি মানুষের স্বভাব হওয়া উচিত।

কাউকে সঠিক পরামর্শ দেওয়ার মতো মানুষের বড় অভাব। কাউকে সাহায্য করা, অন্যের বিপদে তার পাশে দাঁড়ানো সবই যেন দাদু ঠাকুমার মুখে শোনা গল্পের মতো মনে হয়।

সমাজে কিছু মানুষ রয়েছে যারা অন্যের বিপদে খুশি পায়, হাসি ঠাট্টা করে। তারা হয়ত ভুলে যায় যে সময় যেকোনো মূহুর্তে পরিবর্তন হতে পারে, অন্যের খারাপ সময়ের ঐ একই পরিস্থিতিতে আমিও পড়তে পারি।

Source

আমরা শুধু আমাদের কষ্টটাই বুঝি, অন্যের মনের পরিস্থিতি কখনও বোঝার চেষ্টাও করি না। তবে পৃথিবীতে সব পরিস্থিতির যেমন বিপরীত পরিস্থিতি রয়েছে ঠিক তেমনই ভালো - মন্দ সকল ধরনের মানুষকে নিয়েই আমরা বেঁচে আছি।

মানুষ ক্ষমতার জোরে সব কিছু অর্জন করতে চায়। দুর্বল মানুষের প্রতি অত্যাচার, নির্যাতন করার এই রীতি বহু যুগ আগে থেকেই চলে আসছে।

আমি মনে করি, যদি আমি অন্যের উপকার করতে নাও পারি তাহলে অন্তত তার ক্ষতি করবো না।ইচ্ছেকৃত ভাবে আমার জন্য যেন অন্য কেউ বিপদে পড়ুক এটা আমি কখনওই চাই না।

জোর যার মুল্লুক তার , এই প্রবাদটা তো সবাই জানেন।

তবে আজ একটা ঘটনা এই প্রবাদটা আরও একবার মনে করিয়ে দিলো।

আমাদের প্রতিবেশীদের একটা ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমাদের একজন্য প্রতিবেশী অন্য একজন প্রতিবেশীর কাছে তার জায়গাকে নিজের বলে দাবী করে। তবে গ্রামের সবাই জানে যে সে অন্যায় ভাবে জোর করে নিজের বলে দাবী করছে।

Source

এই বিষয় নিয়ে বহুবার গ্রামের মুরব্বিরা মিলে মিটিং বা আলোচনা করে বিষয়টা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তবে তাতে কাজের কাজ কিছুই হয় না।

জায়গাটার প্রকৃত মালিক যে তাকেই সবাই সাপোর্ট করে আর একারনে অন্য জন যে মূলত অন্যায় ভাবে নিজের বলে দাবী করছে সে তাতে খুশি হবে না এটাই স্বাভাবিক। একারনেই কয়েকদিন পর পর নতুন নতুন হিসাব নিকাশ নিয়ে হাজির হয় সবার সামনে।

তবে কোনো হিসাবে বা তথ্য প্রণামই যথেষ্ট নয় তার দাবি প্রমানের জন্য। তবে যে অন্যায় ভাবে দাবি করছে সে সম্পত্তির দিক থেকে অন্য জনের তুলনায় এগিয়ে আর এই ক্ষমতাই সে কাজ লাগাচ্ছে।

এবার কোনো উপায় না পেয়ে সে টাকা দিয়ে লোকজন নিয়ে এসেছে আর যাদের উপর বিচার করার দায়িত্ব তাদের আগে থেকেই টাকা দিয়ে রেখেছে যাতে করে বিচার তাদের পক্ষেই করে।

টাকার কাছে নিজের মনুষ্যত্ব বিক্রি করতে মানুষ একবারও চিন্তা করে না, টাকাই কি সব? নিজের কাছে নিজেকে স্বচ্ছ করাটা কি জরুরি নয়?

যাই হোক, পরিকল্পনা মাফিক এবার বিচার তার পক্ষে এলো এবং জোর করে জায়গা দখল করেছে। শক্ত মাটিতে আঘাত করলে নিজেরই আঘাত লাগে তবে নরম মাটিতে তেমনটা হয় না। সেরকমই দুর্বলের প্রতি সবল অত্যাচার করতে সকলেই ভালোবাসে, কারন সেখানে নিজের ক্ষতি সম্ভবনা থাকে না।