Better Life With Steem || The Diary game || 2th May 2025
Hello Everyone,,,
আশা করি, সকলে অনেক ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। কয়েকদিন যাবত গরম অনেক বেশি পড়ছে। বাইরে রোদের প্রখরতা এত বেশি যে শরীর ঝলসে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে!
এই রোদ আর গরমকে উপেক্ষা করেই মানুষ মাঠে কাজ করছে। মাঠে ধান তোলার কাজ এখনও সম্পূর্ণ শেষ হয় নি। দেখি আর ভাবি -
মানুষ কত কষ্ট করে জীবিকা নির্বাহ করে। মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনই জানে এই পৃথিবীটা কতটা নিষ্ঠুর। জীবনে না আছে সচ্ছলতা আর না আছে সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচার অধিকার!
বর্তমানে সকালে আবহাওয়া বেশ উপভোগ্য কারন সকালে ১০ টা বাজার পর পরই রোদে বাইরে বেরোনোর উপায় থাকছে না। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সবজি ক্ষেতে যাই।
ক্ষেতের শাকগুলো খাওয়ার উপযোগী হয়ে গেছে। এই শাকগুলো বড় হলে যতটা না ভালো লাগে আমার কাছে ছোটগুলোই বেশি ভালো লাগে খেতে। যেহেতু বাড়িতে চাষ করা তাই সারের প্রয়োগ নেই। একারনে এর উপকারীতাও বেশি।
আজ সকালের খাওয়ার পর গ্রামের মন্দির মাঠে একটা মিটিং রয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাদের গ্রামের একটা গাড়ি দুর্ঘটনার কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। সেই দুর্ঘটনার ভয়াবহতাও আপনাদের মাঝে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছিলাম।
সকলে আলোচনা করে এই দুই পরিবারকে কিভাবে সাহায্য করা যেতে পারে সেই বিষয় আজকে সবাই একত্রিত হয়েছে। সত্যি বলতে দুর্ঘটনাটা অনেক মর্মান্তিক তবে এখনও যে অন্যের বিপদে সকলে একত্রিত হয় সেটা দেখলে ভালো লাগে।
একে অপরের প্রতি সহযোগিতা, সম্মান আর সহানুভূতি মনোভাব এটুকুই যথেষ্ট একটা সুন্দর সমাজ গড়ার জন্য। তবে বর্তমান এগুলোর বিপরীত মনোভাব দেখা যায় সমগ্র বিশ্ব জুড়ে। মারামারি, হানাহানি, অন্যকে বিপদে ফেলে নিজে উপরে ওঠার মনোভাব দৃশ্যমান!
যাই হোক, আমি সেখানে গিয়েছিলাম সকলের সিদ্ধান্ত শোনার জন্য। কিছু সময় বাড়িতে এসে স্নান সেরে নিলাম। স্নান করতে গেলে যেন শেষ হতেই চাচ্ছে না, মনে হচ্ছে আরও কিছুক্ষণ স্নান করি!
গাছে তাল ধরেছে। তবে পাকা তাল খেতে আমি ততটা পছন্দ করি না। তবে তালের বোড়া খেতে অনেক ভালোবাসি। তাই তাল ছোটো অবস্থাতেই বিক্রি করে দেয়। গরমের দিনে তালের শাঁসের মতো উত্তম খাবার হয়ত আর হয় না।
বাইরে যতই গরম পড়ুক না কেন তালের শাস ঠিকই ঠান্ডা থাকে, প্রকৃতির সৃষ্টি কতই না অদ্ভুত। আমিও বেশ অনেকগুলো তাল কেটে শাস খেলাম, আমার আবার কিছু জিনিস অল্পতে পোষায় না!
বিকালে একটু কাজে বাজারে গিয়েছিলাম। বিগত দিন হঠাৎ করে হাত ঘড়ির ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে গেছে। তাই ব্যাটারি পাল্টাতে গিয়েছিলাম৷ পরিক্ষা সময় সময়ের হিসাব রাখাটা অনেক বেশি জরুরি।
তাই বাজারে গিয়ে ঘড়ির ব্যাটারি পাল্টে আবারও বাড়িতে চলে আসলাম। যাই হোক, এভাবে আমি আমার দিনের কার্যক্রম শেষ করেছিলাম। সকলে ভালো থাকবেন!
আপনাদের গ্রামের মানুষ খুব ভালো একটা উদ্যোগ নিয়েছে কারণ দুই পরিবারের মানুষ এতটা অসহায় করে পড়েছে যেটা বলে বোঝানো সম্ভব না তাদের পরিবারের মানুষ এই পৃথিবী থেকে চলে গেছে তার উপরে কেউ অসুস্থ হয়ে হসপিটালে পড়ে আছে এমনিতেই সংসার চালাতে টানটান তার উপরে যদি এখন এই অবস্থায় তাহলে তো তাদের অবস্থা আরো খারাপ কিন্তু গরম যতই হোক না কেন কাজ আপনাকে করতেই হবে কাজ না করলে খাবার জোটে না এটাই স্বাভাবিক অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার আরো একটা দিনের কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।