Better Life With Steem || The Diary game || 2nd April 2025
Hello Everyone,,,
বিগত অনেক পোস্টে আপনাদের বলেছিলাম, আমাদের গ্রামে নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেজন্য কয়েকদিন কালেকশনেও গিয়েছিলাম। আজ অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটলো।
আজ এপ্রিল মাসের ২ তারিখ, ২৮ তম বার্ষিকী নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যদিও করোনার কারনে ২ বছর বন্দ ছিলো। তবে সকলের উদ্যোগে বিগত বছর থেকে আবারও শুরু হয়েছে।
বিগত কয়েকদিন যাবত মন্দিরের ডেকোরেশনের কাজ ও অন্যান্য সকল কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। একটা ধর্মীয় কাজ করতে গেলে এখন নানা দিক থেকে বাঁধা আসতেই থাকে। সকলের প্রতি সহোযোগি মনোভাবের পরিবর্তে হিংসায় পরিপূর্ণ আর হিংসার কারনে না নিজে কোনো কাজে সফল হওয়া যায় আর না কোনো মহান কাজে নিজেকে যুক্ত করা যায়।
নাম যজ্ঞ হোক বা দুর্গা পূজা সব ক্ষেত্রে একটা বিষয় আমার খুব নজরে আসে সেটা হলো - সকলে কেমন জানি পদ নিয়ে খুব বাড়াবাড়ি করে।
কে সভাপতি হবে, সম্পাদক হবে এসব দিকেই যেন বেশি মনোযোগ থাকে। যদিও শেষ পর্যন্ত গ্রামের সকলে মিলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তবে যে হতে পারে না সে কোনো কাজেই সাহায্য করতে চায় না, নিজেকে সকল দায়িত্ব থেকে দুরে রাখতে চায়।
অনুষ্ঠান তো সবার তাহলে পদ নিয়ে কেন এত মাতামাতি সেটা বুঝতে পারি না। আমাদের এখানে এমন টা ঘটে, জানি না অন্য জায়গায় কি হয়!
![]() |
---|
আমি এসব রাজনৈতিক বিষয় একদমই পছন্দ করি না, বরং নিজেকে এসবের থেকে দুরে রাখার চেষ্টা করি সব সময়। গ্রামের সন্তান হিসাবে আমার উপর যতটুকু দায়িত্ব পড়ে সেটা নিষ্ঠার সাথে পালন করার চেষ্টা করি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে মন্দিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে নিলাম। তনে বাইরে যে রোদ আর গরম, তবে কি আর করার একদিন তো কষ্ট করতে হবে।
প্রথমে চলে যাই মন্দিরে, সকালের দিকে তখনও খুব বেশি মানুষ আসেনি। নাম যজ্ঞের এখানে সব থেকে বেশি মানুষের ভীড় হয় সন্ধ্যার সময়।
![]() |
---|
আনন্দবাজারে কাজ করতে করতে রাত হয়ে যায়। বিকালের দিকে খুব বেশি ভীড় না হলেও সন্ধ্যার পর থেকে লোকজনের আগমন ঘটতে থাকে তাই কাজের চাপও বাড়তে থাকে। নাম যজ্ঞে প্রসাদ হিসাবে সাধারণত খিচুড়ি দেওয়া হয়। সকলে মিলে গরমের ভিতর কষ্ট করে খিচুড়ি রান্না করছে। এই গরমের মধ্যে রান্না করা অনেক বেশি কষ্টের!
আজ আমাদের বাড়িতে আমার দিদি আর দাদাবাবু এসেছেন। কয়েকদিন আগে আমি পানখালি যে দিদির বাড়িতে গিয়েছিলাম সেই দিদি এসেছে। তবে এখানে কাজ করছি বলে আমি এখনও দিদির সাথে দেখা করতে পারিনি।
কাজের চাপ কিছুটা কমলে বাড়িতে চলে আসলাম। তারপর দিদি, দাদাবাবুকে নিয়ে একটু বাজারে গিয়েছিলাম। যেকোনো অনুষ্ঠানে মেলা বসে। মেলায় ঘুরে ঘুরে নানা ধরনের খাবার খাওয়া ও ভাগ্নীর জন্যে কয়েকটা খেলনা কিলনাম। নতুন খেলনা পেলে ছোটরা কতটা খুশি হয় সেটা তো সবাই জানি। কিছু সময় ঘোরাঘুরি করে বাড়িতে চলে আসি।
Curated by: @dexsyluz
Thank you Very much for your support.
আজকের দিনটা আপনারা অনেক বেশি আনন্দ এবং ব্যস্ততার মধ্যেই কাটিয়েছেন নাম যজ্ঞ যেটা আপনি অনেক আগেই আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপনাদের গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবার 28 তম নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে আনন্দ করা আপনার দিদি এবং দাদাবাবু আপনাদের বাসায় এসেছে যেটা জানতে পেরে ভালো লাগলো ধন্যবাদ।