কম্পিউটার যত্ন নেওয়ার উপায়!
![]() |
---|
Hello Everyone,,,
আশা করি, আপনারা সকলে অনেক ভালো আছেন। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। মানুষের মন খারাপের কারনের তো শেষ নেই। মানুষ অনেক বেশি আবেগপ্রবণ তাই মনে একটু খানি আঘাত লাগলেই যেন কাঁদতে ইচ্ছে করে। যাই আজকের পোস্টের মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক -
আমরা যদি আমাদের শরীরের খেয়াল না রাখি তাহলে তাহলে খুব সহজে অসুস্থ হয়ে পড়ি। তাই শরীরের যত্ন নেওয়ার জন্য আমরা প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার খেয়ে থাকি। তার পাশাপাশি সময় মত বিশ্রাম নিয়ে থাকি।
শরীরের সঠিকভাবে খেয়াল রাখার পরও আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি মাঝে মাঝে। তবে একবার ভেবে দেখুন আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি। তবে সেই কম্পিউটারের কি সঠিক যত্ন নেই?
আমাদেরও যেমন স্বাস্থ্য রয়েছে তেমনই কম্পিউটারেরও তো স্বাস্থ্য রয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য রক্ত মাংস দিয়ে গঠিত আর কম্পিউটারের স্বাস্থ্য বিভিন্ন অ্যাপ আর সিস্টেম নিয়ে গঠিত। তবে সেটার সঠিক যত্ন কি নেই আমরা। তবে চলুন আজকে আপনাদের সাথে কম্পিউটারের যত্ন নেওয়া কিছু কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করা যাক!
![]() |
---|
![]() |
---|
মানব শরীর সুস্থ রাখার জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন তবে কম্পিউটারের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন এ্যাপস ব্যবহার করে কম্পিউটার ক্লিন করা। আমরা প্রতিনিয়ত কম্পিউটারে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে নানা কাজ করা।
তাই অ্যাপস ব্যবহার করেই কম্পিউটারের যত্ন নিতে হবে। এজন্য প্রথমে আমাদের মাইক্রোসফট স্টোরে গিয়ে PC Manager অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। আমার ল্যাপটপে আগেই ডাউনলোড করা রয়েছে।
![]() |
---|
![]() |
---|
তারপর অ্যাপটি ওপেন করতে হবে। অ্যাপ এর ভিতর অনেক ফাংশন রয়েছে প্রতিটা ব্যবহারের পদ্ধতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
Boots অপশনে ক্লিক করলে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহারের ফলে যে ক্যাশ অটোমেটিকভাবে সেভ হয়ে যায় সেগুলো ডিলিট হয়ে যাবে।
![]() |
---|
![]() |
---|
এবার কথা বলবো Deep cleanup অপশন নিয়ে। কম্পিউটার যত ব্যবহার করবেন সেটার উপর নির্ভর করে অনেক ফাইল জমা হয়। সেগুলো নির্দিষ্ট সময় পর ডিলিট করা উচিত। তবে আমরা অনেক সময় এতটাই অসচেতন হই যে এগুলো ডিলিট করি না।
অ্যাপ এর ব্যবহার করা ছাড়াও এসব অপ্রয়োজনীয় ফাইল ডিলিট করা যায় তবে সেটা বেশ জটিল পদ্ধতি। তাই এই অ্যাপ ব্যবহার করে Deep Cleanup অপশন থেকে এক ক্লিকে সেই সব ফাইল ডিলিট করতে পারবেন।
![]() |
---|
![]() |
---|
আমরা যখন কম্পিউটারে কোনো কাজ করি তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে অপ্রয়োজনীয় অনেক অ্যাপ বা সিস্টেম চালু থাকে যেগুলো সাধারণত বোঝা যায় না। আমরা বুঝতে না পারলেও সেটা কিন্তু কম্পিউটারের উপর প্রেসার তৈরি করে। তাই সেগুলো বন্ধ করা উচিত।
উপরের ছবিতে চিন্হিত করা Process অপশনে গেলে চালু কৃত সকল সিস্টেম দেখা যাবে। তখন আমাদের অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো বন্দ করে দিতে পারবো। এতে কম্পিউটারের উপর চাপ অনেকটা কমবে এবং ফাস্ট কাজ করবে।
![]() |
---|
এবার আসি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে। প্রতিনিয়ত আমাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপে উইন্ডোজ আপডেট আসতেই থাকে।
আপডেট আসলে আমাদের সেগুলো আপডেট করা উচিত এটা আমরা সবাই জানি। তাই এই অ্যাপ এর ভিতর Windows update অপশন থেকে খুব সহজে চেক করতে পারবো যে কোনো আপডেট এসেছে কিনা।
যদি কোনো আপডেট আসে তাহলে এখান থেকেই খুব সহজে আপডেট করতে পারবো। এই মুহুর্তে আমার কোনো আপডেট আসে নি তাই পরবর্তী আবারও চেক করবো।
আশা করি, আপনারা আমার পোস্টটি মনযোগ দিয়ে পড়েছেন। আমার বিশ্বাস আমার পোস্টে দেখানো পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে সেটা আপনাদের কাজে আসবে। সকলের জন্য অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
পোস্টে ব্যবহৃত ছবিগুলো ল্যাপটপ থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে |
---|
* বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আজ আপনি আলোচনা করেছেন। বর্তমানে কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম আছে। তবে সেগুলোর প্রতি কিভাবে যত্নশীল হতে হয়, এবিষয়ে অনেকেই অবগত নন। তবে আপনার উপস্থাপন করা পদ্ধতি অনুসরণ করলে সহজেই তা করা সম্ভব। সত্যি বলতে এটা আমার জন্যেও অজানা ছিলো। তাই আমার জন্যেও এটা একটা শিক্ষনীয় পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।