Better Life with Steem|| The Diary Game||28 May 2025||
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠি সাতটার দিকে। ছোট ভাই দের নিয়ে যাই ওদের সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্টের দিকে। ছেড়ে যাওয়ার পর কোন ছবি তুলতে দেওয়া হয়নি আমাদের। সেখানে পুরোপুরি নিষিদ্ধ ছবি তোলা। তারপর ওদের নিয়ে কিছু খাওয়া-দাওয়া করে আটটার মধ্যে ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে যায়। তারপর আমি এক বড় ভাই বাইরে থাকি আমরা দুজনে রুমে চলে আসি। রুমে এসে বেশ অনেকটা সময় ঘুমাই বিশ্রাম নেই।
আমাদের ১১:৩০ রুম ছেড়ে দিতে হবে। সেটা আগেই বলে দিয়েছিল। তাই আমরা ১১ঃ৩০ টার দিকে রুম ছেড়ে বাইরে বের হই। দুজন মিলে এক দোকানে বসে হালকা কিছু নাস্তা করি। নাস্তা করে কিছুক্ষণ এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করে বেশ ভালোই সময়টা কেটে দেয়।তারপর ঘুরতে ঘুরতে আবারো ক্যান্টনমেন্টের কাছে চলে আসে। সেখানে এসে কিছুক্ষণ বসে থাকার পরে শুনতে পারি। একটু দূরে খুব সুন্দর একটা চিড়িয়াখানা আছে।
তারপর আমরা দুজনে সেখান থেকে একটা গাড়িতে করে চলে যাই সেই পার্কে সামনে। প্রথমে গিয়ে ৫০ টাকা করে টিকিট কেটে নেই দুজনে দুটো। তারপর খুব সুন্দর একটা গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করি। ভিতরে ঢুকেই দেখতে পাই বিভিন্ন ধরনের পশু পাখি। যেগুলো দেখতে আমার কাছে বেশ আকর্ষণীয় মনে হয়েছে। আমি প্রতিটা পশু পাখির কাছাকাছি গিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করেছি। প্রতিটা পশু পাখির কাছে গিয়ে তাদের সাথে একটু একটু দুষ্টামি করার চেষ্টা করেছি।
বেশ ভালো লাগলো এমন ভাবে বিভিন্ন ধরনের পশুপাখি দেখে। এরকমটা সেই ছোটবেলায় চিড়িয়াখানায় গিয়ে একবার দেখেছিলাম আর আজ এই সৌভাগ্য হলো। তো আমরা দুজনে বেশ পুরো দুপুর থেকে বিকেলটা চিড়িয়াখানার মধ্যেই কাটিয়ে দেই বেশ ভালই বিভিন্ন পশু পাখির সাথে খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত কেটে যায়। চারটার দিকে ছোট ভাই দুটো বের হয়। প্রথম বার সিলেক্ট হবে না এটা আমরাও জানতাম আর ওরা দুজন বের হয়ে ঠিক সেটাই বলে দিল। তারপর ওদের নিয়ে চলে গেলাম একটা হোটেলে কিছু খাওয়া-দাওয়া করতে।
ওদের দুজনার মন অনেক খারাপ হয়ে গেছে এটা আমরা বুঝতে পেরেছি। তারপর ওদের নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করি। তারপর ওদের সাথে হাসি ঠাট্টা করি যেন ওদের মন ভালো হয়ে যায়। তারপর ওদের নিয়ে একটু এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করি দেখি ওদেরও ভালো লাগতেছে। সন্ধ্যার দিকে আমরা রওনা হই বরিশালের জন্য। খুলনা থেকে বাড়ির দিকে একটু এগিয়ে থাকি আমরা তাই বরিশাল গিয়ে এক আত্মীয়র বাসায় এক রাত থাকবো।
বেশ অনেকটা পথ জার্নি করার পরে আমরা অবশেষে সেই আত্মীয়র বাসায় এসে পৌঁছয়। রাত এগারোটা মত বেজে যায় আমাদের সেই বাসায় আসতে আসতে। সে বাসায় এসে বেশ ভালই খুব যত্ন পেলাম আমরা। বেশ অনেকটা সময় ধরে তাদের সাথে বসে কথাবার্তা বলি তারা আমাদের সাথে কথাবার্তা বলে বেশ ভালই লাগে। তারপর খাওয়া দাওয়া করে বিছানায় গুছিয়ে দেয় আমাদের ঘুমানোর জন্য। আমরা সবাই খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাই কারণ কাল তেমন একটা ঘুম হয়নি। আর রাত থেকে অনেক বৃষ্টি হচ্ছে যে জন্য আমাদের ঘুম আরো ভালো হলো।