Significance of consistency! ধারাবাহিকতার গুরুত্ব।

মাসের নয়(9) তারিখ আর প্রতি মাসের দশ(10) তারিখ ঘরভাড়া দেবার দিন! কাজেই, প্রতিদিন বৃষ্টির কারণে বাইরে যাচ্ছি, যাবো করতে করতে আজকে সকালে দাদার সাথে ফোনে কথার শেষে এই সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে বেরিয়ে পড়লাম।
সঙ্গে ছাতা নিয়ে যাই নি কারণ, ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছিল, আর জানতাম ফেরার পথে হাতে জিনিসের ওজন থাকবে! ব্যাগে ভেজা ছাতা রাখা সমস্যা কিছু কাগজপত্র থাকে।
আমার প্লাস্টিক ব্যাগে রাখার অভ্যেস নেই!
ভিতরের গলির বাঁক ঘুরতেই একটি বাড়ির সামনে বৃষ্টির মাঝেই থমকে দাঁড়ালাম!
যে বাড়ির ছাদের জবা ফুলের ছবি ইতিপূর্বে লেখায় ভাগ করে নিয়েছি আপনাদের সাথে;
সেই বাড়ির সামনের দিকে দেখলাম অনেক হলুদ ফুলের মাঝে একটি ধবধবে সাদা কাঞ্চন ফুল ফুটে আছে।
- দুটো শিক্ষা সঙ্গে সঙ্গে মাথায় এক নিমেষেই ভিড় করলো!

- প্রথম:-পরিস্থিতি যাইহোক প্রতিদিনের উপস্থিতি বাঞ্ছনীয়! ধারাবাহিকতার গুরুত্ব বুঝলাম। গাছের প্রাণ আছে, কাজেই তারও মানুষের মতো এই বৃষ্টিতে ফুল প্রস্ফুটিত করবার ইচ্ছে নাই করতে পারে, তাই না?
কিন্তু সে নিময়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে এই বর্ষায় ফুটে মানব সমাজকে বার্তা দিলো, নিজের মধ্যে প্রাণের অস্তিত্ব থাকলে ধারাবাহিকতা আবশ্যক।
শীত হোক, গ্রীষ্ম হোক কিংবা বর্ষা! বিষয়টি হলো দৃষ্টান্তের! কে, কিভাবে দৈনন্দিন বিষয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক।
- দ্বিতীয়:--মানবকুলের মতই উদ্ভিত কুলের বর্ণনা দিতে গেলে দেখা যাবে দুটোই ফুল! তবে, বর্ণের এবং প্রজাতির নিরিখে উভয় পৃথক! ঠিক যেমনটি মানুষের চিন্তাধারা।
যার যেমন মানসিকতা তার চিন্তাধারার প্রভাব, যেমন তার কাজের, এবং ব্যবহারের মধ্যে সুস্পষ্ট;
তেমনি এই বর্ণ, গন্ধ একটি ফুলের প্রজাতিকে অন্যের থেকে পৃথক করে।
পাশাপশি, এরা বুঝিয়ে দেয়, সল্প সময়ের জীবন চক্রে নির্ভেজাল থাকার প্রয়াস আমাদের সমাপ্তি নির্ধারণ করে।
লক্ষ্য করলাম বৃষ্টির ধারা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে, কিছু দূরেই শিব মন্দির, আমার বর্তমান একলা থাকার একমাত্র সঙ্গী করে নিয়েছি সৃষ্টিকর্তাকে।

তাই প্রণাম জানিয়ে দু একটা কথা, কুশল বিনিময় করে, বাজারের দিকে এগোলাম।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনলাইন থেকে জিনিষ অর্ডার করি তবে বাড়িভাড়া দিতে যখন বাইরে যেতেই হবে, তখন খানিক জিনিষ কিনে আনবার সিদ্ধান্ত নিয়েই বেড়িয়েছিলাম।

বিশেষ করে, বিভিন্ন প্রকারের ডাল আমি অনলাইন থেকে বিশেষ কিনি না, সাথে গোবিন্দ ভোগ চাল।
এর পাশাপশি নারকেল, কলা, পাকা পেঁপে,কিনলাম।
এরপর আর না দাড়িয়ে সোজা হাজির হলাম মুদির দোকানে। ছোলার ডাল, মুগ ডাল, গোবিন্দ ভোগ চাল, সাবু, ঘী, চিনি, এই করতে করতে বেশ খানিক জিনিষ কিনলাম।
তবে, সিদ্ধান্ত নিয়েছি সবজি অনলাইন থেকে কিনে নেবো, আর এই বৃষ্টিতে বেরোবার প্রয়োজন পড়বে না, যেটাই লাগবে অর্ডার করে দেবো অনলাইন থেকে।
অনেকেই মনে করেন বেশিরভাগ মানুষ প্রতিদিন লেখেন ক্ষমতাধারী স্টেক হোল্ডার দের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে, আমার তাদের কাছে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে, শৈশবে সপ্তাহে কি প্রতিদিন ওনারা স্কুলে যেতেন?
অধিক ক্ষেত্রেই পারস্পরিক উপার্জনের মাধ্যম থাকায় বেশিরভাগ ইউজার এখানে প্রতিদিন লেখেন না! আবার, অনেকেই অলসতার কারণে!
এই যদি পাঁচ বছর আগের মূল্যে স্টীম পৌঁছে যায়, আমার ও দেখার আছে স্টেক হোল্ডার দের প্রতিনিয়ত উপস্থিতি দেখা যায় কিনা!
এছাড়াও নিজেদের একাউন্ট গ্যারান্টেড পোস্টে অটো ভোটে রেখে, আবার বেছে সেখানেই সমর্থন দিচ্ছেন কেনো?
পোস্ট না লিখে কি তারা উপার্জন করছেন না? একটা আঙ্গুল অন্যের দিকে রাখার পূর্বে নিজেদের অবস্থান দেখে নেওয়া উচিত!
তাহলে যারা প্রতিদিন লিখছেন তাদের উদ্দেশ্যে সন্দেহ প্রকাশের কারণ কি?
যদি সদিচ্ছা থাকে, তাহলে প্রতিদিন থেকে কিছু না কিছু শেখা যায়, প্রয়োজন কেবলমাত্র সুক্ষ্ম এবং উন্নত দৃষ্টির!
যদিও, একান্তই ব্যক্তিগত অভিমত, যেমন রঙের, প্রজাতির ভেদে ফুলেরা ভিন্ন হয়, তেমনি মানুষের চিন্তাধারা নির্ভর করে কোন পরিবেশ থেকে তারা উঠে এসেছে, এবং বর্তমান অবস্থান।
আমি বিশ্বাস করি, যে যেমন, তার চিন্তাধারা বাকিদের প্রতি ঠিক তেমন হয়!
আপনাদের কি মনে হয়, যারা যত্ন সহকারে প্রতিদিন একটি লেখা ভাগ করে নেয়, মানেই সেখানে সুপ্ত অভিসন্ধি, নাকি নিজের উপলব্ধির ব্যাখ্যা?
লেখাটি পড়লে মন্তব্যের দ্বারা জানাতে ভুলবেন না, কেমন?


SPOT-LIGHT TEAM: Your post has been voted on from the steemcurator07 account.