My visit to Apollo Hospital! আজকের গন্তব্য!

in Incredible India4 days ago

1000066993.jpg

দু'দিন আপনাদের সাথে পুজোতে ঘোরাঘুরির ছবি ভাগ করে নিয়েছি, গতকাল ও অন্যথা হতো না, তবে জীবন সব সময় আমাদের ইচ্ছানুসারে চালিত হয় না!

এটা সকলের জানা, তবে কিছু ইচ্ছার পূর্তি বোধকরি কেউই চায় না, আর তেমনই একটি মধ্যে আমি একেবারেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়া পছন্দ করি না, কারণ এখানে মানুষ ভালো কোনো কারণে আসেন না!

যেমন আজকে আমার আগমনের হেতু এরকমই একটি কারণে।
দশমীর দিন ঠাকুর দেখতে যাবার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছি দুটি পর্বে, এবং এখনও অনেক কলকাতার ঠাকুর তথা প্যান্ডেল ভাগ করা বাকি, এই ধারায় ছেদ পড়বার কারণ আমার ভাইপো!

1000067005.jpg

২রা অক্টোবর ঠাকুর দেখে বাড়ি ফিরে বন্ধুদের সাথে পুনরায় সারা রাত ঠাকুর দেখে।
এরপর দিন সকালে ফিরে সারাদিন বিশ্রাম নিয়ে পুনরায় রাতে তার মোটর বাইক নিয়ে বের হয়।

এর কিছুক্ষণের মধ্যে আমার মাসতুতো দাদার (এল্ডার কাজিন ব্রাদার) কাছে ফোন আসে, ওর ছেলে এক্সিডেন্ট করেছে!

কোনো এক বন্ধু ফোন করেছিল, এরপর যা হয়, স্থানীয় হাসপাতালে জানিয়ে দেয় স্থানান্তরিত করবার জন্য, সেইমত দেরি না করে এম্বুলেন্স নিয়ে চলে আসে অ্যাপোলো হাসপাতালে!

গতকাল অপারেশন করা হয়, কারণ বা পায়ের থাই এর মধ্যে এক্ বিশালাকায় প্লাইয়ের টুকরো ঢুকে গিয়েছিল, ফলে অস্ত্রপ্রচার করে সেটা বের করা হলেও, এখনও আরেকটি অপারেশন বাকি!

1000066989.jpg1000066990.jpg
1000066994.jpg
1000066991.jpg

1000066992.jpg

(নার্সিংহোমে ঢোকার মুহূর্তে তোলা ছবি!)
☝️

যেটি আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার হবে, আমি ৩ তারিখ রাত্রে আসতে পারিনি, গতকাল জানা গেলো এদের ভিজিটিং এর সময় সকাল দশটা থেকে এগারোটা!

তাই কাল ফোনেই অপারেশন এর কথা বিস্তারিত শুনেছিলাম ফোনে।
আজকে আমি এসেছি এবং এই মুহূর্তে রিসিপশনের মধ্যে বসে খানিক লেখা সেরে রাখছি, এরপরের অবস্থা কি হবে জানা নেই!

আগামীকাল আরেকটি অপারেশন আছে এবং আমার আসার ইচ্ছে আছে, দেখা যাক!
আগামীকাল বা পায়ের শিরা তথা প্লাস্টিক সার্জারি হবে হয়তো সবটাই কাসিন ব্রাদার আসলে জানতে পারবো, এখনও সে রাস্তায়, আর ঘড়ির কাঁটায় এখন ভারতীর সময় সকাল নয়টা বেজে আটান্ন মিনিট!

আমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে লোকাল ট্রেনে (ট্রেনের সময় গতকাল সম্পা WhatsApp করে জানিয়ে দিয়েছিল) করে শিয়ালদহ পৌঁছই।
সেখানে থেকে মেট্রো করে সল্টলেক স্টেডিয়াম পৌঁছে যাই।

  • লোকাল ট্রেনের ভিতরে বসে এবং শিয়ালদহ স্টেশন পৌঁছে তোলা কিছু ছবি!👇
1000066965.jpg1000066967.jpg
1000066968.jpg1000066969.jpg

1000066970.jpg

1000066966.jpg

আজকে যেহেতু রবিবার, তাই তুলনামূলক জন-জোয়ার কম ছিল।
আর লোকাল ট্রেনের সময় পূর্বেই জানা ছিল, আর কপাল করে মেট্রো রেলের জন্য দাঁড়াতে হয়নি।

  • নির্মিত মেট্রো রেলপথ:-
    👇

1000066977.jpg

1000066973.jpg1000066974.jpg
1000066978.jpg1000066975.jpg

1000066976.jpg

1000066979.jpg1000066980.jpg
1000066983.jpg1000066984.jpg

যেহেতু মেট্রো করে এই পথে প্রথম আগমন তাই যাত্রা পথের কিছু ছবি এবং ভিডিও করে রেখেছি।
এর কারণ শুধু লেখায় সেগুলোর ব্যবহার এমনটি নয়, আগামীতে এই পথের একটা ম্যাপ নিজের আয়তাভুক্ত করা।

এই লেখা লেখার মাঝেই ফোন কাজিন ব্রাদার জানালো মেট্রো স্টেশন পৌঁছে ট্রেনের প্রতীক্ষায় দাড়িয়ে রয়েছে।

1000066995.jpg1000066997.jpg
1000066998.jpg1000066999.jpg
(রিসিপশনের ভিতরে বসে কাজিন ব্রাদার এর জন্য প্রতিক্ষারত অবস্থায় লেখার প্রথমার্ধে তোলা ছবি, তবে এটি অনেক রিসিপশনের একটি)

আচ্ছা, এখনও পর্যন্ত এই অবধি যাত্রার বিষয় উল্লেখিত, (সকাল দশটা বেজে সাত মিনিট) বাকিটা দিন অতিবাহিত হলে, লেখায় সেটা সংযুক্ত করেই আপনাদের মাঝে ভাগ করে নেবো!

  • তবে, এই বসে থাকা পরিস্থিতিতে যেটা মনে হচ্ছে, সেটা হলো মানুষের বোধহয় সবচাইতে বেশি সচেতন এবং সজাগ থেকে উচিত ভালো সময়!

  • বিপদ বলে আসে না! আর, উদ্দীপনা যখন উন্মাদনায় রূপান্তরিত হয়, তার পরিণতি কতখানি ভয়ংকর সেটাও প্রমাণিত।

বাড়ি থেকে যখন বেড়িয়েছিলাম তখন ঘড়িতে সময় ছিল সকাল সাতটা বেয়াল্লিশ!
আর যখন ঘরে পা রাখলাম তখন সন্ধ্যা ঠিক পাঁচটা!
এরপর স্নান সেরে, সন্ধ্যা দিয়ে দ্বিতীয়ার্ধের লেখা শুরু করছি!

1000067002.jpg

  • রেস্টুরেন্টের প্রবেশ দ্বার এবং অভ্যন্তরীণ ছবি!

1000067008.jpg

1000067011.jpg1000067009.jpg

1000067010.jpg

কাজিন ব্রাদার পৌঁছেছিল সকাল সাড়ে দশটায়।
প্রথমেই বললো ব্রেকফাস্ট করে নিতে, কারণ আইসিইউ এবং জেনারেল এর ভিজিটিং এর সময় ভিন্ন!

1000067003.jpg1000067004.jpg

(নার্সিংহোমের অভ্যন্তরে অবস্থিত মন্দির)

জেনারেল এ বেলা এগারোটা থেকে দুপুর বারোটা।
আমি নার্সিং হোমের বাইরের বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম, এবং রিসিপশনের ছবিও তবে ভাইপোর কোনো ছবি তুলিনি কারণ সেটা শোভনীয় নয়।

এটা কোনো অনুষ্ঠান নয়, তবে লেখার পরিপূরক হিসেবে ছবির প্রয়োজনার্থে যাত্রা পথের এবং নার্সিং হোমের কিছু ছবি তুলেছি।

খাবারের ছবি তুলিনি, তবে নার্সিং হোমের অভ্যন্তরে থাকা রেস্টুরেন্টের ছবি তুলেছিলাম।
এরপর, সোজা চলে গেলাম ভাইপোকে দেখতে!
গিয়ে দেখছি মোবাইলে ব্যাস্ত রয়েছে!

1000067024.jpg

(মুল রিসিপশনের ছবি)

1000067025.jpg

এরপর জানতে চাইলাম, কিভাবে এই রকম ভয়ংকর এক্সিডেন্ট হলো, যথারীতি ঘুরিয়ে পেচিয়ে উত্তর দিলেও বুঝলাম, ওর পাশ দিয়ে ওর ওই একই কোম্পানি এবং মডেলের মোটর বাইক ওকে ওভারটেক করতে চাইছিল, যেটা ওর ইগোতে লাগছিল, তাই স্পিড বাড়িয়ে সেই বাইকের আগে যাবার প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ এই দুর্ঘটনা!

প্রথমে শুনেছিলাম হাড় ভাঙেনি, তবে আজকে গিয়ে জানলাম, বা পায়ের হাড় ভেঙেছে, সাথে ডান হাতের বুড়ো আঙুল!

1000067012.jpg

(প্রযুক্তি যতই উন্নত হয়ে যাক, শেষ ভরসা সেই পরমেশ্বর)

1000067013.jpg

পাশাপশি, আগামীকাল অর্থাৎ ৬ই অক্টোবর আরো একটা অপারেশন করতে হবে!
এত সবের পরেও আজকে আমাকে বললো, সুস্থ্য হয়ে রয়েল এনফিল্ড কিনবে!

এই জেনেরেশনকে বোঝা সত্যি দায়! অক্টোবরের সাত তারিখে ১৭ বছর বয়স হবে, সেদিক থেকে এখনও মাইনর তবে শৈশব থেকে অর্থ, বৈভবের মধ্যে বেড়ে ওঠা, পাশাপশি আজকাল চাইবার সঙ্গে সঙ্গে আবদার মেটানোর ফল, এদেরকে এই পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে আমি মনে করি।

  • মেডিক্যাল ইন্স্যুরেন্স সেকশন:-

1000067022.jpg

1000067017.jpg1000067016.jpg

1000067023.jpg

যাক, খানিক সময় ওর সাথে কাটিয়ে আমরা গেলাম মেডিক্লেইম সেকশনে।
এপ্লিকেশন লিখে জমা করতেই প্রচুর সময় অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল।

সমস্ত কাজ মিটিয়ে আরেকবার দেখা করে, আমরা ফেরার পথ ধরলাম।
এবারের গন্তব্যে বেশ নতুনত্ব ছিল, কারণ এই যে মেট্রোর ছবি তুলে ধরছি আপনাদের মাঝে এটি নতুন উদ্বোধন হয়েছে, এবং সত্যি বলতে মানুষের জন্য, যারা বিশেষ করে প্রাত্যহিক যাতায়াত করেন, তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়েছে।
এটি শিয়ালদা থেকে একেবারে হাওড়া যাচ্ছে সল্টলেক এর উপর দিয়ে।

  • বাড়ি ফেরার পথে:-

1000067026.jpg

1000067029.jpg1000067030.jpg

1000067027.jpg

ফেরার সময় একই ভাবে ফিরলেও ভিড় ছিল অনেক বেশি যাবার সময়ের তুলনায়, কাজেই সেই সকালে বেরিয়ে এই সন্ধ্যায় ফিরে স্নান সেরে পুজো দিয়ে, বাকি লেখাটা সেরে নিচ্ছি, কারণ এরপর হয়তো ইচ্ছে শক্তি তলানিতে গিয়ে ঠেকবে!

পরিশেষে, এই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলাম, ভালোবাসা মানে মাথায় তুলে নাচা নয়, আমার শৈশবে মা, বাবার উপর যে রাগ হতো না এমনটা নয়, কারণ আমি জানতাম আমি যেটা চাইছি, সেটা তারা দিতে সক্ষম তবুও দিচ্ছেন না!

এখন তার যথার্থতা বুঝতে পারি, আসলে তার আড়ালে তারা কতখানি সঠিক শিক্ষা দিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন বলেই, না আছে, ঈর্ষা, না পরহিংসাপরায়নতা, না লোভ, না লালসা, না কম বেশির হিসেব।

তাই হয়তো সবকিছু পেয়েও নিজের কত সম্পত্তি ছিল, আছে এসব খুবই তুচ্ছ আলোচিত বিষয় আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে।

আগামীকাল আমার যাবার কথা ছিল, তবে আমি যাব না, সেটা আজকেই জানিয়ে দিয়েছি।
আসল লিখিত কাজ যেসব ছিল আজ মতে গেছে, দেখে এসেছি সঙ্গে বেশ কিছু বিষয় শিখে ও এসেছি।

তাই, আজ নিজের মা বাবার জন্য সত্যি গর্ব হচ্ছে! তাদের শিক্ষা, তাদের সামাজিক মূল্যবোধ এগুলো দিয়ে আমাদের বড় করবার প্রয়াস করবার জন্য।

1000010907.gif

1000010906.gif

Sort:  
Loading...

Congratulations!! Your post has been upvoted through steemcurator07. We encourage you to publish creative and quality content.


Format_coment_2.png

Curated by : @mvchacin

I truly appreciate your understanding and reflections on the situation. You expressed it beautifully discipline and values from our elders shape who we become. I completely agree that love with guidance is what builds strong character.