Learn lessons from the past! অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।

গুরুজনদের দেখে এবং তাদের জীবনের পথ চলার, সংঘর্ষের গল্প আজকের নব প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে সবচাইতে বেশি সহায়ক।

তবে এখানে একটি মুশকিল হলো, একটি বয়স পর্যন্ত অভিভাবকদের পাশে বসে তাদের অভিজ্ঞতা অর্থাৎ তাদের জীবনের সংঘর্ষ শুনতে চায় না আজকালের প্রজন্ম।

এর চাইতে খানিক মোবাইলে নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে সময় অতিবাহিত করতে তারা অধিক আগ্রহী।

আজকে কথাগুলো লিখছি কারণ, আমরা প্রায়শই পুরোনো মানুষ, তথা তাদের সহযোগিতা, এবং তাদের থেকে উপার্জিত শিক্ষা ভুলে যাই অবলীলায়!

সময়ের সাথে সামনের নতুনত্ব আমাদের প্রাধান্যের বিষয়, এটি অপ্রয়োজনীয় সেটা আমি কখনোই মানি না;
তবে পুরোনোকে মর্যাদা দিতে না পারলে নব প্রজন্মকে বোধহয় সঠিক পথ প্রদর্শন করানো সম্ভব নয়!

পরিবর্তন যদি সার্বিক উন্নয়ন বয়ে নিয়ে আসে তবে তাকে যেমন স্বাগত জানানো উচিত পাশাপশি যার ছত্রছায়ায় সেই পরিবর্তনের সূত্রপাত সেটা কখনোই ভুলে গেলে চলবে না।

যে মুহুর্তে আমরা অতীতের শিক্ষা তৎসহ সেই গুরুজনদের শিক্ষা ভুলতে বসবো, অবক্ষয় শুরু হবে সেই মুহূর্ত থেকে।
নব নির্মাণের জন্য দক্ষতা, পারদর্শিতা সহ প্রয়োজন অভিজ্ঞতার।

উপরিউক্ত শীর্ষক এর ধারণা বলুন অথবা লেখার বিষয়বস্তু পেয়েছি আমার শয়ন কক্ষে থাকা পিস লিলি গাছটি দেখে।

একটি নব জন্মিত কচি পাতা সহ আসে পাশের শুকিয়ে যাওয়া এবং কিছু নব যৌবন প্রাপ্ত পাতা থেকে আমার এই শীর্ষক নির্বাচিত।

আমি সবসময় লেখায় উল্লেখ করি, মানব জীবন চক্রের অধিক শিক্ষা আমরা প্রকৃতির থেকেই পেয়ে থাকি।

আজকের লেখাইটিতেও বিষয়ের অন্যথা হয়নি।
যারা বয়েসের ভারে নুয়িয়ে গেছে, কোমর যাদের বেঁকে গেছে একদিন তারাও ছিল সতেজ সজীব আর বছরের পর বছর বস্তবিকতার ঝড় ঝাপটা সহ্য করে আজকে যে অভিজ্ঞতা তারা অর্জন করেছেন, সেই রসদ এর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

সময় নতুনকে একদিন পুরাতনের জায়গায় এনে দাঁড় করায়, কেনো জানেন?
বর্তমানে যে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে নৈতিকতা প্রাণীকুল ভুলতে বসেছে তাদেরকে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে তমসা থেকে বের হতে সহায়তা করে এই অভিজ্ঞ মানুষগুলি।

গাছিটির পাতায় লেখা জীবন চক্রের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জীবন গাঁথা!

নব নির্মাণ থেকে ঝরে পড়ার বাস্তবিক কাহিনী।
বর্তমান যদি সত্যি হয়, তাহলে অতীত তার ভিত! আর ভবিষ্যত সুদৃঢ় করতে উভয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

নির্মাণের ইতিহাস কখনও ভুলতে নেই, সেটা মানবিকতার বার্তা বহন করে না, ঝরে পড়া পাতার মত আমাদের গুরুজনেরা হলেন সেই ভিত যার উপরে দাড়িয়ে, যার আঙুল ধরে, যার কাঁধে ভর দিয়ে নব প্রজন্ম নিজের পায়ে দাড়াতে শেখে।

প্রকৃতি থেকে উপার্জিত শিক্ষা আমার জীবনের আগামী পথ চলার পাথেয় করে বাকি সময়টা এগিয়ে যেতে পারি এটাই আমার একমাত্র কামনা।

সামাজিক প্রেক্ষাপটে দাড়িয়ে যদি নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে হয়, সেক্ষেত্রেও বলবো, মাতা পিতার শিক্ষা যেমন ভুলতে নেই, তেমনি ভোলা উচিত নয় তাদেরকেও যারা ক্ষণিকের জন্য কোনো শিক্ষা দিয়ে গেছেন অথবা যাচ্ছেন।