Journal of 9th August (শনিবারের বারবেলা!)

in Incredible India2 days ago
1000063540.png

কতজন বাংলায় উদ্ধৃত শব্দ যুগল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল? জানিনা! তবে, হয়তো গুগল ঘেঁটে উদ্ধার করতে চাইলে করতে পারেন, যদি কেউ নামটি দিয়ে চেক করেন তাহলে দেখবেন এটি একটি জনপ্রিয় রেডিও অনুষ্ঠানের নাম!

হারিয়ে যাওয়া অনেক কিছুর মধ্যে কিন্তু রেডিও অন্যতম। আমাদের বাড়িতে একটি ছিল, পাশাপশি আমার জ্যাঠামশাই এর কাছে ছিল গ্রামোফোন!

এখন এসব ইতিহাস, তবে মানুষের মতোই হারিয়ে গেলে অনেক কিছুর প্রকৃত মূল্য অনুধাবন করা যায়!
তেমনি আজকে হঠাৎ করেই শীর্ষকটি মাথায় এসে গেলো!
অনুষ্ঠানটি ছিল স্যাটারডে সাসপেন্স, মানে ভৌতিক এবং সাসপেন্স গল্পগুলোকে সম্প্রচার করা হতো।

আজকে, অবশ্য আমার লেখায় তেমন কোনো সাসপেন্স তুলে ধরতে উপস্থিত হই নি, আজকে হাজির হয়েছি গতকালের দিনলিপি ডায়রির পাতায় লিপিবদ্ধ করতে।

এখন প্রতিটি দিনের মূল্য উপলব্ধি করতে পারি, প্রিয় ডায়েরি পিছন ফিরে চাইলে শুধু দেখি কিভাবে প্রতারিত হয়েছে আমার বিশ্বাস, কিভাবে প্রতারিত হয়েছে আমার অনুভূতি!

এত সুন্দর অভিনয় বোধ করি নামকরা শিল্পীরাও করতে অক্ষম! চাওয়া পাওয়ার হিসেবে কাচাই রয়ে গেলাম! অসুবিধা নেই, যতক্ষণ চোখ খোলা, ততক্ষণ কিছু মানুষের পরিণতি দেখার সুযোগ চাই সৃষ্টিকর্তার কাছে।

শনিবার ছিল আরেকটি ব্যস্তময় দিন। উঠেছিলাম সেই সাত সকালে, তারপর আবার রান্নার ভূত চেপেছিল মাথায়।
আসলে নিজেকে ব্যস্ত রাখা একমাত্র উপায়, যেখানে কিছু বেঈমান মুখগুলো ক্ষণিকের জন্য ভুলে থাকতে পারি।

থাক এসব কথা ডায়েরি, মনের অনুভূতি তোমার সাথে নয়তো মনে মনে ভাগ করে নেবো, কাজের হিসেবগুলো শুধুমাত্র লেখা থাক।
এতে করে কুঁড়ে, অলস ইত্যাদি তকমা তুমি আমায় দিতে পারবে না! কি বলো?

1000063502.jpg
👈খিচুড়ি
তরকারি👉
IMG_20250810_202213.jpg
IMG_20250810_202224.jpg
👈ভাজা (আলু, বেগুন, কুমড়ো, পটল, কাকরোল)
টমেটোর চাটনি
IMG_20250810_202255.jpg

সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে রান্না শুরু করেছিলাম,
খিচুড়ি, সব সবজি মেশানো তরকারি, পাঁচ রকমের ভাজা আর সেই টমেটোর চাটনি।
বারংবার লোডশেডিং এর কারণে একবার করে গ্যাস আরেকবার ইন্ডাকশন করতে করতে প্রচুর বাড়তি সময় ব্যয় হয়েছে!

একলা মানুষের জন্য আর কি চাই? তবে এবার ঠাকুরের সামনে রান্না করে খেতে দিতে পারিনি, কিছু বাধার কারণে!

1000063500.jpg

আজকে যেহেতু কিউরেশান থাকবে জানা ছিল, তাই এই রান্নার তোড়জোড়, আজকে অন্য কারণ থাকবে ব্যস্ততার সেটা জানাই ছিল, তবে গতকাল রাত থেকেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল।

রান্নার শেষে সমস্ত বাসন মেজে, রান্নাঘর পরিষ্কার করে, তারপর ঘর ঝাড় দিয়ে, ঘর মুছে, এরপর স্নান সেরে পুজো করে যখন উঠলাম তখন দুপুর প্রায় শেষের দিকে!

এখন খাবারের সময় বদলে নিয়েছি, আগে যেমন সেই মাঝ রাত্রে খাবার খেতাম, এখন ওই কোনোদিন বেলা চারটে, কোনোদিন সাড়ে চারটের দিকে একবার খাবার খাই।

বাকি আগের মতোই সকাল এবং রাত্রে গ্রীন টি আমার সঙ্গী।
একটা মজার বিষয় লেখার শেষে উল্লেখ না করলেই নয়, আমার দাদার সাথে ফোনে কথা বলার সময় ওদের বাড়িতে অনুষ্ঠিত ঝুলন নিয়ে কথা বলার সময় আমি বললাম আজকে থেকে বাংলার ভাদ্র মাস শুরু হয়েছে, ও বললো না!
এই নিয়ে ৫০০ টাকার বাজি ধরে হেরে গেলাম, আর সঙ্গে সঙ্গে ৫০০ টাকা পাঠিয়ে দিলাম।

যদিও আমার আসল উদ্দেশ্য ছিল, গত মাসে দাদার জন্মদিন গেছে কিন্তু ওইদিন কিছুই দিতে পারিনি দাদাকে, আজকে এই বাহানায় টাকা দিয়ে বললাম একটা টিশার্ট কিনে নিতে।
এমনিতে দিতে চাইলে নিতো না, কারণ আমিও ফিরিয়ে দিয়েছিলাম টাকা, তাই এইভাবে সামান্য ক্ষমতায় যেটুকু সম্ভব সেটাই পালনের ছোট্ট প্রয়াস মাত্র।

এই ছিল, মোটামুটি আমার দিন, আজকাল প্রতিদিন যে কাজটা করি সেটা হলো পিছন ফিরে মানুষের কিছু কথা মনে করিয়ে দিতে থাকি নিজেকে, এতে করে ভবিষ্যতে এসব গিরগিটিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে সহজ হবে, কি ঠিক বলছি না, বলো ডায়েরি?

1000010907.gif

1000010906.gif

Sort:  

TEAM - 02


Congratulations!! Your post has been upvoted through steemcurator04. We encourage you to publish creative and high-quality content, giving you a chance to receive valuable upvotes.
Curated by: @anasuleidy

 yesterday 

@anasuleidy appreciated your support, my dear friend! 💘

Loading...
 yesterday 

শনিবারের বারবেলা শব্দটার প্রতি আমার চোখ আটকে গিয়েছিল এটা ভেবে যে ,এই শব্দতো কখনো শুনেছি বলে মনে হয় না ।এই মানে কি এটাও মাথায় এসেছিলো।
মূলত এই শব্দের প্রতি আগ্রহী হয়েই আপনার পোস্ট পড়তে শুরু করেছিলাম ।সামান্য পড়ার পরে এর যে মানে পেলাম সেটার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
নিজেকে ব্যাস্ত রাখতে পারলে অনেক তিক্ত স্মৃতি কিছু সময়ের জন্য হলেও ভুলে থাকা যে যায় এর সাথে আমি একমত।
আপানার রান্না করা খাবার দেখেই মনে হচ্ছে যে খুব সুস্বাদু হয়েছে , বিশেষ করে টমেটোর চাটনিটা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে।
বিশেষ দিনগুলোতে কাছের মানুষকে কিছু দিতে পারলে যেমন ভালো লাগে আমার নিজে কিছু পেলেও ভালো লাগে সেটা যতই ছোট হোক না কেন।
ভালো থাকবেন প্রতিটি মুহুর্ত এই প্রার্থনা করি সৃস্টিকর্তার কাছে ।