India is the highest mango produced country in the world! পৃথিবীর মধ্যে আম উৎপাদনে ভারত প্রথম স্থানে!

(এ বছরের প্রথম হিমসাগর আম কেনা, আর খাওয়া) |
---|
আমার পূর্বের অনেক লেখায় উল্লেখিত স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটিতে আমাদের সমস্ত ভাই বোনেরা, মানে আমরা দুই বোন সহ আমার সেজো মাসীর চার সন্তান সকলের একটাই গন্তব্যস্থল ছিল, আমার মেজো মাসীর বাড়ি।
যেহেতু আমরা শহরে থাকি, আর মেজো মাসীর বাড়ি গ্রামে, তাই এটা আমাদের কাছে স্বর্গীয় সুখ বয়ে আনতো!
এবার এর পিছনে রয়েছে, মেজো মাসীর তিন সন্তানের ছোটো ছেলে, বাকি দুজন অনেক বড় কাজেই আমাদের খেলার সাথীর দল বহির্ভূত ছিল বরাবর।
এতদূর লেখাটা যারা পড়ছেন, তারা ভাবতে পারেন শীর্ষক এর সাথে এই ঘটনার সাদৃশ্য কোথায়?
কথায় আছে সবুরে মেওয়া ফলে! তাই শেষ পর্যন্ত একটু কষ্ট করে পড়লে হয়তো আর উপরিউক্ত প্রশ্ন থাকবে না।
আমার মেজো মাসীর যেখানে বিয়ে হয়েছে, তার এক্ কিলোমিটার দূরত্বে থাকে আমার বড় মাসি, তাদের একেবারে কাছেই ছিল আমার দাদুর বাড়ি (মায়ের বাবা) সঙ্গে এই মেজো মাসীদের সুবিশাল আম বাগান।
আমের আধিক্য অধিক থাকলেও সেখানে অন্যান্য ফলের গাছ ছিল, যেমন, লিচু, কলা ইত্যাদি।
তবে আমাদের সিআইডি গ্যাং এর লক্ষ্যস্থল থাকতো এই আমগাছ।
তখন গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ঝামেলা ছিল না, আর ঘরে বসে ভিডিও গেম খেলার প্রচলন।
আমাদের প্রশান্তি ছিল এই আম বাগান। নির্দ্বিধায় গেছে চড়ে যেতাম, আর আম পারতাম, কেউ বলার নেই।
![]() |
---|
তাই আমের সাথে আমার তথা আমাদের পারিবারিক একটা আবেগ জড়িয়ে আছে।
এইদিন, মানে আগের সপ্তাহের বুধবার সম্পা আমার এখানে এসেছিল।
যাবার পথে নিজের কিছু জিনিষ কেনার ছিল বলে আমিও তৈরি হয়ে বেড়িয়েছিলাম।
যার কাছ থেকে আমি সবজি কিনি, পৌঁছে দেখি তার কাছে আম রাখা রয়েছে।
আমার ফলের প্রতি দুর্বলতা এখন আর গোপন বিষয় নয়, কাজেই দাম জিজ্ঞাসা করলাম হিম সাগর আমের যেটির বেশিরভাগ উৎপাদিত হয় আমার মাসির বাড়ির এলাকায়, আর ট্রাকে করে আসেও ওইদিক থেকেই।
প্রতি কেজি ভারতীয় মূল্য ৬০ টাকা চাইলো, সঙ্গে সঙ্গে ফোনে দাদাকে জিজ্ঞাসা করলাম এবং জানতে পারলাম এ বছর আমের ফলন বেশি তবে এখনো এ বছরের আম সেইভাবে বাজারে আসেনি, তাই দাম একটু বেশি, যেটা কমে যাবে।
আমার ফোনের কথা শুনে আমাকে এক্ প্রকার জোর করেই এক কেজি আম দিয়ে দিলেন আমার পরিচিত সবজি বিক্রেতা।
খুব দরাজ কন্ঠে মিষ্টির গ্যারান্টি দিয়েছিলেন, আর সত্যি আমগুলো খুবই ভালো দিয়েছিলেন।
এবার, আসবো ফলনের কথায়, পৃথিবীতে উৎপাদিত অন্যান্য অনেক দেশকে ছাপিয়ে আছে ভারতের আমের ফলন।
- এক কেজি হিমসাগর আমের সংখ্যা পাঁচটি:-



এটা একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয় বাণিজ্যিক দিক থেকে।
এর আগে আমার মনে নেই ঘটনাটি লেখায় প্রকাশ করেছিলাম কিনা, তবে আজকে যেহেতু একটি ফলকে কেন্দ্র করে আপনাদের মাঝে লেখা তুলে ধরছি তখন এই সত্য ঘটনাটি সকলের মাঝে তুলে ধরবার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করি।
উপরিউক্ত লেখায় হিমসাগর আমের কথা লিখেছি, তবে আমের প্রজাতির মধ্যে আমের রাজা নামে বিখ্যাত Alphonso আলফোন্সো কে কোনোভাবেই এড়িয়ে যাবার উপায় নেই।
পশ্চিম ভারতের মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং গোয়া হলো এই আম উৎপাদনের কেন্দ্রস্থল। এই প্রজাতির আমের বাজারদর পৃথিবীর উচ্চ দরের আমের তালিকাভুক্ত।
এবার যে সত্যি ঘটনাটি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো সেটা হলো আম্বানি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যুক্ত।
ধুরুভাই আম্বানি যিনি আম্বানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, জামনগরে তাদের একটি তৈল শোধনাগার রয়েছে, এখন তৈল শোধনাগার এর কারণে, তার থেকে নির্গত ধোঁয়া বের হয়ে আসে পাশের পরিবেশ দূষিত করছিল!
খুব স্বাভাবিক কারণে, পরিবেশ বিভাগ থেকে ওয়ার্নিং আসে মুকেশ আম্বানির কাছে!
সফল ব্যবসা বন্ধের তো উপায় নেই তবে দূষণ প্রতিরোধ করতে ২০০ প্রজাতির আম গাছ ওই কারখানার চারপাশে বসিয়ে দেওয়া হয়।
এই প্রজাতির মধ্যে হাফুজ অথবা যাকে Alphonso নামেও ডাকা হয় সেই আম গাছ বসিয়ে দেন।
ফলস্বরূপ, একদিকে যেমন পরিবেশে দূষণের ভারসাম্য রক্ষা করতে তিনি সক্ষম হন, অন্যদিকে সফল হয় তার এই নতুন আমের ব্যবসা।
এটি আমার কাছে একটি অনুপ্রেরণা মূলক বাস্তব কাহিনী, যেটি প্রমাণ করে উদ্দেশ্য যদি সৎ হয়, তাহলে প্রতিবন্ধকতাকে কিভাবে সফলতার রূপ দেওয়া যায়।
দেশবাসী হিসেবে তথা একজন ফল প্রেমী হিসেবে এটি আমার বেশ গর্বের জায়গা।


আসলে আম বছরের একটি সেরা ফল আমরা আমের করালি থেকে পাকা পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকি সেই আম কখন পাকবে এবং আমরা আম খাব ছোটবেলায় যখন একটু আকাশে মেঘ ধরা তো বা ঝড়ো বাতাস বৈত তখন আমরা সবাই মিলে আম গাছতলা গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম কখন একটা আম পড়বে আর আমরা সেই আমটি ছুটে গিয়ে ধরতাম আসলে বছরের সব ফলের সাথে আমাদের ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মিশে আছে আপনি পাকা আমের লেখাটি আমাদের সাথে শেয়ার করে আমাদের সেই ছোটবেলার স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দিলেন লেখাটির জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.