Incredible India monthly contest of September #2| Inner peace or outer Joy!

আজকে কমিউনিটিতে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হাজির হয়েছি।
https://steemit.com/incredible-india/@meraindia/incredible-india-monthly-contest-of-september-2-or-inner-peace-or-outer-joy
আর নিয়ম মাফিক আমি @piya3, @sampabiswas এবং @aviral123 দের আমন্ত্রণ জানাতে চাই।
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বোধকরি অনেক আগেই এই প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু উপলব্ধি করে ফেলেছিলেন আর ঠিক সেই কারণেই হয়তো নিম্নোক্ত কবিতাটি রচনা করেছিলেন।
“নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস, ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস। নদীর ওপার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে; কহে, যাহা কিছু সুখ সকলি ওপারে।
What is your preference, inner-peace or outer joy?Choose one with rationale! |
---|
মানুষের কাছে যেটা থাকে সেটা নিয়ে সে কখনোই সন্তুষ্ট থাকতে পারেন না, বরং পাশের বাড়ি, পরিচিত আত্মীয় কিংবা পরিচিত মানুষের জীবন অনেক বেশি সুখের এই ভাবনাতেই জীবনের অধিক সময় অতিক্রান্ত হয়ে যায়!
ব্যাক্তিগত পরিসরে দাড়িয়ে বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়ে অবশ্যই মানসিক শান্তি অনেক বেশি শ্রেয়, বাহ্যিক আনন্দের চাইতে।
দেখুন শারীরিক সুস্থতা জীবনের সবচাইতে বড় প্রাপ্তি।
যদি পেট ভর্তি খাবার, দেহ আবৃত করবার জন্য বস্ত্র এবং শান্তির নিদ্রা কোনো মানুষের জীবনে থাকে, তাহলে সে অনেক ধনীর চাইতেও ধনী!
একটি সুস্থ শরীর সহ সুস্থ্য মানসিকতাই মানসিক শান্তির ভিত্তিস্তর!
যেটির সাথে জ্ঞানের প্রকাশ সংযোগ স্থাপন করলে যেকোনো মানুষ সফলতার শীর্ষে পৌঁছতে সক্ষম বলে আমি মনে করি।
আমার লেখায় ইতিপূর্বে উল্লেখিত কিভাবে একটি দৃষ্টিহীন মেয়ে নিজের জ্ঞানের আলোর উপরে ভরসা করে একজন আই. এ. এস অফিসার হতে সক্ষম হতে পেরেছেন।
আজকে তার কাছে দৃষ্টিহীনতা বড় নয়, বরঞ্চ মানসিক শান্তি ও এক বেশি প্রাধান্য পেয়েছে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরে।

একটা গোটা জীবন অনেকেই কি পেলো না সেই আফসোস নিয়েই কাটিয়ে দেয়, অন্য দিকে সামান্য ক্ষমতাকে, শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে পাথেয় করে নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছে যে মানসিক শান্তি কিয়দংশ উপার্জন করেছে,
সেটা অনেক ক্ষমতাবান, যারা উত্তরসূরি থেকে সম্পত্তি নিয়ে বড়াই করে বেড়ায়, তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, বাহ্যিক সুখ ইচ্ছে থাকলেই উপার্জিত;
তবে, মানসিক শান্তি কেবলমাত্র নিজের যোগ্যতায় অর্জন করা সম্ভব।
কাজেই, আমিও সেই দলেই, যেখানে নিজের ক্ষমতায় কতখানি উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছি, যেখানে কারোর চোখের জলের কারণ হতে হয়নি, খেয়ে মুখ মুছে ফেলিনি;
সেটাই আমাকে প্রতিদিন শান্তির নিদ্রা প্রদান করে।
আর তাই, বাহ্যিক সুখ এর মধ্যে দিয়ে শৈশব থেকে বেড়ে উঠেও মাটিতে পা সর্বদাই ছিল।
তাহলে বিষয়টি পরিষ্কার নিজের সুবিধার্থে দল বদলে সৃষ্টিকর্তা তথা নিজের বিবেকের কাছে ছোটো হয়ে শান্তির নিদ্রা অর্জন সম্ভব নয়।
তাই উপরিউক্ত প্রশ্নের উত্তরে আমি মানসিক শান্তি বেছে নেবো।
উপরিউক্ত লেখায় আমি দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি একটি মহিলার সফলতার উদাহরণ হিসেবে।
জীবনে সফলতা সকলের কাম্য, তবে সেটি যেনো কোনোভাবেই অন্যের ক্ষতির কারণ না হয়, বিষয়টি সর্বাগ্রে লক্ষ্যণীয়.
দ্রব্যের মত সম্পর্ক, মানবিকতা, অনুভূতি বিষয়গুলোকে পদদলিত করে পাওয়া সফলতা ক্ষণস্থায়ী। কাজেই, বিষয়টি বর্জনীয়।
স্বপ্ন দেখা অপরাধ নয়, তবে সেটি যেনো মানসিক শান্তি বিঘ্নিত না করে।
যে সফলতায় নিঃস্বার্থ ভাবনা থাকে, সেটাই প্রকৃত সফলতা, এবং তার হাত ধরে পাওয়া বাহ্যিক সুখ বয়ে নিয়ে আসে মানসিক শান্তি।
একজন শিক্ষিত, উন্নত মানসিকতার মা কেবলমাত্র সঠিক শিক্ষায় সন্তানদের শিক্ষিত করতে সক্ষম
আগের মত করেই একটি ভিডিও উদাহরণস্বরূপ আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি, যেখানে দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া দুই জন্য সন্তানের মা স্বপ্ন দেখেছেন, জ্ঞানের প্রকাশ দিয়ে মেয়েদের জীবন আলোকিত করবে।
আজকে, তার সংঘর্ষ সফল এবং সেই মা অভ্যন্তরীণ আনন্দ অনুভব করছেন মেয়েদের সফলতার মধ্যে দিয়ে।
আজও সমাজে যারা মনে করেন মহিলা মাত্রই তাদের স্থান কেবলমাত্র রান্নাঘরে সীমাবদ্ধ এবং বাচ্চা জন্ম দিয়ে বড় করাই তাদের জীবনের লক্ষ্য, তাদের এই দরিদ্র মায়ের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।
আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে আছেন হয়তো অনেকের চাইতে, তবে
অভ্যন্তরীণ আনন্দে আজকে তার জীবন পরিপূর্ণ!
এবার নিজেদের জীবনের সাথে মিলিয়ে বাকি উত্তর নিজেরাই বের করে নেবেন, আর নিজেকে জিজ্ঞাসা করবেন, একজন মানুষ হিসেবে আপনার মধ্যে আত্মতৃপ্তি কাজ করছে কিনা?


Thankyou dear is contest m aamantarit krne k liye.
So true, if we knew the real meaning of happiness there would be too few conflicts in the world. But we have forgotten that the peace is within us but most of us overlook it. As you have quoted Gurudev, "Peace is like Mrigtrishna that we keep searching for, but never bend our necks and look within."