Incredible India monthly contest of August #2| Elements that are likely to dissipate over time.

in Incredible India2 days ago (edited)

IMG_20250826_201329.jpg

বেশ অনেকদিন পর বলা যেতেই পারে আমি কমিউনিটির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছি!
এখনও পর্যন্ত যারা প্রতিযোগিতা সম্পর্কে অবগত নন, তাদের জন্য
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবার মাধ্যম!

প্রশ্নগুলো নিজের সাজানো, তাই সেগুলোর উত্তর দিয়ে বাকিদের প্রচেষ্টায় জল ঢালবার কোনো রকম উদ্দেশ্য আমার নেই!

তবে, যখন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হাজির হয়েছি, তখন নিজের অভিমত প্রকাশ না করেই বা লেখায় ইতি টানি কি করে!

তাই মুল বিষয়বস্তুর উপর নিজের অভিমত পোষণ করছি যেটি একান্তই ব্যক্তিগত অভিমত।

আর ভনিতা না করে শুরু করা যাক, কি বলেন?
দেখুন, প্রথমেই যে সামাজিক বিবর্তন খুব তাড়াতাড়ি হবে এবং যেটি ইতিহাসের পাতায় কেবলমাত্র বিদ্যমান থাকবে বলে আমার মনে হয় সেটি হলো, "বিবাহ!"

1000064359.jpg

আমার মনে হয় আগামী ১০০ বছরের মধ্যে যদি পৃথিবী ধ্বংস হয়ে না যায়, তাহলে রাজ রাজাদের সম্পর্কে যেমন এই প্রজন্ম বইয়ের পাতায় পড়ে তাদের তথা দেশ সম্পর্কে জেনে বড় হয়েছে, তেমনি আগামী প্রজন্ম হয়তো এটা ভেবে অবাক হবে এক সময় সম্পর্কে বিবাহ বলে কিছু ছিল, আর একটি নারী এবং পুরুষ একটা গোটা জীবন একে অপরের সাথে কাটিয়ে দিতো!

1000064365.jpg

বই বলেও কিছু পাবলিশ হতো সেটা অনলাইন পড়বে হয়তো!

লক্ষ্য করলে দেখবেন এখানেও আমি অতীতকালের ব্যবহার করেছি তার কারণ, এখন বিবাহ এক্ জনের সাথে হলেও একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে আবদ্ধ উভয়ই অর্থাৎ নারী, পুরুষ নির্বিশেষে!

এছাড়াও মাতৃত্বের জন্য একটি নারীকে যে প্রসব যন্ত্রণা অথবা অনুভূতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, আগামীতে এগুলো সমস্ত অনলাইনের গল্প ছাড়া কিছুই থাকবে না।
সেটাও টেস্ট টিউব বেবির আপডেটেড ভার্সন হয়ে চলে আসবে!

এখনও অনেকেই নিজেদের গর্ভধারণ ক্ষমতা থাকলেও, বিভিন্ন উপায়ে সন্তান ধারণ করছেন!
উদাহরণ হিসেবে দুজনের নাম উল্লেখ করতে পারি, প্রথম করণ জোহর (ভারতীয় প্রযোজক, পরিচালক বাহুবলী, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, ইত্যাদি) আরেকজন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া!
এছাড়াও অনেকেই আছে, তবে বিষয় যখন এক্ তখন উদাহরণ এক্ বা একাধিক কিছু যায় আসে না!

এরপর আমার মনে হয় সবচাইতে মানুষ বইয়ের পাতার অনুভূতি অনুভব করতে ভুলে যাবে, সবটাই হয়তো অনলাইন হয়ে যাবে!

আপনাদের মধ্যে কতজন জানেন আমার জানা নেই, কারণ এখনো সেভাবে কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য সামনে আসে নি, তবে ইউনিভার্সে তৈরি নোয়েটিক যন্ত্র বলছে ১৫০০০ বছর আগে মঙ্গল গ্রহে পৃথিবীর মতোই জীবের উপস্থিতি ছিল, তবে আজকে সবটাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, যেমন পৃথিবী থেকে ডায়নোসর!

তেমনি হয়তো এই গ্রহেও প্রাণের অস্তিত্ব একদিন শেষ হয়ে যাবে, কি বলা যায়!

IMG_20250826_201307.jpg

মানব শক্তির পাশাপশি যান্ত্রিক শক্তি অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে, একটা উদাহরণ দিলেই হয়তো বুঝবেন, অনেকেই ভারতে অবস্থিত টাটা কোম্পানির নাম শুনে থাকবেন হয়তো, যেখানে কাজ করা যেকোনো সরকারি চাকরির চাইতে কোনো অংশে কম নয়, গুগল ঘেঁটে দেখতে পারেন!

টিসিএস একটি টেক কোম্পানি এবং বহু বছরের ইতিহাস সহ করণার সময় যেখানে অনেক কোম্পানি লোক ছাঁটাই করেছে, সেখানে এই কোম্পানিতে সেরকম কিছুই দেখা যায় নি!

কাজেই, বুঝতেই পারছেন এই কোম্পানির ক্ষমতা এবং সুবিধা কতখানি যেখানে কেউ কাজ পেলে কাজ ছাড়ে না, আমার মত দু একজন পাগল ছাড়া!

যাক, এখন বিষয় হলো, এত গুণমান সম্পন্ন কোম্পানি সদ্য ১২০০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে!
কি অবাক হলেন তো? যে কোম্পানি এতবড় প্যান্ডেমিক এর সময় লোক ছাঁটাই করেনি, তাহলে এই রকম সময় দাঁড়িয়ে এই সিদ্ধান্তের কারণ কি?

হ্যাঁ! এর উত্তর হলো আধুনিক প্রযুক্তির রমরমা, অর্থাৎ কারণ এক কথায় হলো এআই (AI)!

যেখানে, যন্ত্রের মাধ্যমে সকল কাজ কম সময়েই সম্পাদিত সম্ভব সেখানে মানুষের প্রয়োজন কোথায়?
মুষ্টিমেয় মানুষ থাকলেই কাজ শেষ, কাজেই ছাঁটাই!

ভেবে দেখুন আগামীতে কি ভয়ঙ্কর রূপ নিতে চলেছে গোটা পৃথিবী!
জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বৈ কম হবে না(কিছু অশিক্ষিত বরাবর থাকবে)!কাজেই, কর্ম সংস্থান বেঁচে থাকবে তাদের জন্য যারা যন্ত্র আবিষ্কার, পরিচালনায় দক্ষ হবেন! বাকি সবটাই ইতিহাস!

IMG_20250826_201421.jpg

এছাড়াও ব্যাক্তিগত ভাবে আমার কেনো যেনো মনে হয়, সহমর্মিতা, সহানুভূতি, ভলোবাসা, দয়া, দান, পরোপকারীতা ইত্যাদি অনেক কিছুই বিলুপ্ত হয়ে যাবে, বাস্তব জীবনের অনুভূতির ভাড়ার থেকে।

লাভ, লোভ, লালসা, আমি, আমার এর মতো কিছু আত্মকেন্দ্রিক বিষয়বস্তু জীবিত হয়তো থাকবে যেগুলো এই পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে!

সত্যি মিথ্যে জানিনা, তবে আগামী ২০ বছরের মধ্যেই পৃথিবীতে আমুল পরিবর্তন হবে বলে অনেকেই দাবি করছেন, সেটা দেশের সীমারেখা সহ, তথ্য বলছে বেকিছু দেশ বিলুপ্ত পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে!

এরপর যদি সনাতনী ধর্মের কথা সামান্য উল্লেখ করতে হয়, সেখানে বলা হচ্ছে, শ্রী কৃষ্ণের দশম অবতার কল্কি জন্ম নিয়ে নিয়েছে, কাজেই আগামীতে হয়তো নিজ নিজ কর্মই বয়ে আনবে পরিণতি, কারণ এটা তো অস্বীকারের উপায় নেই যে, আমাদের কর্ম দিয়েই সমাজের পরিকাঠামো তৈরি হয়!

আসলে, সব সৃষ্টির আড়ালেই ছিল গঠনমূলক উদ্দেশ্য তবে কিছু স্বার্থান্বেষী সবটাই আত্মস্বার্থে সেগুলোকে বিকৃত করে কাজে লাগিয়েছে;
তাই পরিণতি কি হবে সেটা সময় বোধহয় সবচাইতে ভালো বলতে পারবে!

1000010907.gif

1000010906.gif

Sort:  
Loading...

1000008241.png
curated by @cymolan.