অসম্পূর্ণতার মাঝে সম্পূর্ণতা!,(Completeness in the midst of imperfection!)
![]() |
---|
বেশ কয়েকদিন ধরে কিছু অফিসিয়াল কাজ করে ওঠার সময় পাচ্ছিলাম না, এই প্ল্যাটফর্মে নানান কাজে ব্যস্ততার মাঝে মোটেই সময় পাচ্ছিলাম না, ব্যাক্তিগত কাজগুলো সমাধা করবার!
আমার আবার ওই প্রবাদের মতন উঠলো বাই, কটক যাই প্রবাদের মত স্বভাব।
বিগত দু'দিন যাবত বৃষ্টি রোদ্দুরের খেলা চলছে, এই যেমন আজকে সকালের কথা, আকাশ কালো করে এক পশলা বৃষ্টি শেষ হতেই রোদ্দুরের দেখা মেলাতে ভাবলাম, আজকেই কাজগুলো মিটিয়ে নেবো।
সেইমত সমস্ত অফিসিয়াল কাগজপত্র খুঁজে খুঁজে এক্ জায়গায় করে, কিছু ঘরের কাজ সেরে, স্নান সেরে তৈরি হচ্ছি, দেখি আবার মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু!
এত ভারী জ্বালাতন! মনে মনে ভাবছি আর তৈরি হচ্ছি, এরপর যখন বেরোবো দেখি বৃষ্টি থেমে গেছে, খানিক হেঁটে একটা টোটো পেলাম, গন্তব্যস্থলের উল্লেখ করতে যেতে সম্মত হলো।
![]() |
---|
উঠে পড়লাম তড়িঘড়ি, এমনিতেই ঘড়ির কাঁটা তখন দুপুর তিনটে ছুঁই ছুঁই!
পৌঁছে দেখি অফিসার গেটে তালা!
যাঃ! কি করবো? মনে পড়লো ওই অফিসের একজনের নম্বর আমার কাছে রয়েছে, তাকে ফোন করে জানলাম আজ গুড ফ্রাইডে তাই অফিস বন্ধ!
নিজেকে এত বোকা মনে হচ্ছিল, কারণ লাইন ধরে যে সকল কাজ নিয়ে বেড়িয়েছিলাম, কোনোটাই হবার নয়, কারণ একই!
এরপর ভাবলাম, বেড়িয়েছি যখন এমনি এমনি ঘরে না ফিরে দিদির সাথে দেখা করে আসি।
একটা সারপ্রাইজ দেওয়া হবে! আবার উল্টো পথে হেঁটে পৌঁছলাম বাস স্ট্যান্ডে!
বেশিক্ষণ দাঁড়াতে হয়নি, বাস পেয়ে গেলাম, উঠে পড়লাম।
দিদির বাড়ির লাগোয়া কালী মন্দির খুব জাগ্রত, আর আমার স্কুলের এক বান্ধবীর বাড়ি ওই চত্বরে ছিল, কাজেই আমার এলাকা বলা যেতে পারে।
বাস থেকে নেমে রাস্তা পার করে মন্দিরে যেতেই মায়ের প্রসাদ পেয়ে গেলাম!
এরপর দিদির বাড়ির দরজায় পৌঁছে, এক্ ঘণ্টা বেল বাজিয়েই গেলাম, কিন্তু না ফোন করে তাকে পেলাম, আর না দরজা খুললো।
![]() |
---|
অগত্যা ফেরার পথ ধরলাম, আর ভাবলাম, আজকের এই সময়টাকে কি অসম্পূর্ণতার মাঝে সম্পূর্ণতা হিসেবে দেখব?
কোনো কাজ হলো না, দিদির সাথে দেখা হলো না, এগুলো যেমন অসম্পূর্ণতা, ঠিক তেমনি মায়ের দর্শন পেলাম, প্রসাদ পেলাম এগুলো সম্পূর্ণতা আয়তাভুক্ত।
জীবন হয়তো এমনটাই, যা কিছু চাই সবটা মনের মত করে হয় না, আবার দেখা যায় সৃষ্টিকর্তা আমাদের চাওয়ার চাইতেও অনেক বড় কিছু লিখে রেখেছেন আমাদের জন্য।
তাই আফসোস নিয়ে নয় প্রশান্তি নিয়ে ঘরে ফিরলাম, কারণ আমি ছাতা সঙ্গে নিয়ে যাই নি, তবে মায়ের দর্শন কপালে লেখা ছিল তাই একফোঁটা বৃষ্টিও গায়ে লাগেনি।
![]() |
---|
প্রতিদিনের না পাওয়ার মাঝে পাওয়া গুলোকে খোজার প্রয়াস করলে অভিযোগের মাত্রা খানিক কম হয়!
কিছু বিষয় আমাদের মর্জি মাফিক হলে আমরা নিজেদের রাজা ভাবতে শুরু করি, কিন্তু যেদিন মনের মত কাজ হবে না, জানবেন সেদিন বেশি খুশি থাকার প্রয়োজন।
কারণ সৃষ্টিকর্তা আপনার ইচ্ছে পূর্তি করলে তার দায় থাকে আপনার।
তবে যদি বিপরীত বিষয় হয়, জানবেন আপনার জন্য আপনার চাহিদার থেকেও ভালো কিছু অপেক্ষারত, কারণ সেখানে আপনার নয়, সৃষ্টিকর্তার মর্জি সামিল।
তাই যেটা হয়নি, তাই নিয়ে বিশেষ আফসোস আজকাল আমি করিনা, যেটা হচ্ছে সেটার সাথে যুক্ত থেকে খুশি থাকার প্রয়াস করি, কারণ আমার বিশ্বাস তিনি যেটা করবেন সেটা মঙ্গল এর জন্যই।
জানিনা হয়তো মায়ের আশীর্বাদে কোনোদিন আমার জীবনের বন্ধ দরজা খুলবে!
জানা নেই, তবে নিজের জায়গা থেকে কর্ম করে চলেছি, মনে কোনোরকম অসাধু কিংবা আত্ম স্বার্থের ইচ্ছে না রেখেই, সেটা আশাকরি উনি পড়তে পারেন। তাই সবটাই তাকে নিবেদিত।


@tipu curate
Hi @sduttaskitchen sorry to knock you. I hope you will be well and good. I invite you to become sponsor in the #SPUD4STEEM event:
https://steemit.com/spud4steem/@mohammadfaisal/launching-spud4steem-event