বাঙালির দুর্গাপুজো শুধু উৎসব নয় আবেগ!

কেমন একটা খাসা শীর্ষক নির্বাচন করেছি বলুন!
হাহা! নাহ্! মজা করে উপরিউক্ত লাইনটি লিখলেও কথাটা কিন্তু একশো ভাগ সঠিক।
যুগের সাথে প্রতিমার সেই গতানুগতিক ধারায় পরিবর্তন আসলেও এই যে শরৎ কাল পড়ে যাওয়া, কাশ ফুল এরপর মহালয়া, কেনাকাটা আর সাথে মা আসছে এই যে অপেক্ষা এটার একটা আলাদা অনুভুতি তথা আবেগ গোটা ভারতীয়দের কাছে।
শুধু ভারতীয় বললে ভুল বলা হবে, বিদেশে বসবাস করছেন এমন বাঙালিরাও কিন্তু তারিয়ে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেন বছরের এই শ্রেষ্ঠ উৎসব।
আর একান্তই একজন বাঙালি তথা হিন্দু ধর্মাবলম্বী হিসেবে কেউ যদি আমার আবেগের অথবা অনুভূতির কথা জানতে চায়, সেক্ষেত্রে আমার কাছে এই অপেক্ষার প্রহর বেশি আনন্দকর।
কারণ, পুজো আসলেই দেখতে দেখতে দিনগুলো ফিরিয়ে যায়, আবার সেই এক বছরের অপেক্ষা!
কারোর ভালো লাগে? আমার তো একদম ভালো লাগে না।
তার চাইতে এই যে দোকানে দোকানে কেনাকাটার জন্য মানুষের ঢল, চতুর্দিকে প্যান্ডেল তৈরির তোড়জোড়, মা এর মূর্তির কাজে দিন রাত জেগে তাকে মহালয়ায় চক্ষু প্রদান করা, সেই বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের স্বরে মহালয়া পাঠ, সাথে-"বাজলো তোমার আলোর বেণু, মাতলো রে ভুবন"।

উফ্! লিখতে লিখতে গায়ে কাটা দিচ্ছে, সেই জ্ঞান হবার পর থেকে সেই একই মহালয়ার গান, পাঠ নতুন করে আরো
একবার শৈশব ফিরে পাবার দিন! কি যে মজা! কত যে স্মৃতি! লক্ষ শৈশব এর বন্ধুদের সাথে অতিবাহিত মজার ঘটনা!
সত্যি বলতে দুর্গোৎসব আমার কাছে একটা এমন প্রাপ্তি যেখানে শিক্ষা আছে, পৌরাণিক কাহিনীর হাত ধরে।
সময়ের সাথে অনেক কিছু বদলে গেছে, এই যেমন আজকাল কথায় কথায় ফটোশুট, সেলফি এসব যোগ হয়েছে বটে, তবে সেই সাবেকি প্রচলনের মধ্যে রয়ে গেছে পাতপেরে খাবার ধুম সেই আগের মতই।
আজকে লেখাটি লেখার মূল উদ্দেশ্য, এই গত বুধবার আমার দাদা বেশকিছু ফটো শুটের ছবি পাঠিয়েছিল।
সামনে পুজো আর অষ্টমী এবং দশমীতে শাড়ি পড়বার প্রচলন এখনও অক্ষত রয়েছে।
যেহেতু দাদার শাড়ির ব্যবসা কাজেই, ওই যে পূর্বেই উল্লেখ করলাম, এখন কথায় কথায় ফটোশ্যুট, সেলফি, হ্যাঁ! এটাই তার কারণ।

আগে এত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এর ধুম ছিল না, কাজেই এই সমস্ত প্রচারের প্রয়োজন পড়তো না ব্যবসায়ীদের।
কলকাতায় কিছু নামকরা শাড়ির দোকান আছে, যেগুলো সময়ের হাত ধরে কলকাতার ঐতিহ্যে সামিল হয়ে গেছে, তারাও এখন চাপে পড়ে অর্থাৎ এই অনলাইন ব্যবসা শুরু হয়ে যাওয়ার ফলে, প্রচারে নেমে পড়েছে।
এখন বিভিন্ন ডিজাইনার শাড়ি বেরিয়েছে, সঙ্গে নানা কারুকার্যের ব্লাউজ!
বেশ লাগে দেখতে, তবে কোয়ালিটির দিক থেকে মেশিনের চাইতে হাতে তৈরি যেকোনো কাপড়ের আলাদা মহত্ত্ব
আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে অধিক।
এই পুজোর সময় ঢাকে যখন কাঠি পড়ে, জানিনা এমনি এমনি মন ভরে আসে, কেমন একটা চাপা অভিমান, গলা বন্ধ হয়ে আসা অনেক না বলতে পারা কথা, সমস্ত কিছু যেনো মা দুর্গার উদ্দেশ্যেই জমা করে রাখা ছিল গোটা বছর!
আসলে, মায়ের কাছেই তো যত অভিমান, তাই না?
আজকে, বাইরে আকাশের মুখ ভার, বেশ খানিকক্ষণ মুষলধারায় বৃষ্টির পরে, এখন সেটা বন্ধ হয়ে গেলেও আকাশ পরিষ্কার হয়নি!
আচ্ছা, প্রকৃতি ও কি মায়ের জন্য নালিশ জমা করে রাখে?
নিশ্চই রাখে! মানুষ যেভাবে সমাজকে কলুষিত করছে, তারমধ্যে প্রকৃতিও তো পরে তাই না?
যাক, আজকে আমার দাদার ওহাটসঅ্যাপ এ পাঠানো কিছু ছবি এই লেখার সাথে ভাগ করে নিচ্ছি, এটাই বোঝাতে সময়ের সাথে অনেক কিছু বদলে যাচ্ছে বটে;
তবে, এই শ্রেষ্ঠ উৎসব নিয়ে বাঙালির আবেগ আজও অব্যাহত।
আপনাদের কাছে এই উৎসব কতখানি গুরুত্ব রাখে মন্তব্যের মাধ্যমে জানতে ভুলবেন না।
আপনার মনের অবস্থা কেমন থাকে এই সময়? হুম?


Pakaian yang sangat indah sekali, saya suka melihat, tapi saya tidak tahu cara pakainya 🤭, tapi sungguh ini benar indah