The June contest #2 by sduttaskitchen| Most inventions exploited for destruction- My views!
র্প্রতি সপ্তাহের মতোই এ সপ্তাহেও এমন একটি চমৎকার বিষয় নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য @sduttaskitchenম্যামকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের কমিউনিটির বাকি সদস্যরাও চমৎকার এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমাদেরকে তাদের মতামতের সাথে পরিচিত করবেন।
প্রতিযোগীতার নিয়ম অনুযায়ী আমি আমার বন্ধু @baizid123 , @jahidul21 ও @karobiamin71 কে এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
Do you believe inventions can bring destruction? Justify! |
---|
উপরের প্রশ্নটা খুবই চমৎকার একটা প্রশ্ন। আবিষ্কার বা উদ্ভাবন যাই -ই বলি না কেন এটা কখনও কখনও ধ্বংসও বয়ে আনতে পারে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে আমার মতামত হলো ,আবিষ্কার কখনোই নিজে থেকে এখন পর্যন্ত ধ্বংস বয়ে আনতে সক্ষম না। এটা নির্ভর করে মানুষ এই আবিষ্কারকে কিভাবে ব্যবহার করবে।
উদাহরন হিসেবে আমি বলতে পারি যে , জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো পারমাণবিক অস্ত্রের আক্রমণে। আর এই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরী হয়েছিল ,আইনস্টাইনের বিখ্যাত স্পেশাল থিওরি অফ রিলেটিভিটি তত্ত্ব অনুসরণ করে। এই তত্ত্ব পারমাণবিক অস্ত্রের উদ্ভাবনের জন্য আইনস্টাইন নিশ্চই আবিষ্কার করেন নাই।আর সেটার প্রমান তিনি জাপানের এই ভয়াবহ ক্ষতি দেখার পরে তাদের কাছে বিনীত ভাবে ক্ষমা চেয়েছিলেন।
অথচ এই তত্ত্ব অনুসরণ করে অনেক কিছুই আবিষ্কার করা সম্ভব ছিল এবং আবিষ্কার হয়েছেও। যেমন ,ব্ল্যাক হোল, টাইম ডাইলেশন, লেজার প্রযুক্তি ,এমনকি আমরা বর্তমানে যে জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করি সেটাও এই সূত্র মেনেই উদ্ভাবিত।
কিংবা এলন মাস্কের নিউরো লিংকের কথা যদি বলি যেটা মানুষের মস্তিকের সাথে কম্পিউটারের সংযোগ স্থাপনের জন্য কাজ করতেছে। এতা বর্তমানে প্যারালাইজড রোগীদের জন্য তৈরী করা হচ্ছে। এটা চিকিৎসার জগৎ এ যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে ও মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হবে।কিন্তু ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তিকে কেউ যদি আরো উন্নত করে মানুষের মস্তিকের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নেয় ,তাহলে তার পরিনাম হবে ভয়াবহ। যার কারণে এই আবিষ্কার নিয়ে অনেকেই আতংক বোধ করে থাকেন।
তেমনিভাবে ইন্টারনেট ,প্লাস্টিক ,ড্রোন কিংবা AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইত্যাদি মানুষের জীবন অনেক সহজ করছে কিন্তু এর অপব্যাবহার পুরো পৃথিবীকেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে পারে। এলন মাস্ক , কিংবা হকিংসের মতো বিজ্ঞানী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ভবিষ্যতবাণী করেছেন যে , এখন না হলেও ভবিষ্যতে হয়তো এটা মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে এবং মানুষের সবচাইতে বড়ো শত্রু হয়ে উঠতে পারে। তাদের এই কথা এখন পর্যন্ত ভবিষ্যৎবাণী।
আমরা আবিষ্কারকে মানুষের মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করবো নাকি অসচেতনতা , লোভ ও মানুষের ধ্বংসের কাজে ব্যবহার করবো সেটা এখনো পর্য্যন্ত আমাদের হাতেই রয়ে গেছে। তাই উদ্ভাবন অবশ্যই বিধ্বংস ডেকে আনতে পারে কিন্তু এটা নির্ভর করে আমরা কিভাবে সেই আবিষ্কারকে ব্যবহার করবো।
What are the main reasons behind any conflict? Share your viewpoint. |
---|
আমার কাছে মনে হয় ,যেকোন সংঘাতের পেছনের মূল কারণই হলো ক্ষমতার লোভ ও আধিপত্য বিস্তার। আর এই ক্ষমতার লোভ মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক , সামাজিক কিংবা ব্যক্তিগত হতে পারে। তবে এছাড়াও আরো অনেক কারণেই সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে।
অনেক সময় যখন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা রাষ্ট্রের মধ্যে মতভেদ, স্বার্থের দ্বন্দ্ব বা ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয় ,তখনও সংঘাত জন্ম নিতে পারে। আবার যখন কোন একটি গোষ্ঠী অসম্মান, অসহিষ্ণুতা বঞ্চিত ও অন্যায়ের শিকার হয়ে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয় তখন তারা প্রতিবাদ করে । সেখান থেকেও সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়াও জাতিগত দাঙ্গা, শ্রমিকদের আন্দোলন,ধর্ম, জাতি, সংস্কৃতি বা ভাষাগত পার্থক্য,অশিক্ষা ও সচেতনতার অভাব থেকেও সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও বর্তমান সমাজে বিভিন্ন মিডিয়ার প্রপাগাণ্ডার কথা ভুলে গেলে চলবে না। এর দাড়াও সমাজে সংঘাতে সৃষ্টি হচ্ছে।
What are the main points that one should remember while handling power? |
---|
যেকোন বিষয়ে ক্ষমতা গ্রহণ মানে সেই বিষয়ের দায়িত্ব গ্রহণ। আর এটা মোটেও সহজ কাজ নয়। এই দায়িত্ব যদি কেউ যথাযথভাবে মতো পালন না করতে পারে তাহলে সমাজে অন্যায়, দুর্নীতি এবং অবিচার সৃষ্টি হতে পার। সমাজে যারা নেতৃত্ব দেন, তাদের প্রধান কাজই হচ্ছে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং জনকল্যান করা।
যিনি ক্ষমতায় থাকবেন তার সবসময় নম্রতার সাথে ন্যায়ের পথে থেকে ক্ষমতা ব্যবহার করা উচিত । ক্ষমতাবান ব্যক্তিকে সবসময় সবার কথা জনগণের পালস বুঝতে হবে যে তারা আসলে কি চায় কিংবা কি করলে বেশিরভাগ মানুষের মঙ্গল হবে। তিনি যদি এটা না বুঝে যদি একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে
ক্ষমতার অপব্যাবহার না করে তাকে ও তার পাশের মানুষজন দুর্নীতিমুক্ত আছে কিনা সেটা খেয়াল রাখতে হবে । তাকে তার কাজের জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।ক্ষমতাবান ব্যাক্তির র উচিত মানবিকতা, সততা ও সহানুভূতির সাথে তার ক্ষমতা ব্যবহার করা
"Handle with care" - How can we educate society with this term? |
---|
"Handle with care"- এই বাক্যটিকে আমরা খুব সহজ ভাষায় বলতে পারি সাবধানে ব্যবহার করুন। এটি সাধারণত আমাদের ব্যবহার্য ভঙ্গুর বস্তুর ক্ষেত্রেই ব্যাবহৃত হলেও মানুষ, প্রকৃতি, আবেগ কিংবা সম্পর্ক সবকিছুতেই সমানভাবে প্রযোজ্য। সমাজকে এই ধারণা দিয়ে অনেক মূল্যবান শিক্ষা দেওয়া সম্ভব এবং সমাজে সচেতনতা গড়ে তোলার এটা একটি শক্তিশালী প্রতীক হয়ে উঠতে পারে।।
আমার মতে প্রতিটা বাবা -মায়ের খুব ছোট থেকেই তাদের সন্তানকে কিভাবে ,অন্যকে সন্মান দিতে হয় , কেউ কষ্টে থাকলে তাকে ব্যঙ্গ নয়, বরং সহানুভূতি দেখানো ,কেউ ভুল করলে তাকে দোষারোপ না করে বোঝানোর চেষ্টা করা , গাছ লাগানোর গুরুর্ত্ব ,ইন্টারনেটের অপব্যাবহার না করা , ইন্টারনেট ফুটপ্রিন্ট এর ভয়াবহতা বোঝানো , পারিবারিক ও সামাজিক আচরণে সচেতনতা বৃদ্ধি,কেউ ব্যর্থ হলে উৎসাহ দেয়া ,ভালোবাসা দিয়ে জয় করা,পানি, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হওয়া ইত্যাদি শিক্ষা দেয়া উচিত।
এছাড়াও ,স্কুল ,বিভিন্ন এলাকায় সরকারি প্রচারণা ,অনলাইন ক্যাম্পেইন ,ও সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদির মাধ্যমে সমাজকে শিক্ষিত করা যায় বলে আমি মনে করি।।