The April contest #2 by the sduttaskitchen|Child marriages!
সবার প্রতি নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো। বাল্য বিবাহকে আমাদের আমাদের সমাজের জন্য একটা অভিশাপ বলা যেতে পারে। আমাদের দেশের আইনে ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে দেয়া বা করা আইনত অপরাধ হলেও প্রতিনিয়তই এধরণের ঘটনা ঘটে চলেছে।
এই সমস্যা শুধুমাত্র আমাদের দেশেই না বরং আমাদের দেশের মতো উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোতে এই প্রবণতা মারাত্মক রকমের বেশি।
এই রকম গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আমাকে আমার মতামত জানানোর সুযোগ করে দেয়ার জন্য @sduttaskitchen দিদিকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Do you support early-age marriages? Share your opinion! |
---|
আমার বড়ো ছেলের জন্মের আগে আমাকে ৫ দিন হসপিটালে থাকতে হয়েছিল। সেসময় আমাকে ডাক্তাররা কেবিনে না রেখে ওয়ার্ডে থাকার পরামর্শ দেন যাতে আমি সবসময় ডাক্তার ও নার্সদের নজরে থাকতে পারি। এই ৫ দিনকে আমার জীবনের সবচাইতে স্মরণীয় সময় বলবো এজন্য যে এই সময়টাতে আমার সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে খুব কাছ থেকে দেখা ও তাদের জীবনধারার সাথে পরিচিত হবার সুযোগ হয়েছিল।
সত্যি বলতে বাল্য বিবাহের কুফল কি এর আগে আমার জানা ছিল না বা কাছ থেকে কখনো দেখিও নাই।বাল্য বিবাহ সম্পকে শুধু জানতাম আমার নানীর ৫ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল আর সে কান্না করলে তার শাশুড়ি তাকে কোলে নিয়ে ঘুরতো।
কিন্তু এর ভয়াবহতা দেখলাম হসপিটালের ওয়ার্ডে এসে। আমার পাশেই একটা ১৩/১৪ বছরের মেয়েকে দেখিছি জ্ঞানহীন ভাবে পরে থাকতে। বেচারি এক্লামশিয়াতে আক্রান্ত হয়েছিল। ওর বাচ্চা কখন হয়েছে জানেও না।
শশুর বাড়ির কেউ কোনো খবর নেয় নাই। মেয়েটার মাকে দেখতাম একবার মেয়ের কাছে যেয়ে মাথা হাতাতো আবার পরক্ষনেই বাচ্চাটাকে হতো মায়ের কাছে নিয়ে যেত দুধ খাওয়ানোর জন্য কিংবা তাকে পরিষ্কার করতে হতো ।
তার একমিনিটের জন্য কোনো বিশ্রাম ছিল না।যে বয়সে মেয়েটার বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা ,পড়াশোনা করার কথা সেই বয়সে হসপিটালের বিছানায় জ্ঞানহীনভাবে পরে থাকতে দেখেছি।
তখন থেকেই বাল্য বিবাহের ঘোরতর বিরোধী হয়ে উঠেছি আমি।
এখন আবার একই জিনিস কাছ থেকে দেখতেছি। আমার বুয়ার মেয়ে প্রায় মাসখানেক ধরে অসুস্থ। কখনো রক্ত দিতে হচ্ছে আবার কখনো স্যালাইন দিচ্ছে। ওর-ও একই রকম এক্লামশিয়য়াতে ভুগেছে বাচ্চা হওয়ার সময়।
এখন ওর ছেলের বয়স সাত কিন্তু বাল্যবিবাহের খেসারত এখনো ওর পিছু ছাড়ে নাই। এসব দেখার পরে আমার বলা যায় একধরণের ঘৃণা চলে আসছে এই ধরণের বিয়ের প্রতি।
Before thinking of marriage, which points should parents keep in their mind? And how we can reduce child trafficking! |
---|
আমাদের সমাজে বিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। বিশেষ করে গ্রামের ও দরিদ্র পরিবারগুলোতে সন্তান জন্ম নেয়ার পর থেকেই মনে হয় বিয়ে দেয়ার কথা চিন্তা করতে থাকে। তারা হয়তো নিজেদের উপর থেকে চাপ কিছুটা চাপ কমানোর জন্যই এমন করে থাকে।
আমার মতে বিয়ে দেয়ার আগে অভিভাবকদের অবশ্যই নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত।
বিয়ের আগে সন্তান মানসিকভাবে বিয়ে করার জন্য প্রস্তুত কিনা এটা খেয়াল রাখতে হবে।
সন্তানের শিক্ষা , স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করা ও বিয়ের আগে মেয়েদের শিক্ষিত, দক্ষ ও আত্মনির্ভরশীল করে তোলা অনেক জরুরি। বিয়ের পরে তারা যেন তাদের পরিবার এর প্রতি দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে পালন করতে পারে।
দুজনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া কেমন ও একে অপরের মতামত, আবেগ ও ব্যক্তিত্বকে সম্মান করতে কতটা সক্ষম। বিয়েতে দুজনেরই পূর্ণ সম্মতি রয়েছে কিনা এগুলোও খেয়াল রাখা উচিত।
রক্তের গ্রুপ, থ্যালাসেমিয়া টেস্ট ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদি রোগ সম্পর্কে জানা। এই জিনিসটা আমরা সবসময় এড়িয়ে যাই কিন্তু এটা জানা থাকলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যা থেকে বাঁচা যাবে।
এছাড়া বর এর বয়স অবশ্যই যেন ২১ ও কনের বয়স যেন ১৮ হয় এবং বিয়ের রেজিস্ট্রেশন এবং অন্যান্য কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা অভিভাবকদের এটাও খেল রাখতে হবে।
এছাড়া দুই পরিবারের মাঝে সম্পর্কের বিষয়টাও খেয়াল রাখা উচিত। অনেক সময় এখন থেকেও নানা ধরণের সমস্যা দেখা যায়।
বিয়েটা যেন ভালোবাসা, সম্মান ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে হয় ।এর একটারও অভাব থাকলে বিবাহিত জীবন খুব একটা সুখের হয় না। সন্তানের সাথে অবশ্যই বিয়ে নিয়ে খোলামেলা কথা বলা উচিত বলে আমি মনে করি।
শিশু পাচার একটি ভয়ংকর অপরাধ হলেও হরহামেশাই আমাদের সমাজে এটা দেখা যায়। এই পাচার রোধ করার জন্য আমাদেরকে সবার আগে সচেতন হতে হবে।
সবার আগে বাচ্চাকে শিখতে হবে অপরিচিত কেউ কিছু না দিলে যেন সেটা সে না খায় কিংবা তাদের সাথে কোথাও না যায়।
পাচার রোধ করার জন্য শিশুদের জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা ও সকল তথ্য ডিজিটাল রেকর্ডে রাখা উচিত ,যাতে তাদের সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়।
বিভিন্ন এনজিও ,স্কুল ,সেমিনার ইত্যাদির মাধ্যমে অভিভাবক ও বাচ্চাদের এই বিষয়ে সচেতন করতে হবে।
দরিদ্র পরিবারগুলোর আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে হবে। এই ধরণের পরিবারের বাচ্চারাই সবচাইতে বেশি পাচার হয়। অনেক সময় কাজের কথা বলে এধরণের পরিবারের বাচ্চাদের পাচার করা হয় আবার কখনো এরা নিজেরাই দারিদ্রতার কারণে সন্তানকে বিক্রি করে দেন।
আমাদের সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে হবে।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উন্নতি করতে হবে ও তাদের হট লাইনগুলো সম্পর্কে সবাইকে আরো বেশি জানাতে হবে।
Do you believe proper education can play a significant role in avoiding such unlawful acts? What are they? |
---|
আমার মতে সঠিক শিক্ষাই বাল্যবিবাহ, শিশু পাচার, ও অন্যান্য বেআইনি-অসামাজিক কাজ প্রতিরোধে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম । শুধু বইয়ের শিক্ষা না বরং এই শিক্ষা হওয়া উচিত জীবনমুখী শিক্ষা নৈতিকতা, এবং সচেতনত সবকিছু মিলিয়ে ।
একমাত্র সঠিক শিক্ষাই পারে অভিভাবক ও শিশুদেরকে এসব বিষয়ে পরিপূর্ণ সচেতন করতে। এর মাধ্যমে তারা ভালো কাজের সুযোগ পায়। অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি হলে দারিদ্রতার কারণে বিয়ে বা পাচার ঠেকানো সহজ হয়। তাদের মাঝে অনেকেই জানেন না বাল্যবিবাহ ও শিশু পাচার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। শিক্ষার মাধ্যমে এই জ্ঞানের প্রসার ঘটে ।
আত্মনির্ভরতার অভাবে মেয়েরা বিভিন্ন ধরণের অত্যাচার সহ্য করে। শিক্ষিত মেয়েরা নিজেকে আত্মনির্ভর করতে পারে। নিজের ভবিষ্যত নিয়ে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।যখন মানুষ পরিপূর্ণভাবে শিক্ষিত হয় তখন তারা বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবাদ করতে শিখে সেই সাথে অন্যদেরকেও শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলে।
প্রতিযোগীতার নিয়ম অনুযায়ী আমি আমার বন্ধু @baizid123 @jahidul21 ও @karobiamin71 কে এই প্রতিযোগিয়তায় অংশ গ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 4/8) Get profit votes with @tipU :)
NGOs, school, seminars.
These are ways of raising awareness. This way, it will be understood that girls too need to be self-reliant before marriage. Beauty can never be enough.
The 13-year-old girl's experience and your uncle's daughter's experience are just so sad. I pray for healing for all teenage mothers around the world.