Better Life With Steem | The Diary game ,May , 9, 2025।
ইদানীং সকালবেলা ঘুম ভেঙেই সবার আগে ক্যারামেলের কথা মনে হয়।এটার কারন বোধহয় রাতে আমার কাছে ঘুমায় বলে।কিছুদিন আগে যখন সিম্বা জীবিত ছিলো তখন ও সোফায় ঘুমাতো কিন্তু ক্যারামেল মানুষ না দেখতে পেলে অনবরত মিয়াও মিয়াও করে বাড়ি মাথায় নেয়।
আমার ধারণা ও কারো বাড়িতে ছিলো যার কারণে এত মানুষ প্রীতি ।মানুষ হলেই হলো ,পরিচিত অপরিচিত নেই সবার সাথেই ভাব জমাতে চেষ্টা করে ।
আজকে ছুটির দিন হওয়ার কারণে সকালে উঠার তেমন কোন তাড়া ছিলো না।তাই উঠেছি কিছুটা লেট করে ।হাবি উঠার পরে তাকে ঠেলেঠুলে বাজারের দিকে পাঠালাম কারন ক্যারামেলের মাছ লাগবে ।অনলাইনে কেনা যায় কিন্তু ডেলিভারি চার্জ দিয়ে দাম বেশি পরে যায়।
যদি ও বাজার থেকে ফেরার পরে মনে হলো যে , কোন দুঃখে এই ব্যাটাকে আমি বাজারে কেন পাঠিয়েছিলাম।একগাদা মাছ -মাংস , সবজি আর যেটা সবচাইতে বিরক্তিকর সেটা হলো সাথে ৮ কেজি আম নিয়ে এসেছে ।আগের আরো ৪ কেজি ফ্রিজে রয়েছে ।সাথে অবশ্য সবার জন্য নাস্তাও নিয়ে এসেছে ।
অথচ যা কেনার জন্য তাকে বাজারে পাঠিয়েছিলাম সেটাই আনে নাই ।পরে আমাকে অবশ্য বলছে যে , আজকে বিরালের মাছ পায় নাই ,আগেই বিক্রি হয়ে গেছে ।
আজকে বুয়া আসবে না তাই এত জিনিস দেখে বিরক্ত লাগলো খুব।কিন্তু কিছু করার নেই ।সবকিছু গুছিয়ে ফ্রিজে রেখে দিলাম ও দুপুরের রান্নাটাও শেষ করে ফেললাম।
এর মাঝে হাসবেন্ড আমগুলে কেটে দিলো। কাটাগুলোকে রোদে রেখে দিলাম।ভাবলাম যে , রাতে বানাবো ।
আজকে এত গরম পরেছে যে কোন কিছুই করতে ইচ্ছে করতে ভালো লাগছিলো না।এত গরমের মাঝে রাতে আচার বানানোর কথা মনে পরলেই কেমন জানি লাগছে।
এরমাঝে ভাই এর সাথে ফোনে কথা হওয়ার সময় ও জানালো যে আগামীকাল ও কাজের জন্য চিটাগাং যাবে।এটা শোনার
পরে আমাদের মাঝে প্ল্যান হলো যে আমরাও আগামীকাল চিটাগাং যাবো । যদিও গরমের কারনে পিছিয়ে যাওয়ার কথাও হচ্ছে ।
ছোট ছেলের চশমা বানানোর প্রয়োজন ছিলো ।তাই ওকে নিয়ে বিকেলে বাসা থেকে চশমা বানাতে বের হলাম। চশমার ফ্রেমটা আমার কাছে যদিও বড় মনে হলো কিছুটা কিন্তু এটাই ওর পছন্দ ।ওর চশমা বানাতে দিয়ে বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেল।
এর মাঝে ওর একটা ছবি তুলতে গিয়ে দেখলাম যে ফোন সাথে করে নিতে ভুলে গেছি ।তাই ওর বাবাকে বললাম ওর একটা ছবি তুলে আমাকে যেন হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেয় ।
ওর বাবার পাঠানো ছবিটাই শেয়ার করলাম সবার সাথে ।
বাসায় আসার কিছুক্ষন পরে কলিং বেল এর শব্দ শুনে দরজা খুলে দেধি বড় ভাইয়ের ড্রাইভার এসেছে আর তার হাতে একটা ব্যাগ।
ড্রাইভার বললো যে , ভাই বগুড়া গিয়েছিল সেখান থেকে দই নিয়ে এসেছে।বগুড়ার দই অনেক নামকরা যদিও আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না।।
এরপর ডায়েরি গেম লিখতে বসলাম ।কারন আবার একটু পরে আচার বানাতে হবে।