Better Life With Steem | The Diary game ,May , 30, 2025।
রাতে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে তাই সকালে ঘুম ভাঙার পরে যতটা বৃষ্টি দেখবো বলে ভেবেছিলাম তার কিছুই দেখতে পেলাম না। বরং আকাশ বেশ পরিষ্কার বলেই মনে হলো। আমার ছেলে বললো যে ,আজকে রোদ উঠবে বলে মনে হচ্ছে। আকাশের এই অবস্থা দেখে খানিকটা মন খারাপ হলো।
কারণ আজকে আমার একটি জায়গা মাপার কথা ছিল। বৃষ্টির কারণে ক্যান্সেল করে দেয়া হয়েছে কিন্তু আজকে আকাশ পরিষ্কার। অনেক দিন থেকেই এই জায়গাটা মাপার কথা হচ্ছিলো কিন্তু একটা না একটা কারণে সেটা আর হচ্ছে না।
ছুটির দিন হওয়ার জন্য আমাদের সবারই ঘুম থেকে উঠতে অনেক বেশি দেরি হয়েছে। রান্না ঘরে ঢুকে দেখলাম গ্যাসের প্রেশার একদমই কম। এই গ্যাসে রান্না করা খুবই কঠিন। তাই আমাদের সকালের নাস্তা বাইরে থেকেই কিনে আনা হলো। অবশ্য এমনিতেও ছুটির দিনে বেশিরভাগ সময়ই নাস্তা বাইরে থেকেই আনা হয়ে থাকে।
নাস্তা না বানালেও দুপুরের খাবার ঠিকই বানাতে হলো।তবে খুব বেশি কিছু করতে পারি নাই। ফ্রিজে আগের দিনের খাবারও ছিল। ভাবলাম রাতে কিছু করে দিবো। সবাইকে বললাম এখন এগুলো দিয়েই খেয়ে নিতে।
এরই মাঝে ভাই এর ড্রাইভার আমার ভাতিজিকে বাসায় দিয়ে গেলো। বললো যে বিড়াল দেখার জন্য কান্নাকাটি করতেছিলো। ও বিড়ালকে খুব আদর করে ঠিকই কিন্তু খেলতে গেলে অনেক সময় ওকে আঘাতও করে। তাই ছেলেদের বললাম ওর হাতের নাগাল থেকে শক্ত জিনিস যেন সরিয়ে ফেলে।
ও যতক্ষণ বাসায় থাকে ততক্ষন রীতিমতো আতঙ্কে থাকি আমি কারণ ক্যারামেল কখন ওকে আঁচড় কাটে কিংবা কামড় দেয়। দুটোই একদম অবুঝ। দুজনই দুজনকে ব্যাথা দিতে পারে।
তাই দুইজনকেই চোখে চোখে রাখতে হয়। তবে ওকে পাঠালে আমি একদিক থেকে খুশিই হই কারণ বিশেষজ্ঞরা শিশুদেরকে পোষ্যদের সাথে দিনের কিছুটা সময় কাটাতে বলে থাকেন। এতে করে ওদের মন চেঞ্জ হয়ে থাকে এছাড়াও ওদের মাঝে মানবিকতার উদ্রেকও হয়।
দুপুরে খাওয়ার পরে আমার হাসবেন্ড বলতেছে যে কোথাও যাবো কিনা। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। জিজ্ঞেস করলাম ,কোথায় যাবো এখন ? উত্তরে সে জানালো যে গাড়িতে তেল ভরতে যাবে এখন। তেল নেয়া শেষ হলে সংসদ ভবন এলাকায় ঘুরে আসবে।
আমি রাজি হয়ে গেলাম যদিও আরেকটু আগে বের হলে ভালো হতো।
তেল নেয়া শেষ করে আমরা সংসদ ভবন এলাকায় ঢুকে পড়লাম। সাথে ক্যারামেলকেও নিয়ে গিয়েছিলাম। ও বাসা থেকে খুবই কম বের হয়েছে। গাড়ি জিনিসটা ওর কাছে বলা যায় একদমই নতুন। কারণ অনেকদিন আগে একবার উঠেছিল ,সেটা ও ভুলেও গেছে হয়তো।
গাড়ির ভেতরে সারাক্ষন ঘুরাঘুরি করতে থাকলো ও। এছাড়া মিয়াও মিয়াও করে কান্নাকাটি তো আছেই। ছেলের একটা কাজ ছিল তাই আমরা খুব একটা লেট করি নাই।
রাতে কিছুই রান্না করি নাই কারণ দুই ছেলেই বাইরে খেয়েছে। ওরা আসার সময় ষ্টার কাবাব থেকে খাবার নিয়ে এসেছিলো। সেটা দিয়েই আমরা রাতের খাবার খেয়েছি। আর এভাবেই দিনটা শেষ করেছি।
Congratulations... I have recommended this post to get support from Steemchiller and Realrobinhood.
Thank you so much for your encouraging support ,ma'am.