Better Life With Steem | The Diary game ,May , 26, 2025।
সকালে ঘুম ভেঙেই মনটা ভালো লাগায় ভরে গেলো। কারণ গত একটা সপ্তাহ জুড়ে বলা যায় ঝড় গেছে আমার উপরে । মামি শাশুড়ি এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। তার ছেলেমেয়ে ও নাতি নাতনির আসা -যাওয়া লেগেই ছিল।সাথে অন্যান্য আত্মীয় -স্বজনদেরও আনাগোনা লেগেই ছিল।
এটা আসলে আমার শশুর বাড়ির দিকের খুব সাধারণ চিত্র।এরা মানুষ নিয়ে একসাথে চলতে খুব পছন্দ করে। এখনতো তবু আর আগের মতো নেই। সবাই-ই ব্যাস্ত হয়ে গেছে , আবার অনেকেই বিদেশে চলে গেছে। আগে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত আমার দেবরেরা থাকতো।
যায় -হোক ঘুম থেকে উঠে মন ভালো লাগার মূল কারণ ছিল যে আজেক আমার কোনো ব্যাস্ততা নেই। নিজের মতো করে দিনটা কাটাবো। রান্নাও করবো না তেমন কিছু।
কিন্তু রুম থেকে বের হয়েই আমার চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেলো। দেখি আমার হাসবেন্ড আমি নিয়ে বসেছে কাটার জন্য। প্রতি বছর আমের মৌসুম আসলে এই লোক রীতিমতো পাগল হয়ে যায়। গাঁদা গাঁদা আমি নিয়ে আসে আচার বানানোর জন্য। এই বছর তিনবার বানানো হয়ে গেছে তারপরও গতকাল আবারো নিয়ে এসেছে। আমি ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিলাম পরে বানাবো ভেবে। সেগুলোই বের করে এনে কাটা শুরু করেছে।।
আমাকে তাকিয়ে থাকতে দেখে সান্তনা দিয়ে বললো যে ,তোমার নাস্তা বানাতে হবে না। এরই মাঝে বড়ো ছেলে বের হয়ে গেলো নাস্তা না করেই। আজকে ওর ক্লাস আছে আটটা থেকে।আমার দুই ছেলেই সকালে ক্লাস থাকলে সেদিন আর কিছুই খায় না ।
দুপুরের রান্না শেষ করার পরে দেখি আকাশ কালো করে মেঘ আসলো কিন্তু বৃষ্টির দেখা পেলাম না। এই সময়টাতে বারান্দায় গেলে খুব ভালো লাগে। মেঘলা আকাশের সাথে প্রচন্ড বাতাস আর তার সাথে দোল খেতে থাকে আমার গাছগুলো। সারাদিন মোটামোটি ভালো গেলেও দুপুরের পর থেকেই শুরু হলো সমস্যা। প্রচন্ড রকমের পেতে ব্যাথা ও সাথে বমি বমি লাগা শুরু হলো।
একেতো শারীরিক খারাপ লাগা তার মাঝে আচার বানানোর কথা চিন্তা করে আরো খারাপ লাগা শুরু হলো। দুপুরে বানাতে গিয়েছিলাম কিন্তু তখন গ্যাসের প্রেশার একদমই কম ছিল তাই তখন আর আচার বানাতে পারি নাই।
আমি মাঝে মাঝে জয়েন্ট ফ্যামিলিকে মিস করি। আমার বিয়ের পরে আট মাস সবার সাথে ছিলাম। তখন দেখেছি ছোটোখাটো কিছু সমস্যা থাকলেও অসুবিধার চাইতে সুবিধার পরিমাণই বেশি। কিছুটা ছাড় দিতে হয় সবাইকেই।
তবে এটা শুধু যে জয়েন্ট ফ্যামিলির মাঝেই এমন না ,প্রতিটা সম্পর্কের ক্ষেত্রেই কিছুটা ছাড় দেয়ার মনোভাব থাকতে হয়। এটা না থাকলে কোনো সম্পর্কই টেকসই হয় না বলে আমার মনে হয়।
যেহেতু আমার কাজ করে দেয়ার মতো আর কেউ নাই তাই প্রচন্ড রকমের পেতে ব্যাথা নিয়েই রান্নাঘরে ঢুকে পরলাম আচার বানানোর জন্য। ফ্রিজেও জায়গা ছিল না ,নাহলে আজকে আর এই ঝামেলায় ঢুকতামই না। আচার বানানো শেষ করে ছেলেদেরকে বললাম যে আজেক আর আমাকে দিয়ে কিছু হবে না। এরপরে যা কিছু করার সেগুলি তোমরাই করবে। বলে আমি বেডরুমে ঢুকে পরলাম। এরপরে কখন ঘুমিয়ে পরেছি জানি না।