Better Life With Steem | The Diary game ,May , 14, 2025।
Edited by Canva |
---|
বেশিরভাগ দিনের মতোই আজকেও ঘুম ভেঙেছে র পায়ের মাঝে ক্যারামেল এর কামড় খেয়ে। ওর কামড় খাওয়ার পরে যতই রাগ লাগুক না কেন ,ওর নিষ্পাপ চেহারার দিকে তাকালে আর কোনো রাগই থাকে না। ফ্রেশ হয়ে ওকে খাবার দিতে রুম থেকে বের হয়ে দেখি মারাত্মক রকমের গরম পরেছে আজকে। তখনই সিদ্ধান্ত নিলাম যে ,আজকে সকাল বেলাতেই একবারে রান্না শেষ করে ফেলবো
রুটি ছিল ফ্রিজে সেটাকে সেকে সবাইকে নাস্তা দিলাম। যে আশা নিয়ে সকালেই রান্না করতে গিয়েছিলাম সেটা অবশ্য খুব একটা পূরণ হলো না। কারণ এরই মাঝে গ্যাস একদমই কমে গেলো। তারপরও অন্য দিনের তুলনায় আগেই রান্না করে ফেললাম।
দুপুরে খাওয়ার পরে ঘুমানোর অভ্ভাস নাই আমার। শুধু আমার না আমার বাসায় একমাত্র আমার হাসবেন্ড ছাড়া আর কারো মাঝেই নাই এই অভ্ভাসটা। কিন্তু তার কাজের কারণে তার পক্ষেও এই কাজ করা সম্ভব হয় না। এটা আমার বাবার বাড়িতেও দেখি নাই কারো মাঝে।
তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে একটা হরর মুভি দেখবো। আমার হরর সিনেমা দেখতে ভালোই লাগে তবে সেটা রাতের বেলা না বরং দিনের বেলা।
সিনেমার মাঝামাঝি সময়ে ভাবি কল দিলো। রিসিভ করার পরে বললো যে আজকে রাত ২টার সময়ে তাদের ফ্লাইট । শুনে কিছুটা চমকে গেলাম কারণ আমি জানি দুইদিন পরে ফ্লাইট। ভাই-ভাবি হজ্জে যাবে। ভাবি আরো জানালো যে ,তারা আগেই বের হয়ে যাবে হাজি ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে কারণ এখন এয়ারপোর্টে ঝামেলা কম করার জন্য হাজীদের পেপারওয়ার্ক এখান থেকেই কমপ্লিট করে ফেলে।
ভাবীকে জানালাম যে আমি আসতেছি। কিছুক্ষনের মাঝেই ভাইয়ের বাসায় গিয়ে উপস্থিত হলাম। এমনিতেই আজকে যেতে চাচ্ছিলাম ওই বাসায় কারণ ভাইয়ের শশুর -শাশুড়িও এসেছে কদিন আগে লন্ডন থেকে। দেখা করতে যাওয়ার সময় পাই নাই।
বাসায় ঢুকে দেখি আমার আরেক ভাই ও ভাবিও সেখানে উপস্থিত। বাসা থেকে বের হতে হতে ওদের সাড়ে সাতটার মতো বেজে গেলো। আমরা সবাই একসাথেই নিচে নেমে আসলাম। ওরা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যাবার পরে আমরাও সবাই যার যার বাসার দিকে রওনা দিলাম।
এর মাঝে ভাই বললো ওকে যেন আমরা পাইনউড রেস্টুরেন্টের সামনে নামিয়ে দেই। ভাইকে নিয়ে রেস্টুরেন্টের দিকে যাওয়ার সময় ভাবি কল দিয়ে জানালো যে আমার ভাতিজা কোচিংয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনো বাসায় ফিরে নাই।
আমরা ওর কোচিং সেন্টারের কাছাকাছি দিয়েই যাচ্ছিলাম। তাই ও কোথায় আছে জানার জন্য ওর কোচিংসেন্টারে গেলাম। কিছুক্ষন ভাই ভেতরে গেলো আর আমরা গাড়িতেই বসে রইলাম। কিছুক্ষন পরে ভাই ওকে নিয়ে বের হয়ে আসলো। এর পরে ভাইকে রেস্টুরেন্টের সামনে নামিয়ে দিয়ে আমরা বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
ভাইয়ের ছেলেকে বাসায় নামিয়ে আমি গাড়ি থেকে নেমে গেলাম। এমন সময় ছেলে বললো উঠো। খানিকটা অবাক হয়ে বললাম কেন। ও উত্তরে বললো ,বাবাকে আনতে।ওর বাবা প্রতিদিনই মেট্রো থেকে নেমে বাসে চলে আসে । কয়েক মিনিট লাগে বাসায় আসতে।
কিন্তু আজকে কোনো কারণে বাস পায় নাই, সেইসাথে শুনেছে আমরা বাসার বাইরেই আছি তাই আমাদেরকে বলেছে তাকে নিয়ে আসার জন্য।
কিন্তু যথারীতি বিজয়সরণীর সিগনালে আটকে পরলাম। এই সিগন্যাল ঢাকা শহরের বিখ্যাত সিগনাল। এটা নিয়ে অনেক ট্রল ও মিমরয়েছে। আমি নিজে কয়েক বছরের মাঝে সিগনালে না পরে পার হতে পেরেছি মাত্র একবার।
হাজবেন্ডকে নিয়ে আসার পরে ছেলে বলতেছে যে চাইনিজ খেতে ইচ্ছে করতেছে মামাকে রেস্টুরেন্টে নামিয়ে দেয়ার পর থেকেই । খানিকটা বিরক্ত হলাম কারণ এই কথা বাইরে থাকা অবস্থায় বললেই পারতো।
এরপরে ওকে বললাম খাবার নিয়ে আসতে আমার বাড়ির পাশের 'চিলিস' থেকে। ও খাবার আনার পরে খাবার শেষ করলাম। এভাবেই দিনটা শেষ করলাম।