Better Life With Steem | The Diary game ,May , 11, 2025।
ক্যারামেলের অত্যাচারে বিরক্ত হয়ে যাই মাঝে মাঝে। প্রায় দিনই ঘুম ভাঙে ওর কামড় খেয়ে। আবার মাঝে মাঝে ঘুম ভাঙে চুল খাওয়ার কারনে।
শুধু চুল কামড়ালেও চলতো কিন্তু সেটা না করে ভালো করে দুই'পা ও নখ বের করে ধরে তারপর চুল কামড়ায়।পায়ের নখও বের করে সাথে।আজকেও এভাবেই ঘুম ভেঙেছে।
ফ্রেশ হয়ে ওকে খেতে দিয়ে একবারে দুপুরের রান্না ও সকালের নাস্তা বানানোর কাজে লেগে পরলাম।
এটা করার পেছনে দুটো কারন ছিল। একটা হলো সকালে কিছুটা ঠান্ডা থাকে সবকিছু এবং আরেকটা কারন হলো প্রায় দিনই নয়টা বাজার পর থেকেই গ্যাসের প্রেশার একদম কমে যায়।
আমার বাসা একেতো নয়তলার ওপরে তার উপরে টপ ফ্লোর দুইয়ে মিলে মারাত্বক রকমের গরম ।যার কারণে ঠান্ডায় রান্না করার আশায় সকালবেলাতে রান্না করতে গেলেও এতই গরম যে বেশিক্ষন দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছিলো না।
তাই একটু পর পরই বের হয়ে আবার একটু ঠান্ডা হয়ে রান্নাঘরে ঢুকছিলাম। আরেক ঝামেলা হলো ক্যারামেলের অত্যাচার।ওর জন্য রান্না ঘরের দরজা -জানালা খোলা যায় না।
একদৌড়ে বাইরে বের হয়ে বারান্দার কার্নিশ দিয়ে পাশের বাসায় চলে যায়। তাই ওকে ছেলেদের রুমে আটকে রেখে রান্না করতে হয়। কিন্তু এক জায়গায় আটকে রাখলে এগ্রেসিভ হয়ে উঠে ।
গরম ও ক্যারামেল এই দুই শত্রুর সাথে যুদ্ধ করতে করতে রান্না শেষ করলাম।
রান্না শেষ করে টুকটাক ঘরের কাজ শেষ করলাম।এরই মাঝে বুয়া এসেও কাজ করে দিয়ে গেল।মিস্ত্রি আসার কথা ছিলো কিন্তু তাদের কোন খবর নেই দেখে কল দিলাম। তারা আজকে আসবে না বলে জানালো। এদের যন্ত্রণা আরো অসহ্য লাগছে ।পুরো বাসা এলোমেলো হয়ে আছে।
ওইদিকে বড় ছেলে সকাল বেলাতেই বের হয়ে গিয়েছিলো। আজকে ওর ইনভিজিলেশন ছিলো। ও বাসার পাশেই ওর স্কুলের টিচারের কোচিং সেন্টারে পার্ট টাইম জব করে ফ্রি থাকলে।
ওর ডিউটি ছিলো ১২ টা পর্যন্ত। কিন্তু ১টার বেশি বেজে গেলেও বাসায় না আসার কারনে কিছুটা চিন্তিত হয়ে পরছিলাম।
কল দিবো ভাবতেছিলাম কিন্তু এরই মাঝে কলিং বেল এর শব্দ পেয়ে দরজা খুলে দেখি আমার ভাইয়ের ছেলে-মেয়েদেরকে সাথে করে নিয়ে এসেছে, সাথে ওর হাতে কেকের ব্যাগ।
কি উপলক্ষে আজকে কেক জিজ্ঞেস করায় জবাব না দিয়ে খুলে দেখালো। কাজ শেষে টাকা পেয়ে মা দিবস উপলক্ষে কেক নিয়ে এসেছে সাথে ওদেরকেও নিয়ে এসেছে।
ভাইয়ের মেয়েরই আগ্রহ বেশি কেক নিয়ে। সব বাচ্চারা মিলে খুব আনন্দ নিয়ে কেক খেয়ে নিলো।
ভাত খেতে দিলাম কিন্তু ওরা কেউই খেল না।ওরা আরো কিছু সময় থেকে বাসায় চলে গেল।
বিকেলের দিকে এক আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে দ্রুত হসপিটালে পৌঁছালাম কারন এই হসপিটাল আমার বাড়ির কাছাকাছিই। সেখান থেকে বাসায় ফিরে ভাবলাম আজকে লেখা হয় নাই, তাই লেখা শুরু করি।
কয়েক লাইন লেখার পরই এক কাজিন তার ছেলে -মেয়েকে নিয়ে আসলো।সাথে আমার বড় ভাইএর দুই ছেলেও ছিলো।
ওরা যেতে যেতে প্রায় সাড়ে এগারোটার বেশি বাজিয়ে ফেললো।এরপর সবকিছু গুছিয়ে আবারও লেখা শেষ করতে বসলাম। আর এভাবেই দিনটা কাটালাম আজকে