Better Life With Steem | The Diary game ,May , 10, 2025।
সকালে ঘুম ভেঙেই মনে হলো আজকে কোথায় যাওয়া যায়। গতকাল চিটাগং যাওয়ার কথা থাকলেও ছোট ছেলে যেতে রাজি না হওয়ায় আমরা প্ল্যান ক্যানসেল করি।
নতুন করে প্ল্যান হয় যে আমরা কাছাকাছি কোথাও বেড়াতে যাবো এবং বিকেলে চলে আসবো। তাই সকাল বেলা উঠেই মনটা বেশ ফুরফুরে লাগতেছিল। ভেবেছিলাম যে ,নাস্তা করেই বের হয়ে যাবো।
সকালে বের না হওয়ার পেছনে একটা কারণ অবশ্য ছিল আর সেটা হলো ক্যারামেলের জন্য মাছ কিনতে হবে। গতকাল আমাদের এদিকের বাজারে ওর জন্য মাছ কিনতে গিয়ে পায় নাই , আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিলো। তাই আমার হাসবেন্ড কারওয়ান বাজারে যায় সকাল বেলা ছেলেকে নিয়ে।
এই বাজারে গেলে আমি কিছুটা ভয়ে থাকি এটা ভেবে যে আমার হাবি কি না কি নিয়ে আসে বাজার থেকে। এটা ঢাকার সবচাইতে বড়ো পাইকারি বাজার।
লেট হওয়ার আরেকটা কারণ ছিল বাসায় এসি সারানোর মিস্ত্রি আসতে বলেছি সারভিসিংকরার জন্য। ছেলেদের রুমের এসি ঠান্ডা হচ্ছে না কদিন ধরেই। হয়তো গ্যাস কমে গেছে। সাথে আমাদেরটাও ক্লিন করিয়ে ফেলবো।
ওরা বাসা থেকে হয়েছিল সাড়ে সাতটার দিকে আর ফায়ার প্রায় সাড়ে নয়টায়। ক্যারামেলের জন্য টুনা ,সুরমা ও তেলাপিয়া মাছ এনেছে। কিন্তু আমি যে ভয় করতে ছিলাম সেটাও করেছে।
১ কেজি কাঁচামরিচ ও হাফ কেজি বোম্বাই মরিচ এনেছে। মরিচ দেখে আমার মাথাখারাপ হয়ে যাওয়ার অবস্থা বিশেষ করে বোম্বাই মরিচ দেখে। আমি কয়েকদিন আগে এই মরিচ আনতে বলেছিলাম যে আচারে কয়েকটা দিবো। কিন্তু এর জন্য এত্তো মরিচ আনবে এটা কল্পনাতেও ভাবি নাই।
সকালের জন্য নাস্তাও নিয়ে এসেছিলো। নাস্তা শেষ করার আগেই এসির মিস্ত্রি চলে আসলো। ভাবলাম এদের কাজ শেষ হলেই বের হবো। কিন্তু ভাগ্যে না থাকলে যা হয়। বাড়িওয়ালা ওয়াশরুমে নতুন কমোড লাগানোর মিস্ত্রি পাঠিয়ে দিয়েছেন। দেখেই বুজতে পারলাম যে আজকে আর বের হওয়া হবে না।
তারা বাথরুমের টাইলস ভাঙার কাজ শুরু করে দিলো। প্রচন্ড রকম শব্দে আমরা সবাই বলা যায় অসুস্থ হয়ে পরার মতো অবস্থা। কিন্তু সবচাইতে ঝামেলায় পড়লাম ক্যারামেলকে নিয়ে।
ও সামান্য শব্দ পেলে প্রচন্ড রকম ভয় পায় আর সেখানে এই বিকট শব্দে ওর অবস্থা খারাপ। সেই সাথে প্রচন্ড রকমের এগ্রেসিভ হয়ে উঠলো। আমাদের সবাইকে কামড়িয়ে ও আঁচড় দেয়া শুরু করে দিলো । সেই সাথে খাওয়া তো বন্ধই। সারাটাদিনই কেউ ন কেউ ওর সাথে রইলো।
বুয়া কাজ করার জন্য আসলে তাকে সব বাসায় কাজ শেষ করে আসতে বলে দিলাম। কারণ এখন রুম পরিষ্কার করেও লাভ নেই। দুপুরে কোনোরকমে রান্না করলাম।
বুয়া কাজ করার জন্য আসলে তাকে সব বাসায় কাজ শেষ করে আসতে বলে দিলাম। কারণ এখন রুম পরিষ্কার করেও লাভ নেই। দুপুরে কোনোরকমে রান্না করলাম।
বিকেল ৫টার দিকে এসে বুয়া কাজ করে দিয়ে গেলো। দুপুরে তেমন কিছুই রান্নাই করি নাই। কিন্তু রাতে এতো গরমের মাঝে আর রান্না ঘরে ঢুকতে ইচ্ছে করতেছে না তাই ছেলেকে বললাম স্টার কাবাব থেকে কিছু নিয়ে আসতে।
তবে ভারী কিছু আনতে নিষেধ করে শুধু নান ও সবজি আনতে বলে দিলাম। এটা দিয়েই রাতের খাবার শেষ করলাম।