Better Life With Steem | The Diary game ,june , 28, 2025।হঠাৎ হবিগঞ্জ এর উদ্দেশ্যে যাত্রা ।
ক্যারামেল মারা যাওয়ার পর থেকে বাসার সবারই মন কিছুটা খারাপ, বিশেষ করে আমার। ও আমার কাছে এসেছিল একদম ছোট অবস্থায় এবং সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমার কাছেই থাকতো।
কিন্তু সারা বাড়ি জুড়েই ওর স্মৃতি ছড়িয়ে আছে।সিম্বার মৃত্যুর জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম আমি, কারণ ও খুবই অসুস্থ ছিল। কিন্তু ক্যারামেল একদমই সুস্থ ছিল, এমনভাবে হঠাৎ করে মারা যাবে এটা কি চিন্তাও করতে পারিনি। তারপরও চেষ্টা করতেছি স্বাভাবিক থাকার।
এ কারণে হাসবেন্ড ও ছেলেদেরকে বলেছিলাম যে, চলো ঢাকার বাইরে দুটো দিন থেকে আসি।সত্যি বলতে এবার ঈদের ছুটি পেয়েছিলাম ১০ দিন। কিন্তু ঢাকার বাইরে থাকা হয়নি ক্যারামেল কে একা বাসায় রেখে যেতে হবে বলে।
কিন্তু এবার বাইরে থাকার কথা বললেও বড় ছেলের পরীক্ষার জন্য খুব একটা জোর দিয়ে বলতে পারিনি।
ভেবেছিলাম কোথাও যাওয়া হবে না। আজকে সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পরে ছেলে বলতেছে চলো যাই কোথাও থেকে ঘুরে আসি। খুব দ্রুত রেডি হয়ে আমরা বাসা থেকে বের হতে হতেও সাড়ে সাতটার মত বেজে গেল। হাসবেন্ড বললে হবিগঞ্জের কথা। কিন্তু সেটা বেশ দূরে এবং রাস্তাও খুব একটা ভালো না, কাজ চলতেছে।
তারপরও আমরা হবিগঞ্জের দিকে গেলাম। কিন্তু ওই রাস্তায় ঢোকে মনে হল যে কেন এই রাস্তায় এসেছি।একেতো ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া তার উপর এই দিকে প্রচুর সবজি এবং ফলের বাগান এবং সেইসব ফল এবং সবজি সব ঢাকাতে আসে ট্রাক ভর্তি করে করে। যার কারনে কিছুক্ষণ পর পর বিশেষ করে বাজারে এলাকাগুলোতে প্রচুর জ্যাম।
রাস্তায় ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখলাম কাঁঠাল এবং লটকন। মাধবদীর বেলাবোতে আমরা এক জায়গায় গাড়ি থামিয়ে চা খেলাম।
আরো কিছুতে সামনে এগিয়ে নিউ রুপালি রেস্টুরেন্টে নাস্তা করে নিলাম। রেস্টুরেন্টটা বেশ বড় কিন্তু একদমই নতুন। যার কারণে এখনো ঠিক মতো গুছিয়ে উঠতে পারে নাই, এখনো কাজ চলতেছে। শোনলাম ওদের আরও একটা রেস্টুরেন্ট আছে ।
এরপর হবিগঞ্জের দিকে আবার যাত্রা শুরু করলাম। মাঝে একবার অবশ্য কথা হয়েছিল যে আমরা শ্রীমঙ্গল যাব এবং সেখানে একদিন থেকে শনিবার দিন চলে আসবো।
আসলে কোভিতের আগে আমরা প্রতিবছরই শ্রীমঙ্গল যেতাম দু-একদিনের জন্য। কোভিডের পরে আমাদের আর যাওয়া হয় নাই। কিন্তু প্ল্যান করা হলো শেষ পর্যন্ত ক্যান্সেল হয়ে যায় এবং আমরা হবিগঞ্জের দিকে চলে যাই।
এই রাস্তায় আমি আগেও সিলেট ও শ্রীমঙ্গল অনেকবারই গিয়েছি কিন্তু হবিগঞ্জের এইদিকে আমার আগে কখনো যাওয়া হয়নি। শুধু আমারই না আমাদের মাঝে কেউই যাই নাই।
শুনেছি জায়গাটা খুবই সুন্দর। এখানে বড় বড় ছয়টা চা বাগান আছে।শুধু তাই না শুনেছি সুরমা চা বাগান বাংলাদেশের মধ্যে নাকি সবচেয়ে বড় চা বাগান।এছাড়াও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান রয়েছে।
বর্ণনা শুনে আমার কাছে অবশ্য শ্রীমঙ্গলের মতই মনে হলো।
যার কারনে বেশ আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে চললাম আমরা হবিগঞ্জের দিকে।
Have you messaged our official discord server to create an account on Blurt?
yes
Ok