Better Life With Steem | The Diary game ,june , 19 , 2025।
রাতে একদমই ভালো ঘুম হয় নাই। গত রাত বারোটার দিকে হঠাৎ করেই ক্যারামেল দেখি বমি করতেছে। বেচারা গতকাল তেমন কিছুই খাই নাই। কি কারণে বমি করতেছে কিছুই বুঝতে পারলাম না। আসলে বিড়ালের বমি করা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া দেখে হাস্যকর লাগলেও যাদের কোনো পোষ্য আছে সেটাকে তারা সন্তানের মতো করেই যত্ন নেয়।
আবার রাত তিনটার দিকে দেখি বমি করতেছে। সেগুলো ক্লিন করে ঘুমিয়েছি চারটার পরে। সকালে ঘুম ভেঙেছে ওর কামড় খেয়ে। উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা বানাতে গিয়ে দেখি একদমই গ্যাস নেই।
নেই বললে অবশ্য ভুল হবে কারণ সারা বছর এই সময় এমনি থাকে।ঈদের দুই একদিন আগে থেকে গ্যাসের প্রেশার অনেক বেড়ে গিয়েছিলো। ঢাকা থেকে লোকজন গ্রামে ঈদের ছুটি কাটাতে যাওয়ার জন্য এই প্রেশার বেড়ে গিয়েছিলো। কটা দিন শান্তিতে কাটিয়ে অভ্ভাসটাই যেন নষ্ট হয়ে গেছে অনেকটা।
কিছু সবজি কেনার ছিল তাই নিচে গিয়ে সবজিওলার কাছ থেকে সবজি নিয়ে আসলাম। আমাদের এখনই সব কিছুর দাম অতিরিক্ত বেশি।অথচ ধানমন্ডি থেকে বের হলেই জিনিসপত্রের দাম কমে যায়। এমনকি মেইন রোড পার হয়ে ঐপারে গেলেই জিনিসের দাম কমে যায়। এমনভাবে সব কিছুর দাম চায় মনে হয় আমাদের টাকার গাছ আছে।
এই এলাকার অনেক মানুষেরই অনেক টাকা ,এতে ভুল না। এদের কারণে আমাদের মতো মধ্যবিত্তরা চাপে পরি। আমরা যেন এদের কাছে জিম্মি। তাই কিছু করার নেই দাম দিয়েই জিনিসপত্র কিনতে হয়। একারণে আমি আমার হাজবেন্ডকে দিয়ে মতিঝিল থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাই যতটা সম্ভব। সেখানে দাম অনেক কম।
এরই মাঝে কোনোরকমে দুপুরের রান্নাটা শেষ করে ফেললাম। রান্না শেষ হওয়ার আগ দিয়ে বুয়া আসলো। তাকে তার কাজ দেখিয়ে দিলাম কি কি করতে হবে। কারণ আগামীকাল সে ছুটি কাটাবে। বুয়ার আসলে তার সাথে কারামেলের চোর -পুলিশ খেলা চলে। ওর অত্যাচারে শুধু বুয়া না আমিও কাজ করতে পারি না কোনো। এজন্য ছেলেদের রুমে বন্দি রেখে কাজ করি ।
বাইরে থেকে শোনা যায় ওর চিৎকার ,আর ভেতরে চলে বাইরে বের হওয়ার জন্য যুদ্ধ। আজকে চা বানাতে গেছি আর তখন এসে সে উপস্থিত। কয়েকবার সরিয়ে দিয়েছি কিন্তু লাভ হয় নাই। একসময় লেজের খানিকটা লোম পুড়ে গেছে। কোনোমতে সরিয়ে নিতে পেরেছি সময়মতো। এর কয়েকদিন আগে কয়েকটা গোফ আগুনের আচে গলে গেছে। আমি ভয়ে থাকি কবে যে ওর লেজে ভালোমতো আগুন লাগবে।
এর মাঝে ভাইয়ের ছেলে -মেয়ে এসে উপস্থিত। ওদের পরীক্ষা হয়ে গেছে তাই স্কুল বন্ধ। ওরা ঘন্টা দুয়েক থেকে চলে গেলো। দুপুরের খাবার শেষ হবার পরে আমি বসে বসে কিছুক্ষন ইউটিউবে ঘোরাঘুরি করলাম। এরই মাঝে দুই ছেলেই বাইরে বের হয়ে গেলো। তেমন কিছু করার ছিল না তাই ডায়েরি গেম লিখতে বসলাম।