Better Life With Steem | The Diary game ,june , 15 , 2025।
আগে যখন বাচ্চাদেরকে নিয়ে নিয়মিত স্কুলে আসা -যাওয়া করতে হতো তখন অনেকদিন স্কুল বন্ধ থাকার পরে যেদিন স্কুল খুলতো তার আগের দিন রাতের বেলা কেমন জানি একটা মানসিক অস্থিরতা কাজ করতো আমার মাঝে। মনে হতো সবকিছু সময়মতো করতে পারবোতো।
অনেকদিন পরে অনেকটা একই রকম অস্থিরতা অনুভব করেছি গত রাতে। এবার ঈদের ছুটি দশ দিন ছিল। এই দশ দিন ছুটি থাকার পরে আজকে সবকিছু খুলে গেছে। হাবিকে আজকে ব্যাংকে যেতে হবে আবার বড় ছেলেরও ক্লাস আছে। ছোট ছেলের পরীক্ষা হয়ে গেছে তাই সে অবশ্য ছুটি কাটাচ্ছে।
সকালে আমার ঘুম ভাঙার আগেই ছেলে উঠে গেছে। ও বাসা থেকে সাতটার মাঝে বের হয়ে যাবে। ওর যেদিন ক্লাস থাকে সেদিন ও সকালে কিছুই খায় না। তাই ওর নাস্তা নিয়ে ইদানিং কোনো চিন্তাও করি না। আমার দুই ছেলেই ক্লাস নাইনে উঠার পর থেকে ক্লাস থাকলে নাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও এটা ঠিক করতে পারি নাই , তাই ইদানিং আর এটা নিয়ে মাথা ঘামাই না।
কিন্তু ওর বাবাকে নাস্তা দিতে হবে তাই উঠে পরলাম। ফ্রিজে রুটি ছিল। সে বললো যে তাকে যেন শুধু এককাপ চা ও একটা রুটি ভেজে দেই।
সে নাস্তা করে ব্যাংকে চলে যাবার পরে দুপুরের রান্নাও শেষ করে ফেললাম। সমস্যায় পরেছি ক্যারামেলকে নিয়ে। ও গত দুইদিন থেকে একদমই খাচ্ছে না কিছু।
রান্না শেষ করে বারান্দায় গিয়ে গাছগুলোতে হাত লাগলাম। টবের মাটি আলগা করে দিলাম। টবের মাটি কিছু দিন পর পর আলগা করে দিতে হয়। এই জিনিসটা অনেকেই খেয়াল করেন না। কিন্তু গাছের ভালো বৃদ্ধির জন্য মাঝে মধ্যে মাটি খুঁড়ে দেওয়া জরুরি বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা ।
গাছের ঠিকঠাক মতো বেড়ে ওঠার জন্য আলো এবং বাতাস দুটোই জরুরি। দিনের পর দিন মাটিতে পানি দিলে মাটি শক্ত হয়ে যায়। কিন্তু যদি মাটি খুঁড়ে দেয়া হয় তাহলে গাছের গোড়ায় আরও ভাল ভাবে বাতাস চলাচল করতে পারে।
তাই মাটি খুঁড়ে হাত দিয়ে ঝুরো ঝুরো করে দেওয়া জরুরি ।এছাড়াও মাটি খুঁড়ে আলগা করে দিলে গাছের রোগ হওয়ার আশঙ্কাও কিছুটা কমে যায় ।
সন্ধ্যার পরে দুই ছেলেকেই দেখলাম কোথায় যেন যাচ্ছে। জিজ্ঞেস করায় বললো নিচ থেকে আসতেছি। একটু পরেই দেখলাম কেকের প্যাকেট নিয়ে বাসায় ঢুকল। আমার দিকে তাকিয়ে বললো যে ,আজকে ফাদার্স ডে তাই নিয়ে আসলাম। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এসব দিবসে তেমন একটা বিশ্বাস করি না।
আমার কাছে মনে হয় প্রতিটা দিনই আসলে ফাদার্সডে কিংবা মাদার্স ডে হওয়া উচিত। কারণ এমন বেশ কয়েকজনকে আমি চিনি যারা সোশ্যাল মিডিয়াতে এসব দিবসে নানারকম স্ট্যাটাস দিয়ে থাকে কিন্তু বাস্তব জীবনে তারা একেবারেই অন্য মানুষ।
তারপরও যদি এসব দিবস উপলক্ষে কাছাকাছি আসে কিংবা বাবা-মায়ের জন্য কিছু করে তাহলে তো ক্ষতি নেই। ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে সন্তানের কাছ থেকে যখন এমন কিছু পাওয়া যায় তখন নিজেকে স্পেশাল কিছু বলে মনে হয়।
কেক কাটা শেষ করে রাতে খাবার খাওয়া শেষ হবার পরে সব কিছু গুছিয়ে ঘুমাতে গেলাম।
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦
◦•●◉✿ Thanks Everyone ✿◉●•◦