Better Life With Steem | The Diary game ,june , 12 , 2025।
ইদানিং প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম ভাঙ্গার পরেই প্রথম যে কথাটি মাথায় আসে সেটা হল ঈদের ছুটি আর কয়দিন আছে। ঈদের ছুটির বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করতেছি আমি।
প্রথমত সকালে ঘুম থেকে উঠার কোন তাড়া নেই, আমি ইচ্ছা মত ঘুম থেকে উঠি। আর এর থেকেও সবচেয়ে বড় যে সুবিধাটা ভোগ করতেছি সেটা হল বর্তমানে গ্যাসের কোন সমস্যা নেই।
বরং গ্যাসের প্রেসার এত বেশি যে মাঝে মাঝে আমাকে গ্যাসের ফ্লেইম কমিয়ে রান্না করতে হয়।এই সুবিধাটা পেয়েছি আমি ঢাকা ছাড়ার কারণে, গ্যাসের উপর তেমন কোনো প্রেশার নেই বললেই চলে।
আরেকটা বড় সুবিধা হল রাস্তাঘাটে কোন জ্যাম নেই। যেখানে খুশি ইচ্ছা মতো যাওয়া যাচ্ছে, সময় লাগছে না বললেই চলে।
সবসময়ই আমার অভ্যাস হলো ঘুম থেকে ওঠার পরে সময় থাকলে বারান্দায় একটা ঢু মেরে আসা।
আর তখনই বারান্দায় গিয়ে দেখলাম যে, গাছগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। অথচ আগের দিনই আমি প্রতিটা গাছে পানি দিয়েছি। কিন্তু এত গরম পড়েছে যে সব পানিই শুকিয়ে যায়।
তাই দ্রুত প্রতিটা গাছে পানি দিলাম।
সকালের নাস্তাটা বড় ছেলে বাইরে থেকে কিনে নিয়ে এনেছে যার কারণে আমাকে আর কোন ঝামেলায় যেতে হয়নি। আমি ভেবেছিলাম যে, দোকান খোলা পাবেনা। যার কারণে ওকে নাস্তা কিনতে যেতে মানা করেছিলাম।
কিন্তু ছেলে নাস্তা কিনে এনে বলল যে দেখো আমি তোমাকে বলেছিলাম না যে খাবারের দোকান বন্ধ হয় না
নাস্তা শেষ করতে করতে প্রায় সাড়ে দশটার বেশি বেজে গেল। সাধারণত আমাদের কখনোই নাস্তা করতে এত লেট হয় না। কিন্তু যেহেতু ছুটি চলছে তাই সবাই ঘুম থেকে উঠতে লেট করেছে, আর এ কারণেই না এত দেরি।
বুয়াও ঈদের ছুটি কাটাচ্ছে যার কারণে দুপুরের রান্না করার ফাঁকে ফাঁকে ঘরের কাজও শেষ করে ফেললাম। অবশ্য আমার সাথে সাথে কাজে হাত লাগালো আমার ছেলেরা আর তার বাবা। যদিও আমার হাবি কাজ করতে গেলে কাজ ঠিকই করে কিন্তু সেইসাথে অনেক কাজ বাড়ায়ও।
এ কদিনে অনেক কাপড় জমে গিয়েছিল, ছোট ছেলে মেশিনে এই কাপড় গুলো ধুয়ে মেলে দিলো।কাপড় ধোয়া দেখে চিন্তা হলো যে ওয়াশিং মেশিন জিনিসটা আসলেই অনেক কাজের।
এটা না থাকলে সব কাপড় আমাকে ধুতে হতো।অবশ্য শুধু ওয়াশিং মেশিন না সব মেশিনই আমাদের অনেক কাজে লাগে। আমি এইসব গ্যাজেট দেখি আর চিন্তা করি যে আমাদের পূর্বপুরুষরা কত কষ্ট করে গেছেন।
অবশ্য শারীরিক পরিশ্রম করার কারণে তারা সুস্থ্য ছিল বেশি। এই দিক থেকে আবার আমরা পিছিয়ে গেছি।
আমার ভাই গত রাতেই শ্রীলংকা থেকে ফোন করে জানিয়েছিল যে বিকেল সোয়া চারটার সময় ওকে এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে আসি। ওর ড্রাইভারও ঈদের ছুটি কাটাতে বরিশাল গেছে যার কারণে আমাদেরকে এই রিকোয়েস্ট করেছে।
দুপুরে খাবার খাওয়ার পরে ছেলে বলল যে যাবে নাকি আমার সাথে এয়ারপোর্টে। গরমের কারণে প্রথমে মানা করেছিলাম পরে রাজি হলাম এই ভেবে যে আমারও কিছুটা ঘোরা হবে।
আমরা একদম সময়ই মতোই এয়ারপোর্টে পৌঁছে ছিলাম। আমরাও এয়ারপোর্ট থেকে বাসার নামিয়ে দিয়ে বাসায় ফিরলাম। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে টিভি চালানোর পরেই দুঃসংবাদটা চোখে পড়লো যে এয়ার ইন্ডিয়ার প্লেনটার সকল যাত্রীসহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে এবং এতে কোন যাত্রীরই স তেমন একটা বাঁচার সম্ভাবনা নেই।
আমার ভাইও শ্রীলংকা থেকে আসার পথে চেন্নাইতে ৮ ঘন্টার ট্র্যানজিট পার করে এয়ার ইন্ডিয়াতেই দেশে ফেরত এসেছে। আল্লাহকে ধন্যবাদ দিলাম যে ও ঠিকঠাক মত বাসায় ফিরেছে।
এরই মাঝে ছেলের বন্ধুরা এবং কাজিনরা এসে উপস্থিত। ওরা মুভি দেখে বাসায় গেছে, যেতে যেতে রাত সাড়ে দশটা বাজিয়ে দিয়েছে।
ওরা যাওয়ার পরে ফ্রিজে সব কিছু ঢুকিয়ে রেখে ঘুমাতে গেলাম।
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟