Better Life With Steem | The Diary game ,june , 10 ,2025।আমাদের চট্টগ্রাম যাত্রা ও যাএাপথে ঘটা এক্সিডেন্ট ।

গত রাতেই আমাদের পরিকল্পনা ছিলো যে আমরা ভোর পাঁচটা নাগাদ উঠেছে যত দ্রুত সম্ভব বাসা থেকে বের হয়ে যাব চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। ঘুম থেকে উঠেছি ঠিকঠাক মতই, কিন্তু দ্রুত বের হবো বললেও দ্রুত বের হওয়া সম্ভব হয় না অন্তত আমার পক্ষে।

কারণ দায়িত্ব থেকে ছাড়া পাই না। আগের দিন রাতের বেলায় ক্যারামেলের জন্য বেশি করে মাছ সেদ্ধ করে রেখেছিলাম। কিন্তু গরম বেশি থাকার কারণে সেগুলোর আর কাটা বাছা হয়নি।

সকাল বেলা উঠে প্রথম কাজটাই করলাম ওর মাছের কাঁটা ফেলে খানিকটা ওকে দিয়ে বাকিটুকু ফ্রিজে ঢোকালাম।ও খাবার দাবার নিয়ে ভীষণ যন্ত্রণা করে। মাছ ছাড়া অন্য কিছুই খেতে চায় না।

এরপর রেডি হয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। একে তো ভোরবেলা তার উপর ঈদের ছুটি, যার কারণে রাস্তাঘাট একদমই ফাঁকা। আমরা খুব দ্রুত এগিয়ে চললাম চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে।

সবকিছু প্ল্যানমতোই চলতেছিলো। এরই মাঝে কুমিল্লার কাছাকাছি আসার পরে হঠাৎ করে পেছন থেকে একটা প্রভোক্স আমাদেরকে ওভারটেক করে চলে গেল সামনে এগিয়ে গেল।এক মিনিট দুয়েকের মাঝেই দেখলাম রাস্তার ওপর এক অটোরিক্সা উল্টো হয়ে পরে রয়েছে।

পাশেই একজনকে দেখলাম কোনমতে উঠে দাঁড়ালো, আর তার পাশে দেখলাম একজন রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে । দ্রুত আমাদের গাড়িটাও সাইড করে রাস্তার উপর রাখলাম।

আমার হাবি ও ছেলেরা বেরিয়ে সাননের দিকে এগিয়ে গেল।আমিও বের হয়ে সামান্য এগিয়ে গেলাম।দ দেখলাম বেশ কয়েকজনকে মাথায়, পায়ে পানি দিচ্ছে।প্রভোক্সে থাকা সবাই ব্যাথা পেয়েছে, একজনের মাথা ও বেশ খানিকটা কেটে গিয়েছে ।
তবে সবাই সামান্য সামান্য আহত হলেও সেগুলো খুব বেশি মারাত্মক নয়। সাথে থাকা ব্যাগ দেখে মনে হলো দেখে মনে হল বেচারারা ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাচ্ছিলো।

এর মাঝে ছেলেরা এসে জানালো যে, অটোর ড্রাইভার সাথে সাথেই মারা গিয়েছেপ্রভোক্সটাকেও দেখলাম গাছে বাড়ি খেয়ে একদম ভঁচকিয়ে গেছে।

আমরা আসার পথে আমাদের পাশাপাশি এক দল বাইকার আসতে। দেখেছিলাম। ওরা আমাদের থেকে খানিকটা পেছনে পড়ে গিয়েছিল। ইতিমধ্যে বাইকারদের গ্রুপটাও চলে আসলো।

আমাদেরকে দেখে বললো যে, প্রভোক্সের ড্রাইভার পুরো সময়টাতেই খুব রাফ চালাচ্ছিলো।
ওরা এসে ড্রাইভারের খোঁজ করলো। কিন্তু ড্রাইভার এরমাঝে ভয় পেয়ে পালিয়েছে। অনেক সময় এরকম সময়ে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে অনেক সময় ড্রাইভারকে পিটায়।

পরে চিন্তা করে দেখলাম যে, এই এক্সিডেন্ট এর পেছনে আসলে এর জন্য প্রভোক্সের ড্রাইভার এবং এবং অটো ড্রাইভার দুজনের সমানভাবে দায়ী আরো দায়ী এই এলাকার লোকজন।

মাঝে মাঝেই এই এলাকার মানুষ জন রাস্তার ডিভাইডার গুলো কেটে ইচ্ছামতো রাস্তা বানিয়ে নিয়েছে। এই মূহুর্তে দেশে কোনো নির্বাচিত সরকার না থাকার কারণে এগুলো দেখার মত তেমন কেউ নেই ।
এরকম হাইওয়ের এর উপর 'রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের' লোকজন যখন ইন্টারসেকশনগুলো তৈরি করে তখন তারা অনেক হিসেব-নিকেশ করে করে যাতে এক্সিডেন্ট কম হয়। কিন্তু এরকম যেখানে- সেখানে ডিভাইডার কেটে রাস্তা বের করার কারণে সাময়িক সুবিধা হয়তো কিছুটা হচ্ছে কিছু এক্সিডেন্ট বেড়েছে অনেক।

আর সেই সাথে গাড়ির ড্রাইভারদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও বেআইনী ভাবে মহাসড়কে অটোরিকশা চালানো, এই তিনে মিলে আজকের এই এক্সিডেন্ট।

আমাদের এখানে আর কিছু করার ছিলো না আমরা এগিয়ে গেলাম।আসলে এই পৃথিবীতে কারো জন্যই কিছু থেমে থাকে না। তাই আবার আমরা এগিয়ে চললাম চিটাগং এর উদ্দেশ্যে।